সামাজিক সচলতা কি? সামাজিক সচলতার রূপগুলো বিশ্লেষণ করুন।

> ভ‚মিকা
সামাজিক সচলতা সমাজবিজ্ঞানীদের গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সামাজিক সচলতার
ভিতর দিয়ে মানুষ এক শ্রেণী বা স্তর থেকে অন্য শ্রেণী বা স্তরে চলে আসে। এই প্রক্রিয়ায়
কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সামাজিক স্তরবিন্যাসের সোপান বেয়ে উপরে উঠে যেতে পারে অথবা
নিচে পতিত হতে পারে। সামাজিক সচলতা সব সমাজেই কম বেশি কাজ করে। এমনকি
অনড় এবং দৃঢ় জাত-বর্ণের মধ্যেও সচলতা ক্রিয়াশীল। তবে মনে করা হয় শিল্প-ভিত্তিক
সমাজে মুক্ত স্তরবিন্যাস বিরাজ করে এবং এখানে সচলতা অনেক বেশি
সামাজিক সচলতা : সংজ্ঞা
ঙীভড়ৎফ উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঝড়পরড়ষড়মু অনুযায়ী সামাজিক সচলতা বলতে বোঝায় “সামাজিক
স্তরবিন্যাসের
বিভিন্ন অবস্থানের মধ্যে সাধারণত: ব্যক্তি, কিন্তু কখনও পূর্ণ গোষ্ঠীর চলাচল।”
ঞযব সড়াবসবহঃ - ঁংঁধষষু ড়ভ রহফরারফঁধষং নঁঃ ংড়সবঃরসবং ড়ভ যিড়ষব মৎড়ঁঢ়ং নবঃবিবহ
ফরভভবৎবহঃ ঢ়ড়ংরঃরড়হং রিঃযরহ ঃযব ংুংঃবস ড়ভ ংড়পরধষ ংঃৎধঃরভরপধঃরড়হ রহ ধহু ংড়পরবঃু.
সচলতা পরিমাপ করতে সমাজবিজ্ঞানীদের অবশ্য শ্রেণীর সীমাবদ্ধ ধারণা নিয়ে কাজ করতে
হবে। পরিমাপের সুবিধার জন্য তারা পেশাকে শ্রেণীর সমতুল্য হিসাবে গ্রহণ করেন।
সামাজিক সচলতার রূপ
সামাজিক সচলতার এক ধরনের ভাগ হচ্ছে উলম্ব ঠবৎঃরপধষ এবং আনুভ‚মিক ঐড়ৎরুড়হঃধষ
সচলতা। উলম্ব সচলতার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি উর্ধ্বগামী সচলতা টঢ়ধিৎফ গড়নরষরঃু অর্জন
করতে পারে। এর অর্থ হচ্ছে কোন ব্যক্তি নিজের শ্রেণী বা মর্যাদাগোষ্ঠী থেকে উপরের শ্রেণী বা
মর্যাদা গোষ্ঠীতে প্রবেশ করতে পারে।

একইভাবে কোন ব্যক্তি নিজের শ্রেণী বা মর্যাদাগোষ্ঠী থেকে চ্যুত হয়ে নিচের স্তরে নেমে যেতে
পারে।
আনুভ‚মিক সচলতায় কোন ব্যক্তি একই শ্রেণীর মধ্য থেকে পেশা বা জীবন-যাত্রার পরিবর্তন
ঘটায়। একজন ডাক্তার সরকারী চাকুরী ছেড়ে ব্যক্তিগতভাবে ডাক্তারী করলে তা তার শ্রেণীগত
অবস্থানের কোন পরিবর্তন ঘটায় না।
...জাতপ্রথা নিঃসন্দেহে এক সর্বভারতীয় ব্যবস্থা-বিশেষ এই অর্থে যে এর মধ্যে সবার
স্থানই জন্মসূত্রে নির্ধারিত; স্থানীয় গোষ্ঠীসমূহ এক একটি বিন্যাস গঠন করে, এবং তাদের
