ম্যালথাসের তত্তে¡র মূল বক্তব্য কি ?
জনসংখ্যা-সংক্রমন তত্তে¡র পর্যায়গুলো কি কি ?


ভ‚মিকা
পৃথিবীর জনসংখ্যার গতি-প্রকৃতি, পরিবর্তন সম্পর্কে ব্যাখ্যামূলক আলোকপাত করে জনসংখ্যা
তত্ত¡। জনসংখ্যার বেশ কয়েকটি তত্ত¡ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কাম্য জনসংখ্যা তত্ত¡,
মার্কসবাদী তত্ত¡, ম্যালথাসের তত্ত¡, জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡ প্রভৃতি। তবে এদের মধ্যে
ম্যালথাসের তত্ত¡ ও জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঠে এ দু'টি তত্ত¡ নিয়ে
আলোচনা করা হল।
ম্যালথাসের তত্ত¡
টমাস রবার্ট ম্যালথাস ঞযড়সধং জড়নবৎঃ গধষঃযঁং এর জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডে ১৭৬৬ সালে।
তিনি গণিত, ইংরেজী, ফরাসী সাহিত্য ও প্রচীন ইতিহাস নিয়ে পড়াশুনা করেছিলেন কেমব্রিজ
বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৮০৪ সালে তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর প্রতিষ্ঠিত ইস্ট ইন্ডিয়া কলেজে
[ইস্ট ইন্ডিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রধানত: ভারতে কোম্পানীর কর্মচারীদের শিক্ষানবিশীদের জন্য] ইতিহাস ও রাজনৈতিক অর্থনীতির অধ্যাপক হন। এটি ছিল বৃটেনের প্রথম
অর্থনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত অধ্যাপকের পদ। ১৮৩৪ সালে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত
ছিলেন। ১৭৯৮ সালে তাঁর বিশ্বখ্যাত গ্রন্থ অহ ঊংংধু ড়হ ঃযব চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ রং রঃ
ধভভবপঃং ঃযব ভঁঃঁৎব রসঢ়ৎড়াবসবহঃ ড়ভ ংড়পরবঃু প্রকাশিত হয়েছিল ছদ্মনামে।
টমাস ম্যালথাসকে বলা হয় জনসংখ্যাবিজ্ঞানের জনক। তাঁর অহ ঊংংধু ড়হ ঃযব চৎরহপরঢ়ষব ড়ভ
চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ ধং রঃ ধভভবপঃং ঃযব ভঁঃঁৎব রসঢ়ৎড়াবসবহঃ ড়ভ ংড়পরবঃু. প্রকাশিত হবার পর তাঁর
তত্ত¡ প্রচন্ড বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল যা দু'শো বছরের বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। ম্যালথাস
তাঁর তত্ত¡ অত্যন্ত সরলভাবে তিনটি প্রস্তাবের মধ্যে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর ভাষায় Ñ
১. জনসংখ্যা অনিবার্যভাবে খাদ্যের দ্বারা সীমাবদ্ধ ২. অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বাহ্যিক বাধা
ছাড়া খাদ্য সরবরাহ বেড়ে গেলে জনসংখ্যা অবশ্যই বেড়ে যায় ৩. এই বাধাগুলো এবং
যেসব বাধা জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনেক বেশি শক্তিশালী প্রবণতাকে সীমিত করে রাখে এবং
খাদ্যের সরবরাহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রাখে, তার সবগুলোকে নৈতিক সংযম, পাপ এবং
দারিদ্র্য হিসাবে দেখা যায়।

১. চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ রং হবপবংংধৎরষু ষরসরঃবফ নু ঃযব সবধহং ড়ভ ংঁনংরংঃবহপব. ২. চড়ঢ়ঁষধঃরড়হ
রহাধৎরধনষু রহপৎবধংবং যিবৎব ঃযব সবধহং ড়ভ ংঁনংরংঃবহপব রহপৎবধংব, ঁহষবংং ঢ়ৎবাবহঃবফ
নু ংড়সব াবৎু ঢ়ড়বিৎভঁষ ধহফ ড়নারড়ঁং পযবপশং. ৩. ঞযবংব পযবপশং ধহফ ঃযব পযবপশং
যিরপয ৎবঢ়ৎবংং ঃযব ংঁঢ়বৎরড়ৎ ঢ়ড়বিৎ ড়ভ ঢ়ড়ঢ়ঁষধঃরড়হ, ধহফ শববঢ় রঃং বভভবপঃং ড়হ ধ ষবাবষ
রিঃয ঃযব সবধহং ড়ভ ংঁনংরংঃবহপব, ধৎব ধষষ ৎবংড়ষাধনষব রহঃড় সড়ৎধষ ৎবংঃৎধরহঃ, ারপব, ধহফ
সরংবৎু.
