বাংলাদেশে শিক্ষাক্ষেত্রে খ্রীষ্টানদের অবদান সম্পর্কে ব্যাখ্যা কর

স্বর্গারোহণের আগে পুনরুত্থিত যীশু তাঁর এগারোজন প্রেরিতদূতদের আদেশ দিয়ে বললেন: “তোমরা জগতের সর্বত্রই যাও;
বিশ্বসৃষ্টির কাছে তোমরা ঘোষণা কর মঙ্গলসমাচার! যে বিশ্বাস করবে আর দীক্ষাøাত হবে, সে পরিত্রাণ পাবে। যে বিশ্বাস
করবে না, সে কিন্তু শাস্তিই পাবে। যারা বিশ্বাস করবে, তাদের সমর্থনে তখন ঘটতে থাকবে এই সব অলৌকিক ঘটনা :
তারা আমার নামে অপদূত তাড়াবে, তারা নতুন-নতুন ভাষায় কথা বলবে, তারা হাতে ক’রে সাপ তুলবে আর মারাত্মক বিষ
খেলেও তাদের কোন ক্ষতি হবে না। তারা রোগীদের উপর হাত রাখলেই রোগীরা ভাল হয়ে উঠবে” (মার্ক ১৬:১৫Ñ১৮)।
এই আদেশ পালন করতে করতেই খ্রীষ্টবিশ্বাসীগণ বিশ্বের সবত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
খ্রীষ্টমন্ডলীর ইতিহাস সুদীর্ঘ দুই হাজার বছর পুরনো। এশিয়া মহাদেশের মধ্যপ্রাচ্যে এর উদ্ভব হলেও প্রথম দিকে এর
অপেক্ষাকৃত অধিক বিস্তৃতি ঘটে ইউরোপ মহাদেশে। অতঃপর ইউরোপ হতে অন্যান্য মহাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। ইসলাম
ধর্মের ন্যায় খ্রীষ্টধর্মও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচারিত হয়েছিল মিশনারীদের দ্বারা। কথিত আছে যে, যীশুর বারোজন প্রেরিতদূতের
মধ্যে দু’জন Ñ সাধু টমাস এবং বার্থালোমেয় Ñ দক্ষিণ এশিয়ায় খ্রীষ্টধর্ম প্রচার করতে এসেছিলেন খ্রীষ্টিয় প্রথম শতাব্দীতেই।
তবে পাক-ভারত উপমহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল হতে বিস্তার লাভ করতে করতে বর্তমান বাংলাদেশে খ্রীষ্টধর্মের বিস্তার ঘটতে
শুরু করে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধে ও ষোড়শ শতাব্দীর গোড়ার দিকে Ñ পর্তুগীজ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক কর্মকান্ড বিস্ত
ারের সাথে সাথে। পঞ্চদশ শতকের শেষার্ধে পর্তুগীজরা ব্যাপকভাবে ভারতে বাণিজ্য করতে আসে এবং তাদের সাথে সাথে
খ্রীষ্টান মিশনারীগণ আসেন। ইউরোপের পর্তুগাল দেশ থেকে তারা আসতেন বলে তাদের বলা হতো পর্তুগীজ।
বাংলাদেশে খ্রীষ্টানদের কয়েকটি মন্ডলী বা চার্চ গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে প্রধান দুটি হচ্ছে কাথলিক ও প্রোটেষ্টাণ্ট। খ্রীষ্টান
চার্চের মধ্যে কাথলিক মন্ডলীই সবচেয়ে পুরনো এবং জনসংখ্যার বিচারে তারা দুই-তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য মন্ডলীর
খ্রীষ্টানদের জনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে সর্বমোট ৬টি কাথলিক ধর্মপ্রদেশ আছে, যথা: ঢাকা
মহাধর্মপ্রদেশ, চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশ, দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশ, খুলনা ধর্মপ্রদেশ, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশ ও রাজশাহী ধর্মপ্রদেশ।
প্রতিটি ধর্মপ্রদেশের প্রধান হলেন ধর্মপাল বা বিশপ। প্রতিটি ধর্মপ্রদেশে রয়েছে কয়েকটি ধর্মপল্লী বা প্যারিশ। বর্তমানে
বাংলাদেশে কাথলিক মন্ডলীর রয়েছে প্রায় ৮০টি ধর্মপল্লী। প্রত্যেক ধর্মপল ীতে পালকীয় দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন এক বা -
একাধিক যাজক/পুরোহিত। আর প্রোটেস্টান্টদের মধ্যে যারা পালকীয় পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত থাকেন তাদেরকে বলা হয়
পাস্টর বা পালক। কাথলিক মন্ডলীর সেবাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন যাজক, সন্ন্যাসব্রতী ব্রাদার ও সিষ্টার, ধর্মপ্রচারক, শিক্ষক,
সমাজকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী ইত্যাদি। কাথলিকদের পরেই বাংলাদেশে প্রোটেষ্টান্ট মিশনারীরা প্রচার কাজ শুরু করেন আজ থেকে
দুই শত বছর আগে। বাংলাদেশে প্রোটেষ্টান্ট চার্চ বা মন্ডলীগুলোর মধ্যে প্রধান হচ্ছে এ্যাংলিকান ও ব্যাপ্টিষ্ট মন্ডলী। ড.
