দেবতা বা দেব-দেবী
আমরা জানি ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো আকার নেই। তিনি নিরাকার। তবে তাঁর ক্ষমতা সীমাহীন। তিনি
সর্বশক্তিমান। তাই তিনি তাঁর ইচ্ছা অনুসারে যে-কোনো রূপ ধারণ করতে পারেন। তাঁর কোনো গুণ বা শক্তিকেও তিনি
আকার দিতে পারেন। ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তি যখন আকার পায়, তখন তাকে দেবতা বা দেব-দেবী বলে।
ঈশ্বর তাঁর সৃষ্ট জীবের কল্যাণে বা তাঁর কোনো উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নিজের কোনো গুণ বা শক্তিকে বিশেষ আকার বা রূপে
প্রকাশ করেন। যেমনÑ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, ল²ী, সরস্বতী প্রভৃতি দেব-দেবী।
ঈশ্বর যে-রূপে সৃষ্টি করেন, তাঁর নাম ব্রহ্মা। তিনি যে-রূপে সৃষ্টিকে পালন করেন তাঁর নাম বিষ্ণু। তাঁর শক্তির রূপ হচ্ছেন
দেবী দুর্গা। ঈশ্বর যে-রূপে বিদ্যা দান করেন, তাঁর নাম দেবী সরস্বতী ইত্যাদি।
দেব-দেবীর প্রীতির জন্য ভক্ত শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেব-দেবীদের সন্তুষ্ট করে বিশেষ বিশেষ গুণ বা শক্তি প্রার্থনাও করা
হয়। যেমন বিদ্যার জন্য দেবী সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা জানানো হয়।
দেবী-দেবীদের সন্তুষ্ট করার জন্য যে প্রক্রিয়া ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত আছে, তার নাম যজ্ঞ ও পূজা। যজ্ঞ বা পূজা করলে দেব-দেবীরা
সন্তুষ্ট হন। ভক্ত তাঁদের কৃপা লাভ করে। সুখ ও শান্তি পান। আর দেব-দেবীর পূজা করলে ঈশ্বরও সন্তুষ্ট হন।
দেব-দেবীর প্রকারভেদ
ধর্মগ্রন্থ বেদ ও পুরাণে দেব-দেবীর উল্লেখ আছে, বর্ণনা আছে। আবার কিছু দেব-দেবী আছেন বেদ ও পুরাণে তাঁদের উল্লেখ
নেই। এভাবে প্রধানত তিন প্রকার দেব-দেবীর পরিচয় পাওয়া যায়।
ক. বৈদিক দেব-দেবী
খ. পৌরাণিক দেব-দেবী
গ. লৌকিক দেব-দেবী
ক. বৈদিক দেব-দেবী
বেদে যে সকল দেব-দেবীর বর্ণনা করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বৈদিক দেব-দেবী। যেমনÑ অগ্নি, ইন্দ্র, মিত্র, বরুণ, ঊষা, যম
প্রভৃতি। বৈদিক যুগে দেব-দেবীদের প্রতিমা বা বিগ্রহ ছিল না। বৈদিক যুগে ঋষিরা দেব-দেবীর রূপ, গুণ ও প্রভা ভাবাবেগে
দর্শন করেছেন এবং মাধ্যম রূপে মন্ত্রের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ করেছেন।
খ. পৌরাণিক দেব-দেবী
পুরাণসমূহ ধর্মগ্রন্থ। পুরাণসমূহে যে সকল দেব-দেবীর বর্ণনা করা হয়েছে, তাঁরা পৌরাণিক দেব-দেবী। কয়েকজন বৈদিক
দেব-দেবীসহ আরও কিছু দেব-দেবীর বর্ণনা পুরাণসমূহে পাওয়া যায়। সেই বর্ণনা অনুসারে সে-সকল দেব-দেবীর প্রতিমা বা