ম্যালথাসের গধষঃযঁং মতে সমাজের অগ্রগতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে খাদ্যের
সবররাহের তুলনায় সব ধরনের প্রাণীর বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা। জনসংখ্যা বাধা না পেলে প্রতি
প্রজন্মে তা দ্বিগুণ হয়ে যায়। যদি জনসংখ্যা ২৫ বছরে দ্বিগুণ হয়ে যায়, তাহলে খাদ্য
উৎপাদনও দ্বিগুণ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কোন দেশের খাদ্য উৎপাদন যদি ২৫ বছরে দ্বিগুণও
হয়ে যায়, পরবর্তী ২৫ বছরে তা কোন ক্রমেই দ্বিগুণ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক প্রজাতি বৃদ্ধি
পায় জ্যামিতিক হারে, অর্থাৎ ১, ২, ৪, ৮, ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮, ২৫৬Ñ এই নিয়মে। কিন্তু
খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পায় পাটিগাণিতিক [গাণিতিক নয়] হারে অর্থাৎ ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮,
৯Ñ এই ভাবে। এর তাৎপর্য হচ্ছে দুই শতাব্দীতে তত্ত¡গতভাবে জনসংখ্যা এবং খাদ্যের
অনুপাত দাঁড়াবে ২৫৬:১ এবং তিন শতাব্দীতে ৪,০৯৬ : ১৩। বাস্তবে জনসংখ্যা যে এই
ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে না তার কারণ হচ্ছে খাদ্যের অভাব। খাদ্যের অভাব হলে
জনসংখ্যা বাড়তে পারে না। এমনকি খাদ্য সরবরাহ বেড়ে গেলেও, জনসংখ্যার বৃদ্ধি সব সময়ে
খাদ্যের সরবরাহকে ছাড়িয়ে যায়। ফলে বস্তুগত উন্নতি মানুষের জীবন যাত্রার মানের কোন
উন্নতি ঘটাতে পারে না।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষেত্রে ম্যালথাস দু'ধরনের নিরোধের কথা বলেছেন। যা পাপ এবং
দুর্দশা তৈরি করে তাকে তিনি বলেছেন প্রাকৃতিক নিরোধ চড়ংরঃরাব ঈযবপশং । যুদ্ধ, মহামারী
দুর্ভিক্ষ হচ্ছে প্রাকৃতিক নিরোধের প্রধান রূপ। নৈতিক সংযম যার মাধ্যমে মানুষ দেরিতে বিয়ে
করে বা দেরিতে সন্তান জন্ম দেয় তাকে ম্যালথাস বলেছেন নিবারণমূলক নিরোধ চৎবাবহঃরাব
ঈযবপশং। ম্যালথাস প্রথম দিকে বিশ্বাস করতেন জনসংখ্যা হ্রাসে নৈতিক সংযম তেমন ভ‚মিকা
রাখে না। সুতরাং খাদ্য ও জনসংখ্যার ভারসাম্য তৈরি করে ক্ষুধা, ব্যাধি এবং যুদ্ধজনিত মৃত্যু।
এভাবে জনসংখ্যা সব সময়ে খাদ্য সরবরাহের কাছাকাছি থাকে।
সমালোচনা
ম্যালথাসের তত্তে¡র প্রধান সমালোচনা তিনটি।
প্রথমত: জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থই হচ্ছে খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি। এটা না হলে পৃথিবীতে মৃত্যুহার
বেড়ে যেত। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মৃত্যুহার ক্রমাগত কমে যাওয়া ম্যালথাসের তত্তে¡র ভিত্তিকে
ভেঙ্গে ফেলে।
দ্বিতীয়ত: পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার হ্রাসের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানের যে
বিস্ময়কর উন্নতি অনেক দেশে হয়েছে তাও ম্যালথাসের বক্তব্যকে দুর্বল করে দিয়েছে।
তৃতীয়ত: বাস্তবে দেখা যায় জনসংখ্যা বেড়ে গেলে খাদ্য সরবরাহ বেড়ে যায়। মানুষ তার জ্ঞান
ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এ থেকে বোঝা যায় জনসংখ্যা এবং
খাদ্যের সম্পর্ক ম্যালথাসের বক্তব্যের ঠিক বিপরীত।

ম্যালথাসের সমালোচনা সত্তে¡ও নয়া ম্যালথাসবাদীরা তাঁর তত্ত¡কে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে।
জনসংখ্যা এবং পরিবেশের বৃহত্তর পরিসরে স্থাপন করা হয়েছে ম্যালথাসের অর্ন্তদৃষ্টিকে। এর