উইলিয়াম কেরী দিনাজপুরে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাপ্টিষ্ট গীর্জাঘর স্থাপন করেন ১৭৯৬ খ্রীষ্টাব্দে। তাঁর প্রচেষ্টার ফলেই বাংলা
ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাইবেল অনুবাদ করা হয়। বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশের ধারায় ড. উইলিয়াম কেরীর অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশী খ্রীষ্টান জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই আদিবাসী/উপজাতি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকায় প্রধান খ্রীষ্টান জনগোষ্ঠী হচ্ছে
মান্দী বা গারো, দিনাজপুর-রাজশাহী-রংপুর এলকায় সান্তাল ও ওঁরাও, সিলেট অঞ্চলে খাসিয়া, রাঙ্গামাটি-বান্দরবন এলাকায়
চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি।
ফল দিয়ে যেমন বৃক্ষের পরিচয়, তেমনি কাজ দিয়ে মানুষ ও তার ধর্মবিশ্বাসের আসল পরিচয়। খ্রীষ্টধর্মের মূল শিক্ষা হচ্ছে
ভালোবাসা : (১) ঈশ্বরকে সমস্ত মনপ্রাণ ও শক্তি দিয়ে ভালোবাসা এবং (২) প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালোবাসা।
সৃষ্টিকর্তার আনুষ্ঠানিক পূজা-আরাধনা ছাড়াও বাস্তব জীবনে ধর্মবিশ্বাসের প্রকাশ ঘটে মানুষের প্রতি ভালবাসা ও সেবায়।
প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের তথা মন্ডলীর পরিচয় ফুটে ওঠে তাদের জীবনযাত্রায় ও সেবাকাজে। আপাতঃদৃষ্টিতে যাকে নিছক
দাতব্য বা সমাজকল্যাণমূলক কাজ বলে মনে হয়, খ্রীষ্টিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তা-ই ধর্মবিশ্বাসের বাস্তবায়ন ও বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য খ্রীষ্টমন্ডলীগুলো যেসব সেবাকাজে নিয়োজিত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য
হচ্ছে শিক্ষা বিস্তার, স্বাস্থ্যসেবা, মানবিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচন। এসব কাজের মধ্য দিয়ে মন্ডলীগুলো খ্রীষ্টিয় সাক্ষ্য বহন করে চলছে।
১। শিক্ষা
শিক্ষাবিস্তার মন্ডলীর অন্যতম প্রধান সেবাকাজ। বাংলাদেশে খ্রীষ্টমন্ডলী প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া
হযেছে। সংখ্যার দিক দিয়ে স্বল্প হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশ মন্ডলী উল্লেখযোগ্যা অবদান রেখে চলেছে। জনগণের মাঝে
শিক্ষাবিস্তারের জন্য কাথলিক মন্ডলী উল্লেখযোগ্য যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে তার মধ্যে রয়েছে ঢাকা শহরে ৪টি
কলেজ যথা: নটর ডেম কলেজ (১৯৪৯), হলিক্রস কলেজ (১৯৫০), সেন্ট যোসেফ স্কুল (১৯৫৪) ও কলেজ (২০০২) এবং
আর্চবিশপ টি এ গাঙ্গুলী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (২০০৯)। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৫০টি হাইস্কুল, ১০টির মতো জুনিয়র
হাইস্কুল এবং ৫৫০টির মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া রয়েছে বেশ কিছু বয়স্ক-শিক্ষা কেন্দ্র ও লিটারেসী প্রকল্প। এ ছাড়া
এ্যাংলিকান ও ব্যাপ্টিষ্ট মন্ডলীরও বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঢাকার ওয়াই ডবিউ সি
এ হাইস্কুল ও কলেজ, বরিশালের অক্সফোর্ড মিশন স্কুল, বরিশাল ব্যাপ্টিষ্ট মিশন স্কুল, লালমনিরহাট ব্যাপ্টিষ্ট মিশন স্কুল, এ জি চার্চ স্কুল, ইত্যাদি।
