পৃথিবীর জনসংখ্যা কিভাবে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ?
জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিভাবে বৈশ্বিক পরিবেশকে ক্ষতি করছে ?


জনসংখ্যা ও সমাজ

জনসংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে আজ স্বীকৃত। জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি প্রাকৃতিক সম্পদ ও
জীবনযাত্রার মানের জন্য হুমকি স্বরূপ। নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ বছরের আগে মানব প্রজাতির
বিকাশ হলেও, বৈরি প্রকৃতির সাথে সংগ্রামে লিপ্ত থাকায় মানুষ তার সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। দশ
হাজার বছর আগে যেখানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল মাত্র দশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ সেখানে বর্তমানে এসে
দাঁড়িয়েছে ৬ বিলিয়নে। উন্নত বিশ্বে জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকলেও, উন্নয়নশীল দেশে তা উদ্বেগজনক
হারে বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হবে বিভিন্ন সমস্যা। ভবিষ্যতে খাদ্য, পানীয় জল,
বাসস্থানের ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন হবে। প্রযুক্তিগত বিকাশের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে পরিবেশ দূষণ।
তাছাড়া দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নগরগুলিতে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করাও বেশ কঠিন হবে।
জনসংখ্যা নিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি তত্ত¡ যা জনসংখ্যার গতি-প্রকৃতি ও পরিবর্তন সম্পর্কে দিক
নির্দেশনা দেয়। এ তত্ত¡গুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত¡ হচ্ছে ম্যালথাসের তত্ত¡ ও জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡।
ম্যালথাসের মতে জনসংখ্যা অনিবার্যভাবে খাদ্যের দ্বারা সীমাবদ্ধ; অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বাহ্যিক বাধা
ছাড়া খাদ্য সরবরাহ বেড়ে গেলে জনসংখ্যা অবশ্যই বেড়ে যায়। তাঁর মতে প্রত্যেক প্রজাতি বৃদ্ধি পায়
জ্যামিতিক হারে, কিন্তু খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পায় পাটিগাণিতিক হারে। জনসংখ্যার অপর গুরুত্বপূর্ণ
তত্ত¡টি নিয়ে প্রথম আলোচনায় আসেন ওয়ারেন থম্পসন। তিনি উর্বরতা ও মরণশীলতার তিনটি স্বতন্ত্র
রূপকে কিছু দেশের জনসংখ্যাতাত্তি¡ক তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত করেন। পরবর্তীতে এ বিষয়টিকে
পুনরুদ্ধার করে ফ্রাংক নোস্টেইন একে জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡ হিসেবে অভিহিত করেন।
জনবিজ্ঞানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হল-উর্বরতা, মরণশীলতা ও স্থানান্তর। সমাজ ও সংস্কৃতি দ্বারা
এগুলো অধিক প্রভাবিত বলে সমাজবিজ্ঞানীরা এদের উপর দৃষ্টিপাত করে থাকেন। সামাজিক ও
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, শ্রেয়োবোধ, নিয়ম-কানুন ও বিশ্বাস প্রজনন ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ করে থাকে।
জনসংখ্যার ক্ষেত্রে জন্মহার প্রজনন ক্ষমতার চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। সমাজভেদে
জন্মহারের বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে। জন্মহারের ন্যায় সমাজভেদে মৃত্যু হারের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। প্রতি হাজার
জনসংখ্যায় বছরে মৃত্যুর সংখ্যাকে বলে স্থুল মৃত্যুর হার। স্থানান্তর বলতে বোঝায় ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর
প্রতীকী বা রাজনৈতিক সীমানা অতিক্রম করে নতুন এলাকা বা সম্প্রদায়ে কম বেশি স্থায়ী ভাবে
বসবাস করা। আর এই স্থানান্তরের রয়েছে বিভিন্ন রূপ বা ধরন।
ভ‚মিকা
আমরা ক্রমশ: অনুধাবণ করছি জনসংখ্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা যা আমাদের ভবিষ্যতে
টিকে থাকার সাথে যুক্ত। জনসংখ্যা সমস্যা বলতে আমরা বুঝি জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি যা
প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীবনযাত্রার মানের জন্য হুমকি হয়ে পড়ে। দশ হাজার বছর আগে
পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল সম্ভবত: ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ। খ্রীষ্টের জন্মের সময় বা দু'হাজার
বছর আগে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল বিশ থেকে ত্রিশ কোটি।এখন পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬
বিলিয়নের উপরে। পঞ্চাশ বছর পরে বৃদ্ধি পাবে ৯ বিলিয়নে। বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন এই
বিশাল জনসংখ্যার চাপে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সমাজ বিপন্ন হয়ে পড়বে।
জনসংখ্যার বৃদ্ধি
পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাব হয়েছিল আনুমানিক ৩৫০ কোটি বছর আগে। আর যথার্থভাবে
মানব প্রজাতির ঐড়সড় ংধঢ়রবহং বিকাশ নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ বছর আগে। বৈরী
প্রকৃতির সাথে লড়াই করে আদিযুগের মানুষ তার সংখ্যা খুব একটা বাড়াতে পারেনি। এখন
থেকে দশ হাজার বছর আগেও মানুষের সংখ্যা ছিল মাত্র দশ লক্ষ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ মাত্রার
মধ্যে। খ্রীষ্টের জন্মের সময় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২০-৩০ কোটি মাত্রার মধ্যে।
টেবিল নং-১ :
জনসংখ্যা বৃদ্ধি
জনসংখ্যা জনসংখ্যা দ্বিগুণের
দ্বিগুণের ক্রম
জনসংখ্যার আকার
সময় কালপর্ব
১-১৬৫০ খ্রীষ্টাব্দ ১ ১৬৫০ বছর ৫৪৫ মিলিয়ন
(৫৪.৫ কোটি)
১৬৫১-১৮২০ ২ ১৭০ বছর ১,০০০ মিলিয়ন
(১০০ কোটি)
১৮২১-১৯২০ ৩ ১০০ বছর ২০০০ মিলিয়ন
(২০০ কোটি)
১৯২১-১৯৮১ ৪ ৬০ বছর ৪,৫০০ মিলিয়ন

