বাংলাদেশে শিল্পায়নের প্রধান প্রতিবন্ধকতাসমূহ বর্ণনা কর

মুখ্য শব্দ বাংলাদেশ, শিল্পায়ন, প্রতিবন্ধকতা, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান, অদক্ষ শ্রমিক।
বাংলাদেশে শিল্পায়নের প্রধান প্রতিবন্ধকতাসমূহ
বাংলাদেশে পর্যাপ্ত কাঁচামালসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদ, সস্তা শ্রমিক, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং অন্যান্য
সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্তে¡ও শিল্প ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়নি। কেননা এ দেশের শিল্পায়নে নানারকম প্রতিবন্ধকতা
বিদ্যমান। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ নি¤েœ উল্লেখ করা হলো:
১। ঐতিহাসিক পটভূমি: বাংলাদেশ একটি পলি বিধৌত উর্বর ভূখÐ হওয়া সত্বেও বিভিন্ন সময়ে বিদেশী শাসকগোষ্ঠী
দ্বারা শাসিত, শোষিত, বঞ্চিত ও লুণ্ঠিত হয়েছে। ফলে দেশটির আর্থ-সামাজিক ভিত্তি অতীত থেকেই ক্রমশ দুর্বল
হয়ে পড়ে। অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে এমনকি বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যখন পাশ্চাত্যে ব্যাপক শিল্পায়ন
প্রক্রিয়া চলছিল তখন বাংলাদেশ ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ (১৭৫৭-১৯৪৭ খ্রি.)। ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের কয়েকটি
স্থানে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠলেও এ অঞ্চলে শিল্পায়নের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বরং বাংলাদেশ তখন বিলেতি
পণ্যের অন্যতম বাজারে পরিণত হয়েছিল। ব্রিটিশ বস্ত্রকলের কাপড়ে বাজার নিয়ন্ত্রিত হওয়ার ফলে এ দেশের
ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পও ভেঙ্গে পড়ে। পাকিস্তান আমলে পাট শিল্পের প্রসার ঘটলেও বৈষম্যমূলক নীতির কারণে
তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এখানে শিল্পায়ণের গতি খুব বেশি
ত্বরান্বিত হয়নি।
২। উদ্যোক্তার অভাব: মুনাফা অর্জনের জন্য ব্যবসায়িক ঝুঁকি নিতে সক্ষম এমন উৎসাহী ব্যক্তি তথা পুঁজিপতির অভাব
থাকায় বাংলাদেশ শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। পাশ্চাত্যের শিল্পায়িত সমাজের পুঁজিপতিরা তাদের
সম্পদ শিল্প-কল-কারখানায় বিনিয়োগ করেন। মুনাফা লাভের মাধ্যমে তাদের পুঁজি ক্রমশ স্ফীত হয়। একটা সময়
পর্যন্ত বাংলাদেশে সম্পদশালী মানুষের অভাব ছিল। যাদের সম্পদ ছিল তাদের অনেকেই শিল্প-কল-কারখানায়
বিনিয়োগকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেছেন। এরা অনেকে জমিতে বিনিয়োগ, বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় কিংবা
অনুৎপাদনশীল খাতে অর্থ ব্যয় করেছেন। ফলে উদ্যোক্তার অভাবে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত শিল্পায়ন হয়নি।
৩। আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর অভিজ্ঞতার অভাব: শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে প্রয়োজন আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর
অভিজ্ঞতা। কারণ শিল্প কারখানায়ই আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কেবল পুঁজি ও
সদিচ্ছা থাকলেই শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যায় না। শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত হবে এমন যন্ত্রপাতি তথা
প্রযুক্তিগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ না থাকলে স্বাভাবিকভাবে শিল্প-কারখানা স্থাপনে অনেকেই সাহসী
হবেন না। তাছাড়া কারখানা স্থাপনই যথেষ্ট নয় এর রক্ষণাবেক্ষণ, বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, উৎপাদন
ক্ষমতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্যও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
বাংলাদেশে শিল্পায়নের ক্ষেত্রে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানের অভাব অন্যতম অন্তরায়।
৪। দক্ষ শ্রমিকের অভাব: বাংলাদেশে শিল্পায়নের অন্যতম অন্তরায় হল দক্ষ শ্রমিকের অভাব। আমাদের দেশে কারিগরি
শিক্ষার হার খুবই কম। আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষার সুযোগও অত্যন্ত সীমিত। ফলে আমাদের দেশের জনগোষ্ঠীর
একটি বড় অংশ কারিগরি ও প্রযুক্তি জ্ঞানহীন। দক্ষতার অভাবে তারা শিল্প-কারখানায় মানসম্মত কাজ পায় না।
