. অপরাধ প্রতিরোধে আদালতের ভ‚মিকা কি ?
কঠোর শাস্তি প্রদান কি অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি করে ?
২. অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের ভ‚মিকা কি?


অপরাধ প্রতিরোধ
ভ‚মিকা
প্রত্যেক সমাজে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অপরাধ এবং শাস্তি
প্রদানের যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এবং প্রক্রিয়া সমাজে দেখা যায় তা বেশ জটিল। আধুনিক
সমাজে চারটি বিষয় এর সঙ্গে যুক্তÑ আইন, পুলিশ, আদালত ও কারাগার বা সংশোধনাগার।
কোন সমাজে শাস্তির দর্শন কি, তার সাধারণ নীতিমালা কি এবং শাস্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে
তা বিধৃত করে আইন। আইনের প্রয়োগ করে পুলিশ, আইনের আলোকে বিচার সম্পাদন করে
আদালত। শাস্তির প্রধান ধরন হচ্ছে কারাদন্ড-ব্যক্তিকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়
কারাগারের অন্তরালে।
আইন
প্রাকৃতিক আইনের ধারণায় মনে করা হয় অপরাধের প্রতিশোধ অথবা ক্ষতিপূরণ হিসাবে শাস্তি
প্রদান করা উচিত। এ ধরনের শাস্তির লক্ষ্য হচ্ছে ‘চোখের বদলে চোখ'। আধুনিক
অপরাধবিজ্ঞানে শাস্তি হচ্ছে নিবারণমূলক; শাস্তির ভয়ে মানুষ যেন অপরাধ থেকে বিরত থাকে।
অপরাধের তুলনায় শাস্তি দেওয়া হয় অনেক কম। অবশ্য এখনও উন্নয়নশীল দেশে অনেক
আইন প্রণেতা এবং আইনজ্ঞরা মনে করেন কঠোর শাস্তি নিবারণমূলক। গবেষণা থেকে এ দু'টি
মতের পক্ষে বা বিপক্ষে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় না। অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন
কঠোর শাস্তি অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি করে। কেননা অপরাধীর পক্ষে আর কখনও স্বাভাবিক
জীবনে ফিরে আসা সম্ভব হয় না। অপরাধকে তার পেশা হিসাবে বেছে নিতে নয়। এ
দৃষ্টিকোণ থেকে শাস্তির চাইতে অপরাধীর পুনর্বাসন অপরাধ প্রতিরোধে অনেক কার্যকর।
পুলিশ
অপরাধ নিবারণে পুলিশের ভ‚মিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ অপরাধ সম্পাদনে বাধা দেয়,
সম্ভাব্য অপরাধীকে গ্রেফতার করে এবং অপরাধের প্রমাণ পেলে তাকে বিচারের জন্য আদালতে
প্রেরণ করে। পুলিশ সক্রিয়, দক্ষ এবং দুর্নীতিমুক্ত হলে এবং তাদের সংখ্যা ও উপকরণ পর্যাপ্ত
থাকলে কোন সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি না পাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশে পুলিশের বেতন কম, তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে
এবং তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। ফলে তারা অপরাধ প্রতিরোধে কাক্সিক্ষত ভ‚মিকা
রাখতে পারে না। এর মূল কারণ হচ্ছে সরকারের পক্ষে পুলিশের জন্য বরাদ্দ খুব বেশি
বাড়ানো সম্ভব হয় না। এসব সীমাবদ্ধতা সত্বেও পুলিশের পক্ষে আরও কার্যকর ভ‚মিকা পালন
করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অর্থের চাইতে অভাব হচ্ছে কার্যকর গবেষণার এবং গবেষণা ভিত্তিক
নীতিমালার। মনে রাখা প্রয়োজন অপরাধ নিবারণের কোন সাধারণ সূত্র বা তত্ত¡ নেই। প্রত্যেক
সমাজের বাস্তব অবস্থার আলোকে কার্যকর নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। তবে একটি
বিষয়ের উপর ইদানিং খুব বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছেÑ তা হচ্ছে পুলিশ এবং জনগণের
মধ্যে ঘনিষ্ঠতর সম্পর্ক স্থাপন এবং কমিউনিটি পুলিশের ব্যবস্থা।
আদালত
আধুনিক সমাজে অপরাধের বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় আদালতের মাধ্যমে। বিচারের
একটি প্রধান রূপ হচ্ছে সরকারী অভিশংসক চৎড়ংবপঁঃড়ৎ বা উকিল এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির
উকিলের মধ্যে সওয়াল জবাব এবং সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ বিচারক অথবা বিচারক
এবং জুরিদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের মধ্যে থাকে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধী কিনা
এবং অপরাধী হলে তার শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ।পৃথিবীর সব দেশেই বিচার ব্যবস্থার প্রধান
সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতা এবং ব্যয়বহুলতা। এর একটি প্রধান সমাধান হচ্ছে দুর্বল মামলা বা
ছোটখাট ঘটনায় মামলা না গ্রহণ করা এবং আদালতের বাইরে মামলা নিষ্পত্তি। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ অভিযোগ খারিজ করা হয় অথবা অপরাধের জন্য স্বল্প দন্ড
প্রদান করা হয়ে থাকে। এর ফলে আদালতের উপর বোঝা কমে যায় এবং গুরুত্বপুর্ণ অপরাধের
যথাযথ বিচার হয়।
কারাগার
অপরাধের সবচেয়ে মারাত্মক শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড। তবে মৃত্যুদন্ড প্রদানের বিরুদ্ধে জনমত
গড়ে ওঠায় এই চরম দন্ড ব্যবহারের প্রবণতা কমে আসছে। বর্তমানে ৪৪টির বেশি দেশে
মৃত্যুদন্ড রহিত করা হয়েছে এবং অন্যান্য অনেক দেশে মৃত্যুদন্ডাদেশ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে
অপরাধ প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে অপরাধীদের কারাগারে বন্দী রাখা। ধরে নেওয়া হয়
শাস্তিভোগের পর অপরাধীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে এবং তারা আবার অপরাধের সাথে
যুক্ত হবে না। কিন্তু অনেক অপরাধী যেমন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়, তেমনি অনেকেই
আবার গ্রহণ করে তাদের পুরানো পেশা। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন কারাগার অপরাধকে
বাড়িয়ে দেয়। কারাগারের পরিবেশ অপরাধ প্রবণতাকে শক্তিশালী করে। উন্নয়নশীল দেশের
কারাগারের অপ্রতুলতা ও সুযোগ-সুবিধার অভাব খুব বেশি। এই অমানবিক পরিবেশে অপরাধ
বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
উন্নত দেশে অপরাধীদের সমস্ত সময় কারাগারে না রেখে কিভাবে পুনর্বাসিত করা যায়, তা
নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কারাগারের সংস্কারের কাজও করা হচ্ছে গুরুত্ব আরোপ
করা হচ্ছে কারাবন্দীদের মানবিক অধিকারের উপর।

টোকিওতে এখন মধ্যরাত্রি। নগরকেন্দ্রের রাস্তাগুলো পথচারীতে পরিপূর্ণ, পথগুলো
জনাকীর্ণ, রাস্তায় সাইকেলগুলোকে তালাছাড়া অবস্থান রাখা, এমনকি আট বছরের কম
বয়সী শিশুরা একা একা সুড়ঙ্গ পথে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে
আসা কোন পর্যটকের জন্য এটি একটি সাংস্কৃতিক বিস্ময়। বিস্ময়টি বেড়ে যায় যখন
পরের দিন সংবাদপত্রে কোন অপরাধের খবর পাওয়া যায় না। .... পৃথিবীর যে কোন
নগরীর তুলনায় টোকিওতে খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং চুরির হার অনেক কম। জাপানের
তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুনের হার আটগুণ, ধর্ষণের হার ৩০ গুণ এবং ডাকাতির হার
২০০ গুণ বেশি। কিন্তু জাপানে তুলনামূলকভাবে মাথাপিছু পুলিশের সংখ্যা কম ....
জাপানে অপরাধ এত কম কেন? এর উত্তর সম্ভবত নিহিত রয়েছে পুলিশের প্রতি
জনগণের নিরঙ্কুশ বিশ্বাসের মধ্যে। বাইরের পর্যবেক্ষকরা মনে করেন পুলিশের প্রতি
মানুষের আস্থার একটি কারণ হচ্ছে বিস্ময়করভাবে শাস্তির ৯৯.৮৩ শতাংশ হার। আরো
মনে করা হয় পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা সংস্কৃতিজাত যার উৎপত্তি ১৮৬৮ সালে
আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবার ৪০০ বছর আগে। .... বছরের একবার বা দু'বার পুলিশ
প্রতিবাড়ি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাজির হয়ে বাড়ি অথবা পাড়ার অবস্থার খোঁজ নিয়ে থাকে
.... জাপানী জনগণ একে উপদ্রব মনে করেনা, বরঞ্চ মনে করে পুলিশ তাদের মঙ্গলের
ব্যাপারে ব্যক্তিগত উৎসাহ দেখাচ্ছে। .... অন্যান্য উপাদানও জাপানের অপরাধের কম
হারের জন্য অবদান রাখে। জাপানীদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ আইনানুগ আচরণ এবং
পুলিশের সাথে সহযোগিতার বিকাশ ঘটাতে সাহায্যে করে। .... সম্প্রদায় অন্যায় কাজকে
সব সময় নিন্দা করে এবং সামাজিকভাবে বিচ্যূত কাজকে ক্ষমা করা হয় না। ফলে
সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায় থেকে শিশুদের কর্তৃত্বকে মেনে নিতে উৎসাহিত
করা হয় এবং আতœ-শৃংখলার উপর খুব বেশি গুরত্ব আরোপ করা হয়।স্কুলে অল্পবয়সীদের
নাগরিকতার সাথে যুক্ত দায়িত্বশীল আচরনের নীতিমালাকে গ্রহণ করতে শেখানো হয়।