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হচ্ছে মিডোস এবং মিডোস এর গ্রন্থ ঞযব খরসরঃং ঃড় এৎড়ঃিয।
জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡উবসড়মৎধঢ়যরপ ঞৎধহংরঃরড়হ ঞযবড়ৎু
জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡ নিয়ে ওয়ারেন থম্পসন ড.ঝ. ঞযড়সঢ়ংড়হ প্রথমে ১৯২৯ সালে
আলোচনা করেন। ১৯০৮ থেকে ১৯২৭ মধ্যবর্তী সময়ে কিছু দেশের জনসংখ্যাতাত্তি¡ক তথ্যের
ভিত্তিতে তিনি লক্ষ্য করেন যে, উর্বরতা ঋবৎঃরষরঃু ও মরণশীলতা গড়ৎঃধষরঃু তিনটি স্বতন্ত্র রূপ
ধারণ করে। এগুলোকে তিনি অ, ই, ও ঈ দ্বারা চিহ্নিত করেন। ১৯৪৫ সালে ফ্রাংক
নোটস্টেইন ঋৎধহশ ড. ঘড়ঃবংঃবরহ এই বিষয়টিকে পুনরুদ্ধার করেন এবং একে জনসংখ্যা
সংক্রমণ নামে অভিহিত করেন। তিনি বলেন জনসংখ্যার সংক্রমণ সব দেশেই ঘটবে। এর
তিনটি পর্যায় রয়েছে।
ছক : জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡
জর্জ স্টনিট্জ এবড়ৎমব ঝঃড়হরঃু-এর মতে, "উবসড়মৎধঢ়যরপ ঃৎধহংরঃরড়হং ৎধহশ ধসড়হম ঃযব
সড়ংঃ ংবিবঢ়রহম ধহফ নবংঃ ফড়পঁসবহঃবফ ঃৎবহফং ড়ভ সড়ফবৎহ ঃরসবং .... নধংবফ ঁঢ়ড়হ
যঁহফৎবফং ড়ভ রহাবংঃরমধঃরড়হং, পড়াবৎরহম ধ যড়ংঃ ড়ভ ংঢ়বপরভরপ ঢ়ষধপবং, ঢ়বৎরড়ফং ধহফ
বাবহঃং."
“অনেক স্থান, সময়কাল এবং ঘটনার উপর শত শত গবেষণার ভিত্তিতে নির্মিত জনসংখ্যার
সংক্রমণ তত্ত¡টি আধুনিক কালের প্রবণতার উপর বিস্তৃততম এবং সবচেয়ে তথ্যভিত্তিক
বিশ্লেষণের একটি।”
জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡ অনুযায়ী জনসংখ্যার পরিবর্তন তিনটি বা পাঁচটি পর্যায়ে ঘটে থাকে
এবং এই পর্যায়গুলোকে ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভিন্ন লেখক অভিহিত করেছেন। সহজভাবে বললে,
প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে উচ্চ জন্মহার ও উচ্চ মৃত্যুহার। দ্বিতীয় পর্যায়ে সৃষ্টি হয় উচ্চ জন্মহার

এবং নিচু মৃত্যুহার। তৃতীয় পর্যায়ে সৃষ্টি হয় জন্মহার ও মৃত্যুহারের সমন¦য়। অর্থাৎ জন্মহারও
কমে আসে এবং মৃত্যুহার নিচু থাকে।
সারাংশ
জনসংখ্যার বিভিন্ন তত্তে¡র মধ্যে ম্যালথাসের তত্ত¡ ও জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡ সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ। টমাস ম্যালথাসকে বলা হয় জনসংখ্যাবিজ্ঞানের জনক। তিনি মনে করেন
জনসংখ্যা অনিবার্যভাবে খাদ্যের দ্বারা সীমাবদ্ধ, অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বাহ্যিক বাধা
ছাড়া খাদ্য সরবরাহ বেড়ে গেলে জনসংখ্যা অবশ্যই বেড়ে যায়। তাঁর মতে জনসংখ্যার
প্রবৃদ্ধি অনিবার্যভাবে খাদ্য সরবরাহের দ্বারা সীমাবদ্ধ। কোন বাধা না পেলে জনসংখ্যা
অবশ্যই দ্রুতগতিতে বেড়ে যায়, প্রাকৃতিক নিরোধ ও নিবারণমূলক নিরোধ জনসংখ্যার
প্রবৃদ্ধিকে বাধা দেয় এবং খাদ্য সরবরাহের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে রাখে। জনসংখ্যা বাধা
না পেলে প্রতি প্রজন্মে দ্বিগুণ হয়ে যায়। প্রত্যেক প্রজাতি বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে।
কিন্তু খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পায় পাটিগাণিতিক হারে। খাদ্যের অভাব হলে জনসংখ্যা
বাড়তে পারে না। এমনকি খাদ্য সরবরাহ বেড়ে গেলেও, জনসংখ্যার বৃদ্ধি সব সময়ে
খাদ্যের সরবরাহকে ছাড়িয়ে যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাসের ক্ষেত্রে ম্যালথাস প্রাকৃতিক