অথচ আধুনিক শিল্প-কারখানায় দক্ষ ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসম্পদের বিশাল চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের
দেশে দক্ষ শ্রমিক ও পেশাজীবীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিদেশে চাকুরী নিয়ে চলে যায়। এ প্রেক্ষিতে দক্ষ
শ্রমিক ও পেশাজীবীর অভাব বাংলাদেশের শিল্পায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হিসেবে পরিগণিত।
৫। রাজনৈতিক কারণ: বাংলাদেশে শিল্পায়নের অন্যতম বাধা হচ্ছে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে তথাকথিত রাজনৈতিক
হস্তক্ষেপ ও প্রভাব। অপরাজনীতি কয়েকটি উপায়ে শিল্পায়নকে বাধাগ্রস্থ করে। যেমন:
ক) তথাকথিত রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সন্ত্রাস ও জোরপূর্বক চাঁদা আদায়। এ ধরনের হীন তৎপরতার জন্য অনেক
উদ্যোক্তাই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সাহস পায় না।
খ) স্থিতিশীলতার অভাব বাংলাদেশের শিল্পায়নের অন্যতম অন্তরায়। বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে জনগণ দ্বারা
নির্বাচিত সরকার পরিবর্তন এবং বারংবার শিল্পনীতি পরিবর্তন হওয়া বা পরিবর্তনের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায়
দেশী ও বিদেশী অনেক উদ্যোক্তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে সাহস পায় না।
এছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে যখনতখন হরতাল, ধর্মঘট, সহিংস আন্দোলন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ
ইত্যাদি উদ্যোক্তাদেরকে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করে।
গ) কোনো শিল্পপতিই চান না তার কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হোক। কেননা উৎপাদন ব্যাহত হলে তার
লোকসান অবশ্যম্ভাবী। নানা ধরনের অপতৎপরতায় আমাদের দেশে শিল্প-কারখানায় প্রায়শ উৎপাদন, সরবরাহ
এবং রপ্তানী ব্যাহত হয়।
ঘ) রাজনৈতিক অর্থনীতিতে সুনির্দিষ্ট দর্শন অনুপস্থিত। শিল্প উন্নয়ন পরিকল্পনা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী হতে
পারে। কিন্তু কার্যকর পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। রাজনৈতিক অর্থনীতি অনিশ্চিত অবস্থার দিকে পতিত হয়, যা
শিল্পয়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
৬। প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব: বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ দরিদ্র। মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাতেও কোনো
পুঁজি নেই। মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতাও কম। ফলে দেশের সম্পদশালী ও পুঁজিপতির সংখ্যা খুব বেশি নয়। এ
কারণে শিল্প-কারখানায় বিনিয়োগের জন্য মূলধন যোগাড় করার কোন উৎস থাকে না। অথচ শিল্পকারখানা স্থাপনের
পূর্বশর্ত হলো মূলধন। তাই প্রয়োজনীয় মুলধনের অভাবেও এখানে শিল্পায়ন ব্যাহত হচ্ছে। মোট জনগোষ্ঠীর যে ক্ষুদ্র অংশটি মূলধন গঠনে সক্ষম তাদের অনেকেই আবার ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনয়োগ করতে চান না। সুতরাং
মূলধনের অভাব আমাদের শিল্পায়নের পথে অন্তরায়।
৭। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব: মুদ্রাস্ফীতি শিল্পকারখানা স্থাপন ও উৎপাদিত পণ্য রপ্তানীতে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।
একটি উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে সময়ের প্রয়োজন হয়। ঐ কারখানা স্থাপনের শুরুতে অবকাঠামো
তৈরিতে যে খরচ হয় কয়েক বছরের ব্যবধানে তা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি বিভিন্ন উপকরণের দাম অপ্রতিহত গতিতে বেড়ে যাওয়ায় গৃহীত প্রকল্প শেষ করতে বাড়তি অর্থ খরচ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।
৮। শর্তহীন বৈদেশিক সাহায্যের অভাব: শিল্পায়িত অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের উন্নয়নকল্পে
তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তবে ঐ সব সাহায্যের সবই কঠিন শর্তযুক্ত। দাতা দেশগুলো তাদের দেশের
যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল আমাদেরকে চড়া দামে কিনতে শর্ত আরোপ করে। শর্ত আরোপ করে সে দেশে