(৪.৫ বিলিয়ন)
(৪৫০ কোটি)
১৯৮২-২০৫০ ৫ ৭০ বছর ৯০০০ মিলিয়ন
(৯ বিলিয়ন)
(৯০০ কোটি)

১৯৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ২.৫ বিলিয়ন। ১৯৭৫ সালে বা মাত্র ২৫ বছরে তা বেড়ে
গিয়েছিল ৪ বিলিয়নে। ১৯৮৯ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ছিল ৫ বিলিয়ন। পাঁচ বিলিয়ন লোক
শতকরা ২ শতাংশ হারে বাড়লে প্রতি বছর যোগ হয় ১০০ মিলিয়ন। জনসংখ্যা ৫ বিলিয়ন
থেকে ৬ বিলিয়ন হতে সময় নিয়েছে মাত্র ১২-১৩ বছর।
গত শতাব্দীতে চল্লিশ থেকে ষাট দশকের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল খুব বেশি। ১৯৭০
সাল থেকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমতে থাকে এবং ২.২ শতাংশ থেকে কমে তা বর্তমানে ১.৩
শতাংশে নেমে এসেছে।
বর্তমানে পৃথিবীর অতিকায় জনসংখ্যার দু'টি দেশ হচ্ছে চীন এবং ভারত। দু'টি দেশের
জনসংখ্যা এখন এক বিলিয়ন অতিক্রম করে গেছে। পৃথিবীর দশটি সবচেয়ে জনবহুল দেশের
মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। নিচের সারণীতে পৃথিবীর ২০টি জনবহুল দেশের তালিকা তুলে ধরা
হল।
টেবিল নং- ২ পৃথিবীর ২০টি জনবহুল দেশ
১৯৯৮ ২০৫০
ক্রম দেশ জনংখ্যা দেশ জনসংখ্যা
(মিলিয়ন) (মিলিয়ন)
১. চীন ১,২৪৩ ভারত ১,৫২৯
২. ভারত ৯৮৯ চীন ১,৪৭৮
৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৭০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩৪৯
৪. ইন্দোনেশিয়া ২০৭ পাকিস্তান ৩৪৫
৫. ব্রাজিল ১৬২ ইন্দোনেশিয়া ৩১২
৬. রাশিয়া ১৪৭ ব্রাজিল ২৪৪
৭. পাকিস্তান ১৪২ নাইজেরিয়া ২৪৪
৮. জাপান ১২৬ বাংলাদেশ ২১২
৯. বাংলাদেশ ১২৩ ইথিওপিয়া ১৬৯
১০. নাইজেরিয়া ১২২ কঙ্গো ১৬০
১১. মেক্সিকো ৯৮ মেক্সিকো ১৪৭
১২. জার্মানী ৮২ ফিলিপাইন ১৩১
১৩. ভিয়েতনাম ৭৯ ভিয়েতনাম ১২৭
১৪. ফিলিপাইন ৭৫ রাশিয়া ১২১
১৫. মিশর ৬৬ মিশর ১১৫