নিরোধ (যেমন, যুদ্ধ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ) ও নিবারণমূলক নিরোধ (যেমন-নৈতিক সংযম)
এর কথাও উল্লেখ করেছেন।
ম্যালথাসের তত্তে¡র সমালোচনা রয়েছে তিনটি। প্রথমটি হল জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মৃত্যুহার
ক্রমাগত কমে যাওয়া ম্যালথাসের তত্তে¡র ভিত্তিকে ভেঙ্গে ফেলে। দ্বিতীয়টি হল পৃথিবীতে
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার হ্রাসের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানের যে বিস্ময়কর উন্নতি
অনেক দেশে হয়েছে তাও ম্যালথাসের বক্তব্যকে দুর্বল করে দিয়েছে। শেষত: বাস্তবে
দেখা যায় মানুষ তার জ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যাবহার করে খাদ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। এ
থেকে বোঝা যায় জনসংখ্যা এবং খাদ্যের সম্পর্ক ম্যালথাসের বক্তব্যের ঠিক বিপরীত।
ম্যালথাসের তত্তে¡র সমালোচনা সত্তে¡ও নয়া ম্যালথাসবাদীরা তাঁর তত্ত¡কে সাদরে গ্রহণ
করে নিয়েছে।
জনসংখ্যা সংক্রমণ তত্ত¡ নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন ওয়ারেন থম্পসন ১৯২৯ সালে।
তিনি কিছু দেশের জনসংখ্যাতাত্তি¡ক তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষ্য করেন যে, উর্বরতা ও
মরণশীলতা তিনটি স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করে যা পরবর্তীতে ফ্রাংক নোটস্টেইন ১৯৪৫ সালে
পুনরুদ্ধার করেন এবং বিষয়টি জনসংখ্যা-সংক্রমণ হিসাবে অভিহিত করেন। তাঁর মতে
জনসংখ্যা-সংক্রমণ সব দেশেই ঘটবে এবং তিনটি পর্যায়ে। তত্ত¡টিকে অনেক সময়
পাঁচটি পর্যায়েও বিভক্ত করে দেখা হয়। জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡ অনুযায়ী প্রাথমিক
পর্যায়ের উচ্চ মরণশীলতা ও উচ্চ উর্বরতা উচ্চ উর্বরতা ও নি¤œ মরণশীলতায় পরিবর্তিত
হয় এবং সর্বশেষ পর্যায়ে নি¤œ উর্ববরতা এবং নি¤œ মরণশীলতার মাধ্যমে জনসংখ্যা
ক্রমান¦য়ে স্থিতিশীল থাকে।

নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. জনসংখ্যা বিজ্ঞানের জনক বলা হয় কাকে ?
ক. ফ্রাংক নোটস্টাইন খ. ওয়ারেন থম্পসন
গ. রবার্ট লুইস ঘ. টমাস রবার্ট ম্যালথাস
২. “প্রত্যেক প্রজাতি বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে কিন্তু খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধি পায় পাটিগাণিতিক
হারে।”Ñ উক্তিটি জনসংখ্যার কোন তত্তে¡র ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
ক. কাম্য জনসংখ্যা তত্ত¡ খ. মার্কসবাদী তত্ত¡
গ. ম্যালথাসের তত্ত¡ ঘ. জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡
৩. নিচের কোন তত্ত¡ অনুযায়ী জনসংখ্যার বৃদ্ধি কয়েকটি পর্যায়ে ঘটে?
ক. জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্ত¡ খ. ম্যালথাসের তত্ত¡
গ. ক ও খ উভয়ই ঘ. কোনটিই নয়
৪. ম্যালথাসের মতানুযায়ী নিচের কোনটি প্রাকৃতিক নিরোধের প্রধান রূপ?
ক. যুদ্ধ খ. মহামারী
গ. দুর্ভিক্ষ ঘ. উপরের সবগুলো
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. ম্যালথাসের তত্তে¡র মূল বক্তব্য কি ?
২. জনসংখ্যা-সংক্রমন তত্তে¡র পর্যায়গুলো কি কি ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. জনসংখ্যার বিভিন্ন তত্ত¡গুলো কি কি? আলোচনা করুন।
২. ম্যালথাসের তত্ত¡ ও জনসংখ্যা-সংক্রমণ তত্তে¡র বিশদ বিবরণ দিন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]