এক্সপার্টদের অনেক বেতনে এদেশের বিভিন্ন উৎপাদন ইউনিটে চাকরি দিতে। ফলে বৈদেশিক সাহায্যের একটা
উল্লেখযোগ্য অংশ সাহায্য দাতা দেশেই বিভিন্নভাবে ফেরত যায়।
৯। অবকাঠামোর অভাব: অবকাঠামো বা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাকব বাংলাদেশের শিল্পায়নের পথে একটি
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অন্তরায়। বিশেষ করে এ দেশের স্থল ও জলপথ এতই অনুন্নত যে, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয়
কাঁচামাল এবং উৎপাদিত দ্রব্য-সামগ্রী স্বল্প সময় এবং স্বল্প ব্যয়ে আনা নেওয়া করা সম্ভব হয় না। যোগাযোগ ব্যবস্থা
অনুন্নত হওয়ার কারণে আজও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনসংখ্যার ঘনত্ব ও চাহিদা অনুযায়ী শিল্পকারখানা স্থাপন
সম্ভব হচ্ছে না। কেবল কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চলেই শিল্প কারখানা স্থাপনের কাজ সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। সুষ্ঠু পরিবহনের
জন্য রাস্তাঘাটের প্রয়োজনীয় সংস্কার না করা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।
১০। কাঁচামাল তথা খনিজ সম্পদের অভাব: শিল্পের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ও নিয়মিতভাবে কাঁচামালের
সরবরাহ। দেশে বিভিন্ন ধরনের ভারি শিল্প-প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি
করতে হয়। এটি একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ অন্যদিকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। আবার
শিল্পের জন্য চাই পর্যাপ্ত শক্তিসম্পদ বা খনিজসম্পদ যেমন তেল, লৌহ, কয়লা, ইস্পাত ইত্যাদি। এগুলোর
অভাবেও বাংলাদেশে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১১। বিদেশি পণ্যের প্রতি আকর্ষণ: স্বদেশে তৈরি শিল্পজাত দ্রব্য কেনার পরিবর্তে দেশের মানুষ অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি
পণ্যের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। ফলে দেশি শিল্পজাত দ্রব্য বিক্রি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এতে দেশীয়
শিল্পগুলোকে অনেক সময় চরম লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া দেশি শিল্পের বিকাশের জন্য প্রয়োজন
দেশপ্রেম। আমরা যদি বিদেশি পণ্য বর্জন করে দেশি পণ্য ক্রয় করি তবে শিল্পজাত দ্রব্যের মান ক্রমেই বৃদ্ধি পাবে,
মূল্যও থাকবে হাতের নাগালে। তবে এক্ষেত্রে দেশি পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তা না হলে অনেকেই দেশি পণ্য
কিনতে দ্বিধা পোষণ করবেন।
১২। দৃষ্টিভঙ্গির অভাব: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকেই শিল্প-বিনিয়োগে উদ্যোগী হতে পারেননি। উš§ুক্ত
বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান মোটেও শক্ত নয়। ফলে শিল্পায়নে এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে অনেকেই ছিলেন দ্বিধান্বিত ।
শিল্পায়নের ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলোই শিল্পের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে বিবেচিত। তবে স্থান,
কালভেদে তারতম্য ঘটলেও উন্নয়নশীল এবং অনুন্নত দেশের ক্ষেত্রে এসব প্রতিবন্ধকতা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
তাই বাংলাদেশকে শিল্পখাতে উন্নয়ন সাধন করতে হলে এসব বিষয়ের দ্রæত সমাধান করা প্রয়োজন। নতুবা বাংলাদেশের
শিল্পায়ন প্রক্রিয়া যেমন মুখ থুবড়ে পড়বে তেমনি বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন-৮.৩
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১। আমাদের দেশে কি কারণে শিল্পায়ন ব্যাহত হচ্ছে?
ক) উদ্যোক্তার অভাবে খ) কারিগরি জ্ঞানের অভাবে
গ) ‘ক’ ও ‘খ’ উভয় ঘ) কোনোটি নয়
২। শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে প্রয়োজন-
ক) পুঁজি খ) সদিচ্ছা গ) আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান ঘ) উপরের সবগুলো
৩। বাংলাদেশের শিল্পায়নের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা কোনটি?
ক) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা খ) দক্ষ শ্রমিকের অভাব
গ) অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ঘ) কর্ম বিরতি

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]