স্কুল-কলেজ ছাড়াও কারিগরী ও পেশাভিত্তিক শিক্ষার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি কারিগরী বিদ্যালয় ও মহিলাদের জন্য
সেলাই সেন্টার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে ছেলেদের ও মেয়েদের জন্য হোস্টেল, বয়েজ হোম, এতিমখানা,
শিশুভবন, ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানের বাইরে যুবক-যুবতী ও ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ও গঠনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন
যুবসেবাদল, ওয়াই সি এস, আই এম সি এস, ওয়াই এম সি এ, খ্রীষ্টান ছাত্র সংগঠন, কাথলিক নার্সেস গীল্ড, ইত্যাদি।
২। রুগ্ণ-পীড়িতদের সেবা
রুগ্ণ-পীড়িতদের সেবাদানের জন্য বিভিন্ন খ্রীষ্টান অধ্যুষিত এলাকায় নির্মিত হয়েছে হাসপাতাল, ডিসপেনসারী, শিশুসদন,
মাতৃসদন, স্বাস্থ্য পরিচর্যা কেন্দ্র, কুষ্ঠাশ্রম ইত্যাদি। এদের মধ্যে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রীষ্টান হাসপাতাল, চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিষ্ট
হাসপাতাল, যশোহরে ফাতিমা হাসপাতাল, তুমিলিয়া সেন্ট মেরীজ কাথলিক মাতৃসেবা কেন্দ্র, বারোমারী ও জলছত্র মিশনে
হাসপাতাল ও কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ প্রকল্প, রাজশাহীতে মিশন হাসপাতাল, ধানজুরী কুষ্ঠরোগীদের হাসপাতাল, দিনাজপুর সেন্ট
ভিনসেন্ট হাসপাতাল, শেলাবুনিয়া সেন্ট পল হাসপাতাল, পঙ্গু পুনর্বাসন প্রকল্প, তেজগাঁও মাদার তেরেজার হোম অব
কমপেশন ইত্যাদি। এসব সেবাকাজের উদ্দেশ্য হচ্ছে Ñ দুর্বল-অসহায়, রুগ্ন-পীড়িত ও অভাবগ্রস্তদের মধ্যে খ্রীষ্টকে দেখা, ভালোবাসা ও তাদের যতœ নেওয়া।
৩। দরিদ্রসেবা ও সমাজ-উন্নয়নমূলক কাজ
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হাসপাতাল, কুষ্ঠাশ্রম, স্কুল, অন্ধ স্কুল প্রভৃতি সেবা ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা।
এসব সেবাকাজের লক্ষ্য হচ্ছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মানবিক উন্নয়ন। তবে
যীশুর নীতি অনুসরণ করে দরিদ্র, অসহায় ও অবহেলিতদের মাঝেই এসব কাজ হয় বেশি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য
রয়েছে সমবায় ও ঋণদান সমিতি, হাউজিং সোসাইটি, কারিতাস বাংলাদেশ, সি.সি.ডি.বি., ওয়াই ডবিøউ সি এ, জাগরণী,
কোর দ্যা জুট ওয়ার্কস, ওয়ার্ল্ড ভিশন, সেন্ট ভিন্সেন্ট দ্যা পল সমিতি ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে দারিদ্রবিমোচন ও
জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়।
সারসংক্ষেপ : “প্রেরিতদূতেরা যা-কিছু উপদেশ দিতেন, সকলে তা নিষ্ঠার সঙ্গেই শুনত; তারা মিলেমিশেই জীবন যাপন
করত এবং নিয়মিত ভাবেই রুটি-ছেঁড়ার অনুষ্ঠানে ও প্রার্থনাসভায় যোগ দিত। সেখানকার প্রতিটি মানুষের মনে কেমন যেন
একটা ভয়-বিস্ময় জেগে উঠতে লাগল, কেন না প্রেরিতদূতেরা সেই সময় বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটাচ্ছিলেন, বহু ঐশ নিদর্শন
দেখাচ্ছিলেন। খ্রীষ্টবিশ্বাসীরা তো সকলেই ঐক্যবদ্ধ ছিল; তাদের সব-কিছুই ছিল সকলের সম্পত্তি। তারা নিজেদের
বিষয়সম্পদ বিক্রি ক’রে যা পেত, তা সকলের মধ্যে প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুসারেই ভাগ ক’রে দিত। দিনের পর দিন তারা