১৬. তুরস্ক ৬৫ ইরান ১১৫
১৭. ইরান ৬৪ জাপান ১০৫
১৮. থাইল্যান্ড ৬১ তুরস্ক ১০১
১৯. ফ্রান্স ৫১ তানজানিয়া ৮১
২০. ইথিওপিয়া ৫৮ থাইল্যান্ড ৭৪
উৎস: ব্রাউন, গার্ডনার ও হলওয়েল, ২০০০
পৃথিবীর ২০টি সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকা থেকে আমরা খুব সহজেই লক্ষ্য করতে পারি
এর মধ্যে ১৫টি দেশই তৃতীয় বা উন্নয়নশীল বিশ্বের। বস্তুত উন্নত ৩২টি দেশে জনসংখ্যা
স্থিতিশীল রয়েছে অথবা কমছে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল বিশ্বের জনসংখ্যা এখনও উদ্বেগজনক
হারে বেড়ে চলেছে। ২০৫০ সালে ২০টি সবচেয়ে জনবহুল দেশের মধ্যে একটি মাত্র এবং
রাশিয়াকে ধরলে দু'টি উন্নত রাষ্ট্র থাকছে। উন্নয়নশীল বিশ্বে বাস করছে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ
মানুষ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৯৫ শতাংশ ঘটছে এখানে।
টেবিল নং- ৩ : বিশ্বে বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যা (মিলিয়ন)
সাল
এলাকা ১৯৫০ ১৯৭০ ১৯৯৮ ২০২৫ ২০৫০
পৃথিবী ২৫২১ ৩৬৯৬ ৫৯১৩ ৭৮২৪ ৮৯০৯
উন্নত বিশ্ব ৪৮১৩ ১০০৮ ১১৮৪ ১২১৫ ১১৫৫
উন্নয়নশীল বিশ্ব ১৭০৯ ২৬৮৮ ৪৭২৯ ৬৬০৯ ৭৭৫৪
উৎস : ইউনাইটেড নেসনস্, ২০০০
সত্তরের দশকের শুরুতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা গ্রন্থ ঞযব খরসরঃং ঃড় এৎড়ঃিয-এ
ডোনেলা মিডোস উড়হবষষধ ঐ. গবধফড়ংি এবং ডেনিস মিডোস উবহরং খ. গবধফড়ংি
দেখিয়েছেন জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বিংশ শতকের প্রথম সাত দশকের মত
চলতে থাকলে একবিংশ শতাব্দীর শেষে বা তার আগে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। তাঁরা
দেখালেন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীর যে বহন ক্ষমতা তাকে অতিক্রম করে যাবে এবং খাদ্য
উৎপাদনের জমি ও খাদ্যের প্রচন্ড অভাব ঘটবে। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে গেলে প্রাকৃতিক
সম্পদের উপর মারাÍক চাপ সৃষ্টি হবে এবং অনবায়নযোগ্য সম্পদ ২১০০ সাল বা তার আগেই
শেষ হয়ে যাবে। যদি প্রযুক্তিগত বিকাশ বেড়ে যায়, তবে পরিবেশ দূষণ এত বেড়ে যাবে যে
তার ফলে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। যদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকে এবং পরিবেশ
দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবুও যে পরিমাণ দূষণ থাকবে তাই পৃথিবী ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট হবে।