সবাই সাবেক যুগ থেকেই এক একটা পেশার সঙ্গে যুক্ত। গত পঞ্চাশ বছরে একই ঘটনা
দেখা গেছে ভারতের বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে।
উইলিয়ম রো বলেছেন, ১৯৩৬ সালে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত সেনাপুর গ্রামে
ননিয়ারা (আগে এর নুন বানাত, এখন টিউবওয়েল বসানো, রাস্তা, পুকুর তৈরী, টালি বা
ইট তৈরীর কাজ করে) একসঙ্গে পৈতে ধারণ করলে সেখানকার ক্ষুব্ধ ক্ষত্রিয় জমিদাররা
তাদের মেরে ধরে, পৈতে ছিঁড়ে সমগ্র জাতের উপর জরিমানা ধার্য করে দিল। কয়েক বছর
পর ননিয়ারা আবার পৈতে নিল, তখন কিন্তু কেউ বিরোধিতা করল না।
...এখানে বলা দরকার, সাবেক যুগে জাত প্রথার এই গতিশীল বৈশিষ্ট্যের দরুন কোন
বিশেষ জ্ঞাতগোষ্ঠী বা জাতের একাংশের অবস্থানগত পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু কাঠামোগত
কোন পরিবর্তন হয়নি। অর্থাৎ বিশেষ কোনো জাত উপরে উঠেছে বা নীচে নেমেছে, কিন্তু
কাঠামো একই রয়ে গেছে।
আদি ও মধ্যযুগের ভারতীয় সমাজের অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। সামাজিকভাবে নীচু বংশোদ্ভবের
শাসকদের এই সমাজ ‘শুদ্ধ' ও ক্ষত্রিয় মর্যাদা দানে অকুণ্ঠ ছিল। এই বিশিষ্ট গুণের জোরেই
ভারতীয় সভ্যতা সুচিরস্থায়ী ঐতিহ্য ও স্থায়িত্ব লাভ করেছে।
যুগ যুগ ধরে বিশেষ বিশেষ বর্ণের ওঠানামার বিষয়টি ছাড়াও বর্ণব্যবস্থার যথাযথ
পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তা মোটামুটি সবার কাছেই মুক্ত ছিল। এটা আরোও বোঝা
যায় আদি যুগে অন্যান্য জাতিগোষ্টী থেকে ক্ষত্রিয় হওয়া থেকে। যেমন গ্রীক, শক ও পহলব
গোষ্ঠী।পানিক্কর বলেইছেন যে ইতিহাসের আদি যুগে ক্ষত্রিয় বলে কিছু ছিল না, খৃ:পূ:
পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত শাসক পরিবারগুলো আসত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে।
বার্টন স্টেইন মধ্যযুগকে সামাজিক সচলতার দৃষ্টান্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন। তত্ত¡
ও বাস্তবের মধ্যে বৈপরীত্য দেখিয়ে বলেছেন, তত্ত¡গতভাবে শুদ্ধজাতে জন্মের সূত্রে মর্যাদা
ঠিক হত, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নি¤œ বংশের মানুষই শাসন
করে এসেছে। এই সাধারণীকরণ দক্ষিণ ভারতের যোদ্ধাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
#NAME?