একপ্রাণ হয়ে নিয়মিত ভাবেই মন্দিরে যেত এবং তাদের ঘরে রুটি-ছেঁড়ার অনুষ্ঠানও করত; তারা আন্তরিক আনন্দ ও
সরলতার সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করত। নিত্যই ঈশ্বরের বন্দনা করত তারা; সকলেই তাদের ভালবাসত। প্রভু
পরিত্রাণে পথে যাদের নিয়ে আসছিলেন, তাঁরই প্রেরণায় তেমন সব মানুষ দিনের পর দিন এসে শিষ্যদলে যোগ দিচ্ছিল।”
“খ্রীষ্টবিশ্বাসী সমাজের সবাই ছিল একমন একপ্রাণ। তাদের কেউই নিজের কোন সম্পত্তি নিজের ব’লে দাবি করত না; সবকিছুই ছিল সকলের সম্পত্তি। প্রেরিতদূতেরা মহাশক্তিতে উদ্দীপিত হয়ে প্রভু যীশুর পুনরুত্থানের বিষয়ে তাঁদের সাক্ষ্যবাণী
প্রচার করতেন। তাঁরা সবাই ছিলেন ঈশ্বরের খুবই অনুগ্রহধন্য মানুষ। ধর্মভাইদের মধ্যে কেউই অভাবে দিন কাটাতো না;
কারণ তাদের মধ্যে জমির কিংবা বাড়ির যারা মালিক ছিল, তারা তা বিক্রি করে দিত; বিক্রি ক’রে যে-টাকাটা পেত, তা
নিয়ে এসে তারা প্রেরিতদূতদের পায়ের কাছে রেখে দিত; আর সেই টাকাটা প্রত্যেকের প্রয়োজন অনুসারেই ভাগ ক’রে
দেওয়া হতো।”
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে যীশুর আদেশ অনুসারে জীবন যাপন করা ও পরিত্রাণের বাণী বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়াই হচ্ছে
খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের আহŸান। দৈনন্দিন জীবনে সেই আহŸানে সাড়া দিয়েই খ্রীষ্টবিশ্বাসীগণ তাদের কর্মজীবনে মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজে জীবন নিবেদন করে থাকে। মনে রাখুন
ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে যীশুর আদেশ অনুসারে জীবন যাপন করা ও পরিত্রাণের বাণী বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়াই হচ্ছে
খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের আহŸান।
পাঠোত্তর মূল্যায়ন: ১৭.৭
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√ ) চিহ্ন দিন
১। বাস্তব জীবনে ধর্মবিশ্বাসের প্রকাশ ঘটে কিভাবে?
(ক) ধর্মশাস্ত্রে পান্ডিত্যের মাধ্যমে
(খ) মানুষের প্রতি ভালবাসা ও সেবায়
(গ) যাগযজ্ঞ ও জপতপের মাধ্যমে
(ঘ) গরীবদের সাহায্যদানের মাধ্যমে
২। খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের আহŸান কি?
(ক) যীশুর আদেশ অনুসারে জীবন যাপন করা
(খ) পরিত্রাণের বাণী বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া
(গ) যীশুর আদেশ অনুসারে জীবন যাপন করা ও পরিত্রাণের বাণী সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া
(ঘ) জনকল্যাণমূলক কাজ করা
৩। আপাতঃদৃষ্টিতে যাকে নিছক দাতব্য বা সমাজকল্যাণমূলক কাজ বলে মনে হয়, খ্রীষ্টিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে তাই হচ্ছে -
(ক) মহা পুণ্যের কাজ
(খ) আসল ধর্মপ্রচার
(গ) ধর্মবিশ্বাসের বাস্তবায়ন ও বহিঃপ্রকাশ
(ঘ) ঈশ্বরের উপাসনা
৪। আদি খ্রীষ্টমন্ডলীর বিশ্বাসীদের জীবনযাত্রার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
(ক) সর্বত্র ধর্মপ্রচার করা
(খ) সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা
(গ) ব্যবসা-বাণিজ্য করা
(ঘ) একত্র মিলেমিশে জীবন যাপন ও প্রার্থনা করা

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]