পরিবেশ বিজ্ঞানে বহন ক্ষমতা ঈধৎৎুরহম ঈধঢ়ধপরঃু বলতে বোঝানো হয় কোন অঞ্চল
সবেচেয়ে বেশি কত সংখ্যক গাছ-পালা এবং প্রাণী ধারণ করতে পারে।
যদিও মিডোস এবং মিডোস এর প্রলয়ের ফড়ড়সংফধু ভবিষ্যদ্বানী সত্যি হয়নি, তবুও বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও আতংকবোধ করছেন। পৃথিবীর উত্তাপ বেড়ে যাওয়া, ওজোন
স্তরের ক্ষয়, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি প্রভৃতি মানুষের অস্তিত্বকে এখন বিপন্ন করে রেখেছে।
বিজ্ঞানীরা আশংকা করছেন বৃদ্ধিমান জনসংখ্যার জন্য ভবিষ্যতে খাদ্য, পানীয় জল, বাসস্থানের
ব্যবস্থা করা কঠিন হবে। কঠিন হবে অনাগত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
নগরগুলোতে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা।
সারাংশ
জনসংখ্যা সমস্যা বলতে বুঝি জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি যা প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জীবন
যাত্রার মানের জন্য হুমকি হয়ে পড়ে। বর্তমানে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৬ বিলিয়নের উপরে
এবং আগামী ৫০ বছরে তা দাঁড়াবে ৯ বিলিয়নে। ফলে এই বিশাল জনসংখ্যার চাপে
আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সমাজ বিপন্ন হয়ে পড়বে।
মানব প্রকৃতির বিকাশ হয়েছে নব্বই হাজার থেকে দেড় লাখ বছর আগে। বৈরী প্রকৃতির
সাথে লড়াই করে আদি যুগের মানুষ পারেনি তার সংখ্যা খুব একটা বাড়াতে। এখন
থেকে দশ হাজার বছর আগে মানুষের সংখ্যা ছিল দশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ। ১৯৫০ সালে
পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ২.৫ বিলিয়ন। আর বর্তমানে জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ বিলিয়নে।
গত শতাব্দীর চল্লিশ থেকে ষাট দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল খুব বেশি। পরবর্তীতে
তা কমতে শুরু করে এবং বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১.৩ শতাংশে।
চীন ও ভারত হল বর্তমানে পৃথিবীর অধিকতর জনসংখ্যার দু'টি দেশ যাদের জনসংখ্যা
অতিক্রম করেছে এক বিলিয়নকে। পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দশটি দেশের মধ্যে রয়েছে
আমাদের বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্বে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে বা থাকছে। পক্ষান্তরে
উন্নয়নশীল দেশে তা উদ্বেগজনক হারে চেড়ে চলছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৯৫ শতাংশই
ঘটছে এখানে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এক বিংশ শতাব্দীর শেষে বা তার আগে পৃথিবীর বহন
ক্ষমতার বেশি হবে এবং খাদ্য উৎপাদনের জমি ও খাদ্যের প্রচন্ড অভাব ঘটবে বলে মনে
করেন ডোনেলা ও ডেনিস মিডোস। প্রযুক্তিগত বিকাশ বেড়ে গেলে পরিবেশ দূষণ বেড়ে
যাবে এবং এর ফলে ভেঙ্গে পড়বে সমাজ ব্যবস্থা, ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। তাঁদের
ভবিষ্যৎবাণী সত্য না হলেও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আতংকবোধ করছেন বিজ্ঞানীরা।
বৃদ্ধিমান জনসংখ্যার জন্য ভবিষ্যতে খাদ্য, পানীয় জল, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা কঠিন
হবে। কঠিন হবে অনাগত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শহরগুলোতে
নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা।

পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. গবেষণা গ্রন্থ 'ঞযব খরসরঃং ঃড় এৎড়ঃিয' অনুযায়ী পৃথিবী ধ্বংস হবে কখন?
ক. একবিংশ শতাব্দীর শেষে খ. একবিংশ শতাব্দীর আগে
গ. একবিংশ শতাব্দির আগে বা শেষে ঘ. কোনটিই নয়
২. বর্তমানে পৃথিবীর অতিকায় জনসংখ্যার দু'টি দেশ হল-
ক. চীন ও ভুটান খ. ভারত ও শ্রীলংকা
গ. রাশিয়া ও ভারত ঘ. চীন ও ভারত
৩. ১৯৮৭ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা কত ছিল?
ক. ২.৫ বিলিয়ন খ. ৪ বিলিয়ন
গ. ৫ বিলিয়ন খ. ৬ বিলিয়ন
৪. উন্নয়নশীল বিশ্বে বাস করে পৃথিবীর কত শতাংশ মানুষ?
ক. ৭০ শতাংশ খ. ৮০ শতাংশ
গ. ৮৫ শতাংশ ঘ. ৬৫ শতাংশ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. পৃথিবীর জনসংখ্যা কিভাবে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে ?
২. জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিভাবে বৈশ্বিক পরিবেশকে ক্ষতি করছে ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. জনসংখ্যা সমস্যা কি? বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানগত তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা
করুন।
২. জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে সমাজে কিরূপ সমস্যা হতে পারে? বিস্তারিত আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]