আন্তঃ প্রজন্ম সচলতা এবং প্রজন্মগত সচলতা
সচলতা বোঝার জন্য সমাজবিজ্ঞানীরা প্রধানত: দেখতে চান দু'প্রজন্মের মধ্যে কি ধরনের
পার্থক্য ঘটছে। বাবার সামাজিক শ্রেণী থেকে সন্তান কি উপরের শ্রেণীতে উঠে যেতে পারছে না

নীচে নামছে। কোন কোন সমাজবিজ্ঞানী আবার দেখতে চান মানুষ তার নিজের জীবনে শ্রেণী
পরিবর্তন করতে পারছে কিনা।
তবে সমাজবিজ্ঞানে আন্ত:প্রজন্ম সচলতা গবেষণা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে দেখা হয়
একজন মানুষের জীবনের দু'টি বিন্দুতে পেশাগত পরিবর্তন কি ঘটছে। একজন অফিসের
পিয়ন যদি এ্যাকাউনট্যান্ট হয়ে যায় তবে এটি আন্ত:প্রজন্ম সচলতার উদাহরণ।
সামাজিক সচলতার উপর সমাজবিজ্ঞানীরা দেখতে চেয়েছেন বিভিন্ন সামাজে উলম্ব সচলতার
ধরন কেমন। সাধারণভাবে দেখলে শিল্প-ভিত্তিক সমাজগুলোতে সচলতার হার একই রকম।
তবে সূক্ষভাবে দেখলে দেখা যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক শ্রেণী থেকে সবচেয়ে উঁচু পেশাজীবী
শ্রেণীতে যাওয়ার হার অন্যান্য দেশ থেকে অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার ব্যাপক
বিস্তার এবং আনুষ্ঠানিক অভিজাত শ্রেণী না থাকার জন্য এই দ্রুত সচলতা সম্ভব হয়।
সামাজিক সচলতার তাৎপর্য
মার্কস্ মনে করতেন সামাজিক শ্রেণীগুলোর মধ্যে যত বেশি মেরুকরণ ঘটবে তত বেশি দ্বন্দ¡ ও
বিপ্লবের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কিন্তু শিল্প-ভিত্তিক সমাজে সামাজিক সচলতা বেড়ে যাওয়ায়
শ্রেণীদ্বন্দ¡ কমে গেছে। শিল্প-ভিত্তিক সমাজ মুক্ত সমাজ হওয়ায়, ব্যক্তির পক্ষে শ্রমিক শ্রেণী
থেকে উপরে উঠে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষালাভের ব্যাপক সুযোগ মূলত: এক্ষেত্রে সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে। তাই সচলতার জন্য শ্রেণীগত আন্দোলন নয়, ব্যক্তিগত
উদ্যোগই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সামাজিক সচলতা শ্রেণীদ্বন্দে¡র উত্তেজনা হ্রাসের
একটি নিরাপদ উপায়। তার কারণ শ্রমিক শ্রেণীর যোগ্য এবং মেধাবী সন্তানরা উপরের
শ্রেণীতে উঠে যেতে পারে।
অক্সফোর্ড সচলতা গবেষণা
১৯৭২ সালে বৃটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন গোল্ডথর্পঔড়যহ এড়ষফঃযড়ৎঢ়ব এবং তাঁর
সহযোগী সমাজবিজ্ঞানীরা সচলতার উপর ১৯৪৯ সালের পরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা
করেন। এই গবেষণায় দেখা হয়েছিল সাতটি সামাজিক শ্রেণীর মধ্যে আন্ত: প্রজন্ম সচলতার
রূপ কি। এই গবেষণা থেকে দেখা যায় অদক্ষ বা আধা দক্ষ শ্রমিকের ছেলে-মেয়ে ৭.১ শতাংশ
সবচেয়ে উঁচু শ্রেণীতে যেতে পারে। দক্ষ শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এই হার প্রায় একই রকম ৭.৮
শতাংশ। তবে সামগ্রিকভাবে বৃটেনে দেখা যায় সচলতার হার বেশ বেশি। নি¤œ সচলতার
হারের চাইতে উর্ধ্ব সচলতার হার অনেক বেশি। শ্রমিক শ্রেণীর পক্ষে উর্ধ্ব সচলতা লাভ করার
সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছিল।
শ্রেণী পরিচিতি
১. উঁচু পেশাজীবী, উঁচু প্রশাসক, বড় কারখানার ম্যানেজার এবং বিশাল সম্পত্তির মালিক।