বিগ্রহ নির্মাণ করে তাঁদের পূজা করার বিধি-বিধানও রচিত হয়েছে। যেমনÑ ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, দুর্গা, কালী, ল²ী, সরস্বতী,
কার্ত্তিক, গণেশ প্রভৃতি।
গ. লৌকিক দেব-দেবী
এমন কিছু দেব-দেবী রয়েছেন, যাঁদের বর্ণনা বেদ ও পুরাণে নেই। এঁদেরকে বলা হয় লৌকিক দেব-দেবী। যেমনÑ মনসা,
শীতলা, দক্ষিণ বায়, সুমতি, সুবচনী, নাটাইচন্ডী, পাটাইচন্ডী প্রভৃতি। অবশ্য এঁদের মধ্যে কিছু দেব-দেবী পুরাণেও অন্তর্ভুক্ত
হয়েছেন।
বৈদিক দেব-দেবী : অগ্নি ও ঊষা
আমরা এখানে বৈদিক অগ্নি দেব এবং ঊষা দেবীর পরিচয় বৈদিক দেব-দেবীর দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করছি।
বৈদিক দেব-দেবীদের মধ্যে অগ্নি অন্যতম। অগ্নি দেব একজন প্রধান দেবতা রূপে প্রকাশিত। তিনি পৃথিবীতে সবসময়
থাকেন।
অগ্নি দেবের গুরুত্বের কারণ বর্ণনা করার আগে বৈদিক যুগের উপাসনা-পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিলে আমাদের উপলব্ধির
ক্ষেত্রে তা সহায়ক হবে। অগ্নি প্রজ্বলিত করে অগ্নির রূপ ও মাহাত্ম্য প্রকাশ মন্ত্র উচ্চারণ করা হতো। তার সঙ্গে পিঠা, পায়স,
মাংস, দুধ প্রভৃতি দ্রব্য সেই অগ্নিতে উৎসর্গ করা হতো। মাঝে মাঝে ঘি নিক্ষেপ করা হতো Ñ অগ্নিকে প্রজ্বলিত রাখার
জন্যে। এ পদ্ধতিটির নাম যাগ। ‘যাগ’ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে যজ্ঞ করা হতো। ‘যজ্ঞ’ শব্দটির মানে হচ্ছে প্রার্থনা। ঈপ্সিত
বৈদিক দেবতাকে মন্ত্রের মধ্য দিয়ে আহŸান করা হতো। বৈদিক যুগের ঋষিরা মনে করতেন, ঈপ্সিত দেবতা উপস্থিত
হয়েছেন, তারপর তাঁর কাছে সুনির্দিষ্ট প্রার্থনা জানাতেন। মন্ত্রগুলির তাই দুটি অংশ থাকত: স্তুতি ও প্রার্থনা। অগ্নি পৃথিবীর
দেবতা। তাই তাঁকে যেমন পূজা করা হতো, তেমনি তাঁর মাধ্যমে অন্য দেব-দেবীর কাছে স্তুতি ও প্রার্থনা পৌঁছে দেয়ার
প্রয়াস গ্রহণ করা হতো।
পুরোহিত যজ্ঞের কাজে প্রধান ভূমিকা পালন করতেন। যজমানেরা (যজ্ঞ কারীরা) পুরোহিতের মাধ্যমে যজ্ঞ সম্পাদন
করতেন।
যেহেতু অগ্নিদেবও মাধ্যম হিসেবে অন্য দেবতাদের কাছে যজমানের স্তুতি ও প্রার্থনা পৌঁছে দিতেন, তাই অগ্নির ভূমিকাও
অনেকটা পুরোহিতের মতোই। তাই অগ্নি দেবকে পুরোহিত বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, অন্যান্য বৈদিক দেব-দেবীরা
অগ্নিমুখে ভোজন করেন।
এখানে ঋগ্বেদ থেকে অগ্নিদেবের স্তুতিমূলক একটি মন্ত্র উপস্থাপন করছি। মন্ত্রগুলো ছন্দোবদ্ধ কবিতা Ñ তিন বা চার
পঙ্ক্তির।
অগ্নিমীলে পুরোহিতং
যজ্ঞস্য দেবমৃত্বিজম্।
হোতারং রতœধাতমম্ \
(১/১/১)