উৎস : রিচার্ড টি. শেফার ও রবার্ট পি. ল্যাম
অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের ভ‚মিকা
অপরাধ প্রতিরোধে সমাজ ও সংস্কৃতি নিরন্তর সক্রিয়। সামাজিক নিয়ন্ত্রণের যে বাহনগুলোর
কথা আগে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোই মূলত: এ কাজ করে থাকে। পরিবার, খেলার সাথী,
সমবয়সী গোষ্ঠী, ধর্ম, গণমাধ্যম প্রভৃতি বিভিন্নভাবে অপরাধ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
ফলে অপরাধ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন সমনি¦ত উদ্যোগ।

প্রত্যেক সমাজে অপরাধ ঘটে এবং প্রতিটি সমাজে অপরাধ দমন ও প্রতিরোধের জন্য
রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থা। অপরাধের শাস্তি প্রদান করা হয় প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা এবং
প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে। আধুনিক সমাজে চারটি বিষয় এর সাথে যুক্তÑ আইন, পুলিশ,
আদালত ও কারাগার। কোন অপরাধের জন্য কি শাস্তি হবে তা নির্দেশ করে আইন।
প্রাকৃতিক আইনের দর্শনে মনে করা হত অপরাধের জন্য সমতুল্য শাস্তিবিধান করা
উচিত। কিন্তু বর্তমানে আইন ব্যবহার করা হয় অপরাধ প্রতিরোধের জন্য। এ লক্ষ্য
অর্জন করার জন্য পুলিশের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে পুলিশের দক্ষতা
কম এবং তা বাড়ানোর জন্য তাদের সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও উপকরণের সরবরাহ
বৃদ্ধি প্রয়োজন। সাম্প্রতিককালে জনগণ এবং পুলিশের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং
কম্যুনিটি পুলিশের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে
অপরাধীদের পুনর্বাসন এবং কারা-সংস্কারের উপর। অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক
নিয়ন্ত্রণের বাহনগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। এর তাৎপর্য হচ্ছে অপরাধ প্রতিরোধে সমনি¦ত উদ্যোগ
প্রয়োজন।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. আধুনিক সমাজে কয়টি বিষয় অপরাধের সাথে যুক্ত?
ক. ৩টি খ. ৫টি
গ. ৪টি ঘ. ২টি
২. আধুনিক অপরাধবিজ্ঞানে শাস্তি নিচের কোনটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
ক. নিবারণমূলক খ. প্রতিশোধমূলক
গ. নিবারণ ও প্রতিশোধমূলক ঘ. প্রতিদানমূলক
৩. অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের কাক্সিক্ষত ভ‚মিকা পালন করতে না পারার মূল কারণ কোনটি?
ক. কার্যকর গবেষণার অভাব খ. গবেষণা ভিত্তিক নীতিমালার অভাব
গ. পুলিশের জন্য বরাদ্দ খুব বেশি নয় ঘ. দুর্নীতিযুক্ততা
৪. আধুনিক সমাজে অপরাধের বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় কিসের মাধ্যমে?
ক. পুলিশের মাধ্যমে খ. আদালতের মাধ্যমে
গ. কারাগারের মাধ্যমে ঘ. অন্যান্য
৫. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই বিচার ব্যবস্থার প্রধান সমস্যা কোনটি?
ক. দীর্ঘসূত্রিতা খ. ব্যয়বহুলতা
গ. অপরাধের শাস্তি নির্ধারণে সমস্যা ঘ. দীর্ঘসূত্রিতা এবং ব্যয়বহুলতা
৬. অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক নিয়ন্ত্রণের কোন বাহনগুলো জড়িত?
ক. পরিবার খ. খেলার সাথী ও সমবয়সী গোষ্ঠী
গ. ধর্ম ও গণমাধ্যম ঘ. উপরের সবগুলো
৭. কোন দেশের আদালতে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ অভিযোগ খারিজ করা হয়?
ক. জাপান খ. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গ. কানাডা ঘ. বাংলাদেশ
৮. অপরাধের সবচেয়ে মারাÍক শাস্তি মৃত্যুদন্ড কয়টি দেশে রহিত করা হয়েছে?
ক. ৩৪টি খ. ৪৪টি
গ. ৫৪টি ঘ. ৬৪টি
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. অপরাধ প্রতিরোধে আদালতের ভ‚মিকা কি ?
২. কঠোর শাস্তি প্রদান কি অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি করে ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. আধুনিক সমাজে অপরাধ ও শাস্তি প্রদানের প্রাতিষ্ঠানিক রূপগুলো আলোচনা করুন।
২. অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের ভ‚মিকা কি?

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]