২. নিচু পেশাজীবী, উঁচু যন্ত্রবিদ ঞবপযহরপরধহ ছোট প্রশাসক, ছোট ব্যবসার ম্যানেজার,
অকায়িক শ্রমজীবীদের তত্ত¡াবধয়ক।
৩. কেরাণী এবং কর্মচারী।
৪. ছোট মালিক এবং স্ব-নিয়োজিত কারিগর।
৫. নিচু যন্ত্রবিদ এবং শ্রমজীবীদের তত্ত¡াবধায়ক।
৬. দক্ষ শ্রমিক।

৭. আধা-দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিক।
সারাংশ
সামাজিক সচলতা হল সামাজিক স্তরবিন্যাসের বিভিন্ন অবস্থানের মধ্যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর
চলাচল। এর মধ্যে মানুষ এক শ্রেণী বা স্তর থেকে অন্য শ্রেণী বা স্তরে চলে আসে। সব
সমাজেই কম বেশি এটি কাজ করে থাকে। সামাজিক সচলতার এক ধরনের ভাষা হচ্ছে
উলম্ব ও আনুভ‚মিক সচলতা। উলম্ব সচলতার কোন ব্যক্তি নিজের শ্রেণী বা মর্যাদা গোষ্ঠী
থেকে উপরের শ্রেণী বা মর্যাদা গোষ্ঠীতে যেমন প্রবেশ করতে পারে তেমনি মর্যাদাগোষ্ঠী
থেকে চ্যুত হয়ে নিচের স্তরেও নেমে যেতে পারে। অপরদিকে আনুভ‚মিক সচলতায়
একজন ব্যক্তি একই শ্রেণীর মধ্যে থেকে কেবল পেশা বা জীবন-যাত্রার পরিবর্তন ঘটায়।
সমাজবিজ্ঞানে আন্ত:প্রজন্ম সচলতার গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে দেখা হয়
পিতা এবং সন্তানের মধ্যে পেশাগত পরিবর্তন ঘটেছে কিনা। সমাজবিজ্ঞানীরা সামাজিক
সচলতার ক্ষেত্রে দেখতে চান বিভিন্ন সমাজে উলম্ব সচলতার ধরন কেমন। মার্কস্ মনে
করতেন সামাজিক শ্রেণীগুলোর মধ্যে যত বেশি মেরুকরণ ঘটবে তত বেশি দ্বন্দ¡ ও
বিপ্লবের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। কিন্তু শিল্পভিত্তিক সমাজে সামাজিক সচলতা বেড়ে
যাওয়ায় শ্রেণীদ্বন্দ¡ কমে গেছে। এখানে মুক্ত সমাজ বলে ব্যক্তির পক্ষে শ্রমিক শ্রেণী থেকে
উপরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা লাভের ব্যাপক সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করছে।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. কোন সচলতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি উর্ধ্বগামী সচলতা অর্জন করতে পারে?
ক. আনুভ‚মিক খ. উলম্ব
গ. আনুভ‚মিক ও উলম্ব ঘ. উপরের কোনটিই নয়
২. নিচের কোন ধরনের সচলতায় একজন ব্যক্তি একই শ্রেণীর মধ্য থেকে পেশা বা
জীবন যাত্রার পরিবর্তন ঘটায়?
ক. উলম্ব খ. আনুভ‚মিক
গ. আন্ত: প্রজন্মমূলক ঘ. প্রজন্মগত
৩. বৃটেনে গোল্ডথর্প ও তাঁর সহযোগীরা কত সালে সামাজিক সচলতার উপর
গবেষণা করেছিলেন?
ক. ১৯৭২ খ. ১৯৮২
গ. ১৯৮৯ ঘ. ১৯৯২
৪. নিচের কোন উক্তিটি সঠিক?
ক. শিল্প-ভিত্তিক সমাজ মুক্ত সমাজ হওয়ায়, ব্যক্তির পক্ষে শ্রমিক শ্রেণী থেকে
উপরে উঠে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে
খ. শিল্প-ভিত্তিক সমাজে সামাজিক সচলতা বেড়ে যাওয়ায় শ্রেণী দ্বন্দ¡ বেড়ে গেছে
গ. ক ও খ উভয়ই
ঘ. উপরের কোনটিই নয়
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. আন্ত: প্রজন্ম ও প্রজন্মগত সচলতা বলতে কি বোঝেন ?
২. উলম্ব ও আনুভুমিক সচলতা কি ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. সামাজিক সচলতা কি? সামাজিক সচলতার রূপগুলো বিশ্লেষণ করুন।
২. সামাজিক সচলতার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]