Ñ অগ্নি যজ্ঞের পুরোহিত, দীপ্তিমান, যজ্ঞে দেবগণের আহŸানকারী ঋত্বিকস্বরূপ, শ্রেষ্ঠরতœধারী।
ঊষা দেবী
বেদে দেবগণের চেয়ে দেবীদের সংখ্যা অনেক কম। এ অল্প সংখ্যক দেবীর মধ্যে ঊষা অতুলনীয়া।
ঊষা দেবী রাত্রির অন্ধকার দূর করেন। তিনি সন্ধান দেন আলোকোজ্জ্বল জগতের। তাঁর আগমনে প্রকৃতিতে জাগে
কর্মচাঞ্চল্য।
ঊষাকালের অধিষ্ঠাত্রী দীপ্তিময়ী ঊষা দেবীর কাছে ঋষি কবির প্রার্থনা :
‘হে দেবদুহিতা ঊষা, তুমি প্রভাত কর,
আমাদের ধন দান কর।
হে বিভাবরী, তুমি প্রভাত কর,
আমাদের অন্নদান কর।
হে দেবী, তুমি প্রভাত কর,
দানশীলা হয়ে আমাদের ধনদান কর।’
পৌরাণিক দেব-দেবী : বিষ্ণু, দুর্গা ও সরস্বতী
পৌরাণিক দেব-দেবীও অনেক। আমরা এখানে দৃষ্টান্ত স্বরূপ বিষ্ণুদেব ও সরস্বতীদেবীর পরিচয় তুলে ধরছি।
বিষ্ণু
ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যে রূপে জীব ও জগৎকে পালন করেন তাঁর নাম বিষ্ণু। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব পৌরাণিক দেব-দেবীর মধ্যে
প্রধান।
পুরাণে বিষ্ণুর রূপ বর্ণনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, চাঁদের আলোর মতো তাঁর গায়ের রং। তাঁর চার হাত, চার হাতে থাকে
চারটি দ্রব্য। ওপরের দিকের বাঁ হাতে থাকে শঙ্খ, ডান হাতে থাকে চক্র। বিষ্ণুর এ চক্রের নাম সুদর্শন। বিষ্ণুর নিচের
দিককার বাঁ হাতে থাকে গদা; আর ডান হাতে থাকে পদ্ম।
বিষ্ণুর বাহন গরন্ত পাখি।
বিষ্ণু পূজার নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই। যে-কোনো দিন বিষ্ণু পূজা করা যায়। উল্লেখ্য, অন্য সকল দেব-দেবীর পূজা করার
সময় বিষ্ণুর পূজা অবশ্য করণীয়।
তুলসী পাতা বিষ্ণুর খুব প্রিয়। তাই তুলসী পাতা ছাড়া বিষ্ণুর পূজা করা হয় না।
বিষ্ণুর আরেক নাম নারায়ণ। তিনি দুষ্টের দমন করেন। সজ্জনদের পালন করেন। অন্যায়-অবিচার দূর করে ন্যায় ও সত্যের
প্রতিষ্ঠা করেন।
বিষ্ণুর প্রণাম মন্ত্র
ওঁ নমো ব্রাহ্মণ্যদেবায়গোব্রাহ্মণহিতায় চ।
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ \
সরলার্থ
ব্রাহ্মণ্যদেব বিষ্ণুকে নমস্কার। পৃথিবী, ব্রাহ্মণ ও জগতের মঙ্গলকারী কৃষ্ণকে, গোবিন্দকে বারবার নমস্কার করি।
সরস্বতী দেবী
ব্রহ্ম বা ঈশ্বর যে রূপে নিজের জ্ঞানকে প্রকাশ করেন তাঁর নাম সরস্বতী দেবী।
সরস্বতী দেবী শিক্ষা, সাহিত্য, সঙ্গীত, নাট্যকলা, নৃত্যকলা, চিত্রকলা, ভাস্কর্যসহ সকল প্রকার সৃষ্টিশীল বা সুকুমার শিল্প এবং
জ্ঞান-বিজ্ঞানের দেবী। তিনি আমাদের সকল প্রকার জ্ঞান দান করেন।
সরস্বতী পূজার মধ্য দিয়ে জ্ঞানের প্রতি, সৃষ্টিশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
