সাংস্কতিক পরিবর্তন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করুন।


ভ‚মিকা
সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কিছু ধারণা সংস্কৃতির বিকাশের আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। সব
সংস্কৃতি বিকাশমান, সব সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। ইউনেস্কোর উদ্যোগে প্রকাশিত সামাজিক
বিজ্ঞান অভিধানে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বলতে বোঝানো হয়েছে সময়ের সাথে সাথে সংস্কৃতির
যে পরিবর্তন হয় তাকে।".... ঈঁষঃঁৎধষ পযধহমব সধু নব ফবভরহবফ ধং ঃযব সড়ফরভরপধঃরড়হ ড়ভ
পঁষঃঁৎব ঃযৎড়ঁময ঃরসব." সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিষয়টি ঊনবিংশ শতাব্দী এবং বিংশ
শতাব্দীর ষাটের দশক পর্যন্ত নৃবিজ্ঞানীরা চর্চা করতেন। পরে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনকে একই
সাথে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক পরিবর্তন হিসাবে অনুধাবন করার চেষ্টা করা হয়। সম্প্রতি
গণমাধ্যম, ইন্টারনেট প্রভৃতি তথ্য মাধ্যম বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজবিজ্ঞানীরা নতুন করে
সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রতি আকর্ষিত হয়েছেন।
নৃবিজ্ঞানের পরিসরে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বোঝার জন্য দু'টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা
হয়েছে।প্রথমটি হচ্ছে সাংস্কৃতিক বিবর্তন এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে সংস্কৃতি-গ্রহণ অপপঁষঃঁৎধঃরড়হ।
সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিষয়টিকে বোঝার জন্য নৃবিজ্ঞানী সালিনস্ গ. ঝযধষরহং এবং সার্ভিস
ঊ. এ. ঝবৎারপব ১৯৬০ সালে ঊাড়ষঁঃরড়হ ধহফ ঈঁষঃঁৎব নামক গ্রন্থে বহুমুখী বিবর্তন
গঁষঃরষরহবধষ ঊাড়ষঁঃরড়হ-এর ধারণা তুলে ধরেন। তাঁরা মনে করেন সংস্কৃতির বিকাশ
একরৈখিক নয়। অর্থাৎ সংস্কৃতি সর্বজনীন পর্বের ভিতর দিয়ে বিকাশ লাভ করেনা। সংস্কৃতির
বিকাশ অনেক বেশি জটিল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ। তবে সংস্কৃতি বিকাশের মধ্যে বিন্যাস এবং নিয়ম
কাজ করে। সংস্কৃতির বিকাশের মধ্যে বিবর্তনের ধারাকে চিহ্নিত করা যায়।
নৃবিজ্ঞানে সংস্কৃতি-গ্রহণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি গবেষণা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৩০ থেকে
১৯৬০ এর দশকের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে গবেষণা হয়েছে প্রধানত দু'টি ধারায়। একটি ধারায় দেখা
হয়েছে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদানত জনগোষ্ঠী কিভাবে পশ্চিমের সংস্কৃতিকে নিজস্ব সংস্কৃতির
মধ্যে সংমিশ্রিত করেছে। অন্যধারায় দেখা হয়েছে পশ্চিমের সংস্কৃতিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে
কিভাবে বেঁধে রাখা হয় যাতে তা সমস্ত সংস্কৃতির মধ্যে পরিব্যাপ্ত হতে না পারে। সাম্প্রতিক
কালে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের যে বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে তা
হল উত্তর-আধুনিকতা। আলভিন টফলারের অষারহ ঞড়ভভষবৎ মতে বর্তমানে আমরা যে

পরিবর্তন দেখছি তা শিল্প বিপ্লবের চেয়ে অনেক বড়, অনেক গভীর এবং অনেক বেশি
তাৎপর্যপূর্ণ এক বিপ্লব যা মানুষের ইতিহাসে এক বিশাল বিভাজন তৈরি করে দিচ্ছে।
সত্তরের দশকের শুরুতে দু'জন সমাজবিজ্ঞানী ডানিয়েল বেল উধহরবষ ইবষষ এবং আলাঁ তুরেঁ
অষধরহ ঞড়ঁৎধরহব এই যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, মানুষের ইতিহাসে এক নতুন সমাজ সৃষ্টি
হয়েছে যাকে অভিহিত করা যায় উত্তর-শিল্প সমাজ হিসাবে। উত্তর-শিল্প সমাজের ভিত্তি হচ্ছে
তথ্য ও জ্ঞান। এই সমাজে প্রস্তুত শিল্পের অবক্ষয় ঘটে, শ্রেণী কাঠামোর পরিবর্তন ঘটে।
মূলধনের মালিক বা শিল্পপতিদের স্থান অধিকার করে নেয় পেশা ভিত্তিক ব্যবস্থাপক। উচ্চ
শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটে।
ক্রমশ: উত্তর-শিল্প যুগের ধারণা থেকে তৈরি হয়েছে উত্তর-আধুনিকতার ধারণা। অনেক
সমাজবিজ্ঞানী এবং চিন্তাবিদ এখন মনে করেছেন আমরা এক নতুন কালে প্রবেশ করেছি যাকে
উত্তর-আধুনিক যুগ বলা যায়।এ এক প্রচন্ডভাবে দ্রুত পরিবর্তনের সময়। অতি দ্রুত বদলে
যাচ্ছে সমাজের চেহারা। সমাজকে চেনা যাচ্ছে না। সামাজিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়ছে, ভেঙ্গে
পড়ছে আতœ-পরিচিতি। মহৎ শিল্প এবং জনপ্রিয় হাল্কা শিল্পের মধ্যে থাকছে না কোন ভেদ
রেখা। সমাজের যেন কোন তলদেশ নেই, নেই শিল্পের কোন গভীরতা। এমনকি ফরাসী
সমাজবিজ্ঞানী ব্রদিলা ইৎধঁফরষষধৎফ এর ভাষায় সমাজ বা সামাজিক বলে এখন কিছু নেই।
উত্তর-আধুনিক যুগে সমাজের বদলে স্থান করে নিয়েছে সংস্কৃতি। মানুষের যৌথ অস্তিত্ব এখন
নির্মিত হচ্ছে চিহ্ন দিয়ে। সারা বিশ্ব জুড়ে মানুষের চৈতন্য এবং জীবন ধারাকে ক্রমশ: নিয়ন্ত্রিত
করছে গণমাধ্যম। বিশ্বায়ণ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সমস্ত বিশ্ব এখন পরিবর্তিত হচ্ছে একটি
গ্রামে এবং সমস্ত বিশ্ব জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে সাধারণ সংস্কৃতি।
ম্যাকগ্রুগপমৎবি এর মতে বিশ্বায়ণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বে
বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং সমাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয় যার ফলে পৃথিবীর একটি
স্থানের ঘটনা, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকান্ড বিশ্বের অন্য প্রান্তেও ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের জন্য মারাতœক
প্রভাব তৈরি করতে পারে।
বিশ্বায়ণ একবারে নতুন কোন প্রক্রিয়া নয়। ধনতন্ত্রের জন্ম থেকে এ প্রক্রিয়া চলে আসছে।
সাম্প্রতিক কালে বিশ্বায়ণ বিস্ময়করভাবে দ্রুত গতি অর্জন করেছে। তথ্য প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ
এর প্রধান কারণ। বহুজাতিক সংস্থাগুলোর ঞৎধহংহধঃরড়হধষ ঈড়ৎঢ়ড়ৎধঃরড়হং (ঞঘঈ) ও
আন্তর্জাতিক সংস্থার বিকাশ বিশ্বায়নের পেছনে কাজ করছে। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের পতন এবং
মুক্ত বাজার ভাবাদর্শের বিজয় এ প্রতিক্রিয়াকে ত্বরানি¦ত করেছে। তবে বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে
সম্ভবত: সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে সংস্কৃতি, শিল্প এবং বিশেষ করে গণমাধ্যম।
কেউ কেউ বিশ্বায়ণের নেতিবাচক দিকের উপর জোর দিয়েছেন। তারা দেখছেন তথ্যপ্রবাহ
এবং গণমাধ্যমের ভিতর দিয়ে পশ্চিম উন্নয়নশীল দেশের উপর সাংস্কৃতিক বা ভাবাদর্শাগত
আধিপত্য বিস্তার করছে। একে বস্তুত: সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ বলা যায়। সংস্কৃতিতাত্তি¡ক
এডওয়ার্ড সাইদ ঊফধিৎফ ঝধরফ মনে করেন পশ্চিমের জ্ঞান-চর্চা, মহৎ সাহিত্য এবং শিল্পকলা
পশ্চিমের সাংস্কৃতিক আধিপত্যকে প্রতিফলিত করে। তিনি মনে করেন পশ্চিম নিজের স্বার্থে
প্রাচ্যকে নির্মাণ করে। একে তিনি বলেছেন প্রাচ্যবাদ। পশ্চিমের জ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠান, জ্ঞানচর্চার
রূপ ও গণমাধ্যম প্রাচ্যবাদকে তৈরী করেছে। গণমাধ্যমের সাম্রাজ্যবাদের বিষয়টি আরও
গভীরভাবে দেখেছেন মার্কিন নয়া-মার্কসবাদী হাবার্ট শিলার ঐবৎনবৎঃ ঝপযরষষবৎ। তাঁর মতে
গণমাধ্যমের সাম্রাজ্যবাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পপতি এবং সামরিক নেতাদের বিশ্বকে কব্জা
করবার অভিপ্রায় থেকে সৃষ্টি হয়েছে। শিল্পপতিরা চেয়েছেন তাদের পণ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী
বাজার, সামরিক নেতারা চেয়েছেন বিশ্বজুড়ে তাদের সামরিক প্রভাব তৈরি করতে। এই
উদ্দেশ্য সফল করতে গণমাধ্যম সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। গণমাধ্যম বহন করে পণ্যের

বিজ্ঞাপন এবং মানুষকে আকৃষ্ট করে নিষ্প্রয়োজনীয় পণ্য ভোগের দিকে। এক সময় করাচীতে
দুধ প্রায় কিনতে পাওয়া যেত না, কিন্তু পাওয়া যেত বিশ্বের জনপ্রিয় সব কোমল পানীয়।
গণমাধ্যমের সাম্রাজ্যবাদকে বোঝার জন্য কিভাবে গুটি কয়েক বিশাল প্রতিষ্ঠান বিশ্বের
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত করছে তা দেখা প্রয়োজন।
টাইম-ওয়ার্নার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যার মূলধন অনেক
উন্নয়নশীল দেশের মোট আয়ের বেশি। বিশ্বের কেব্ল-টেলিভিশন বাজারের সিংহভাগ
এদের দখলে।
রুপার্ট মার্ডক জঁঢ়বৎঃ গঁৎফড়পশ এর নিউজ করপোরেশন লিমিটেড নিয়ন্ত্রিত করে বিশ্বের
অনেক উল্লেখযোগ্য সংবাদপত্র এবং সংবাদপত্র বাজারের সবচেয়ে বড় অংশ।
রয়টার্স এখনও উন্নয়নশীল বিশ্বের সংবাদকে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রিত করে।
সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ প্রধানত: গণমাধ্যমের ভিতর দিয়ে পশ্চিম যে ভাবাদর্শগত আধিপত্য
উন্নয়নশীল দেশে তৈরী করে তাকেই নির্দেশ করে।
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে বিশ্বজুড়ে মানুষ কি দেখছে, শুনছে এবং চিন্তা
করছে। কেননা স্যাটেলাইট টেলিভিশন এখন বিস্তৃত হয়েছে শহরে, গ্রামে-গঞ্জে এবং সব
ধরনের মানুষের বিনোদনের বাহন হয়ে পড়ছে।
এর ফলে টেলিভিশন হয়ে উঠছে সামাজিকীকরণে প্রধান বাহন। গণমাধ্যম শুধু বিনোদনের
উৎস নয়, সূক্ষè এবং জটিল প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে তা আমাদের চিন্তা-ভাবনা এবং মূল্যবোধকে
নির্মাণ করে। এই নতুন মূল্যবোধের নির্যাস হচ্ছে প্রচন্ড পণ্য ভোগের স্পৃহা। গণমাধ্যমের
ভিতর দিয়ে ধনতন্ত্র তার পণ্য নিয়ে প্রবেশ করেছে সারা বিশ্বে এবং গভীরতর করছে তার
শোষণকে।
এর বিপরীতে কোন সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন বিশ্বায়ণ কখনও স্থানীয় সংস্কৃতিকে একেবারে
ধ্বংস করে দিতে পারবে না। জেরেমি টান্সটাল দেখিয়েছেন মার্কিন বহুজাতিক গণমাধ্যমের
প্রভাব সত্তে¡ও অনেক দেশে স্থানীয় পর্যায়ে গণমাধ্যম শিল্প গড়ে উঠেছে। বোম্বে, মিশর,
মেক্সিকো এবং ইতালীর ছায়াছবি শিল্প এর উদাহরণ। উন্নয়নশীল বিশ্বের অনেক দেশে স্থানীয়
টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে অনেকে মনে করছেন নতুন সংস্কৃতির আদল
তৈরি হবে বিশ্ব এবং স্থানীয় সংস্কৃতির ঘাত-প্রতিঘাতের দ্বারা। এই নতুন শতাব্দী হবে
সাংস্কৃতিক দ্বন্দ¡ এবং সমঝোতার কাল। সমাজবিজ্ঞানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই
প্রক্রিয়াকে যথাযথভাবে অনুধাবন করা।
সারাংশ
সংস্কৃতি বিকাশমান ও পরিবর্তনশীল। সময়ের প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতির পরিবর্তনই হচ্ছে
সাংস্কৃতিক পরিবর্তন। নৃবিজ্ঞানের পরিসরে সংস্কৃতিকে বোঝার জন্য সাংস্কৃতিক বিবর্তন
ও সংস্কৃতি-গ্রহণ -এ দু'টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সংস্কৃতির বিকাশ
জটিল ও বৈচিত্র্যময় হলেও এর মধ্যে বিন্যাস ও নিয়ম কাজ করে থাকে এবং বিবর্তনের
ধারাকে চিহ্নিত করা যায়।
১৯৩০ হতে ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংস্কৃতি-গ্রহণ গবেষণায় দু'টি ধারা লক্ষ্য
করা যায়। একটি ধারায় রয়েছে উন্নয়নশীল বিশ্বের পদানত জনগোষ্ঠী পশ্চিমের
সংস্কৃতিকে নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যে সংমিশ্রণ এবং অপরটিতে দেখা হয়েছে পশ্চিমের
সংস্কৃতিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে বেঁধে রাখা।
সাম্প্রতিক কালে সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের যে বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানে সবচেয়ে বেশি
আলোচিত হচ্ছে তা হল উত্তর-আধুনিকতা। অনেক সমাজবিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ মনে
করছেন আমরা এক নতুন কালে প্রবেশ করেছি যাকে বলা যায় উত্তর-আধুনিক যুগ। এ
এক প্রচন্ড ভাবে দ্রুত পরিবর্তনের সময়। দ্রুত বদলে যাচ্ছে সমাজের চেহারা, ভেঙ্গে
পড়ছে সামাজিক কাঠামো ও আতœ-পরিচিতি। এ যুগে সমাজের বদলে স্থান করে নিয়েছে
সংস্কৃতি। বিশ্ব জুড়ে মানুষের চৈতন্য ও জীবনধারাকে ক্রমশ: নিয়ন্ত্রিত করছে গণমাধ্যম।
বিশ্বায়ণ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে সমগ্র বিশ্ব এখন পরিবর্তিত হচ্ছে একটি গ্রামে এবং সমস্ত
বিশ্ব জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে সাধারণ সংস্কৃতি। বিশ্বায়ণ একে বারে নতুন কোন প্রক্রিয়া নয়।

ধনতন্ত্রের উদ্ভব থেকেই চলে আসছে এ প্রক্রিয়া এবং সাম্প্রতিক কালে বিস্ময়করভাবে
অর্জন করেছে দ্রুত গতি। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশই এর প্রধান কারণ। এ বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে
সম্ভবত: সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে সংস্কৃতি, শিল্প এবং বিশেষ করে গণমাধ্যম। কেউ
কেউ এর নেতিবাচক দিককে গুরুত্বারোপ করে নামকরণ করেছেন সাংস্কৃতিক
সাম্রাজ্যবাদ।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের বিষয়টি ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশক পর্যন্ত কারা চর্চা
করতেন?
ক. সমাজবিজ্ঞানীরা খ. নৃবিজ্ঞানীরা
গ. রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গ. উপরে উল্লেখিত সবাই
২. পশ্চিমের সাম্প্রতিকালের সমাজকে বলা হয় কি সমাজ?
ক. আধুনিক সমাজ খ. সাম্প্রতিক সমাজ
গ. পূর্ব-আধুনিক সমাজ ঘ. উত্তর-আধুনিক সমাজ
৩. নিচের কোন জন সংস্কৃতি তাত্তি¡ক?
ক. এডওয়ার্ড সাইদ খ. হাবার্ট স্পেনসর
গ. অগ্যুস্ত্ কঁৎ ঘ. কেউ নয়
৪. পশ্চিমের কোনগুলো প্রাচ্যবাদকে তৈরী করেছে?
ক. জ্ঞান-চর্চার প্রতিষ্ঠান খ. জ্ঞান-চর্চার রূপ
গ. গণমাধ্যম ঘ. সবগুলো
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. কিভাবে এবং কেন সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয় ?
২. বিশ্বায়ণ ও সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ বলতে কি বোঝেন ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. সাংস্কতিক পরিবর্তন সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করুন।
২. সাংস্কৃতিক পরিবর্তন বলতে কি বোঝেন? সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সংস্কৃতি গ্রহণ
আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]