সরস্বতী দেবীর গাত্রবর্ণ শুভ্র। চন্দ্রের মতো তাঁর শোভা। তার হাতে থাকে পুস্তুক ও বীণা। বীণা হাতে থাকে বলে সরস্বতী
দেবীর আরেক নাম বীণাপাণি।
শ্বেত হংস সরস্বতী দেবীর বাহন।
পূজা-পার্বণ
দেব-দেবীদের পূজা করে তাঁদের সন্তুষ্ট করা হয়। এটা করা হয় ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য। আর বিশেষ বিশেষ দেব-
দেবীর কাছ থেকে বিশেষ বিশেষ গুণ বা ক্ষমতার প্রার্থনা জানানোর জন্য তাঁদের পূজা করা হয়।
পূজা শব্দটির মানে পুষ্প কর্ম। পুষ্প, পত্র, ধূপ, দীপ, ফল ও অন্যান্য দ্রব্যের নৈবেদ্য প্রভৃতি দিয়ে দেব-দেবীর আরাধনাকে
ও শ্রদ্ধা জানানোকে পূজা বলা হয়। পূজা সাকার উপাসনার একটি বিশেষ পদ্ধতি। পূজা করার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া
রয়েছে।
‘পার্বণ’ শব্দের অর্থ হলো উৎসব। ‘উৎসব’ বলতে বোঝায় আনন্দময় অনুষ্ঠান। পূজা নিত্যকার করণীয়। বিশেষ বিশেষ
তিথিতেও পূজা করা হয়। আর আড়ম্বরের সঙ্গে আয়োজিত ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানকে বলা হয় পার্বণ। পূজার মধ্য দিয়ে
ভক্ত ও দেবতা উভয়েই আনন্দ লাভ করেন। পূজা একক ও পারিবারিক ভাবে করা হয়। আবার সকলে মিলে
সামাজিকভাবেও করা হয়। সকলে মিলে সার্বজনীন যে পূজা করা হয় তা হয়ে ওঠে পার্বণ বা উৎসবমুখর।
পূজায় দেব-দেবীর প্রতিমা কেবল সামনেই থাকে না। পূজারীরা তাঁদের অন্তরেও ধারণ করে।
পূজার মধ্য দিয়ে একদিকে পূজারীর দেব-দেবীর প্রতি ঐকান্তিক ভক্তি প্রকাশ পায়, অন্যদিকে তা হয়ে ওঠে সামাজিক
সংহতির সূত্র এবং আনন্দময় উৎসব, সাংস্কৃতিক-নান্দনিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখার প্রক্রিয়া।
আমরা এখন দৃষ্টান্ত হিসেবে সরস্বতী দেবীর পূজার বর্ণনা দিচ্ছি।
দেবী সরস্বতী পূজা
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী দেবীর পূজা করা হয়। সরস্বতী দেবীর পূজার ক্ষেত্রেও সাধারণ পূজা বিধি
অনুসরণ করা হয়। পূজার এক পর্যায়ে সরস্বতী দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পুষ্পাঞ্জলির সুনির্দিষ্ট মন্ত্র রয়েছে।
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
ওঁ সরস্বত্যৈ নমো নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ \
এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ
ওঁ সরস্বত্যৈ নমঃ \
সরলার্থ
সরস্বতী, ভদ্রকালী এবং বেদ, বেদাঙ্গ, বেদান্ত ও বিদ্যাস্থানকে সর্বদা প্রণাম করি।
এ সচন্দন ও বিল্বপত্রের অঞ্জলি দিয়ে দেবী সরস্বতীকে শ্রদ্ধা জানাই।
সরস্বতী দেবীর প্রণামমন্ত্র
ওঁ সরস্বতি মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে \
সরলার্থ
হে মহাভাগ সরস্বতী, হে বিদ্যাদেবী, পদ্মফুলের মতো চক্ষুবিশিষ্টা, হে বিশ্বরূপা, বিশাল চক্ষুর অধিকারিণী, আমাকে বিদ্যা
দাও। তোমাকে প্রণাম জানাই।
পাঠ সংক্ষেপ
ঈশ্বরের কোনো গুণ বা শক্তিকে দেবতা বা দেব-দেবী বলা হয়। যেমনÑ বিষ্ণু ঈশ্বরের পালন শক্তি। ঈশ্বর যে-রূপে বিদ্যা
দেন, তার নাম সরস্বতী। দেব-দেবী তিন প্রকার Ñ বৈদিক, পৌরাণিক ও লৌকিক। বৈদিক দেবতা অগ্নি দেবতাদের
পুরোহিত। অন্যান্য বৈদিক দেব-দেবী অগ্নিমুখে ভোজন করেন। ঊষাকালে অধিষ্ঠিত দেবী ঊষা। পূজা সাকার উপাসনার
বিশেষ পদ্ধতি। দেব-দেবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাবশত তাঁদের পূজা করা হয়। অন্য দিকে বিশেষ বিশেষ দেব-দেবীর
কাছে বিশেষ বিশেষ গুণ বা শক্তি প্রার্থনা করেও পূজা করা হয়। যেমনÑ বিদ্যা লাভের জন্য বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা
করা হয়। উৎসবে রূপায়িত হলে পূজা হয়ে ওঠে পার্বণ। পূজার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। নির্দিষ্ট প্রণাম মন্ত্রে দেব-দেবীদের
প্রণাম জানানো হয়।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন: ১৬. ৫
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন:
১. ঈশ্বর যে-রূপে সৃষ্টি করেন তাঁর নাম কী?
ক. বিষ্ণু খ. ব্রহ্মা
গ. শিব ঘ. দুর্গা
২. সরস্বতী দেবী কী দান করেন?
ক. ধন খ. শক্তি
গ. বিদ্যা ঘ. সন্তান
৩. দেব-দেবী প্রধানত কত প্রকার?
ক. দুই খ. তিন
গ. চার ঘ. পাঁচ
৪. নিম্নলিখিত কোন দেবী লৌকিক হয়েও পৌরাণিক দেবীর মর্যাদা পেয়েছেন?
ক. বিষ্ণু খ. ইন্দ্র
গ. ব্রহ্মা ঘ. মনসা
৫. কোন দেবতাকে পুরোহিত বলা হয়েছে?
ক. সূর্য খ. অগ্নি
গ. বিষ্ণু ঘ. যম
৬. বিষ্ণুর চক্রের নাম কী?
ক. পাঞ্চজন্য খ. গান্ডীব
গ. সুদর্শন ঘ. সারথি
৭. বিষ্ণুর বাহনের নাম কী?
ক. শ্বেত হংস খ. হাতি
গ. সিংহ ঘ. গরুড় পাখি
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন
১. দেবতা বা দেব-দেবী বলতে কী বোঝেন?
২. ‘বৈদিক’ দেব-দেবী কত প্রকার? পৌরাণিক দেব-দেবীর পরিচয় দিন।
৩. বিষ্ণুর রূপ বর্ণনা করুন।
৪. পূজা বলতে কী বোঝায়?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. বৈদিক দেবতা রূপে অগ্নির বর্ণনা দিন।
২. বিষ্ণু দেবের পরিচয় দিন।
৩. সরস্বতী দেবীর পরিচয় দিন।
৪. সরস্বতী দেবীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রটি লিখুন এবং তার সরলার্থ বলুন।
৫. দেব-দেবীদের পূজা করা হয় কেন? বুঝিয়ে লিখুন।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত