পরিবার এবং গৃহস্থালীর পার্থক্য কী?
গৃহস্থালীর বিকাশ চক্র কী?
পরিবারের প্রভাবশালী সংজ্ঞা পাশ্চাত্য-কেন্দ্রীক। আলোচনা করুন।


দশকে। “পরিবার” এবং “গৃহস্থালী” এ দুটো এক নয়, এটাই ছিল প্রথম ভাবনার জায়গা। পরিবার
সংজ্ঞায়নে নৃবিজ্ঞানীরা জোর দেন বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর একত্রে বসবাস, এবং সন্তান লালন-পালনের উপর।
গৃহস্থালী সংজ্ঞায়িত হয় “আবাসস্থলের একক” হিসেবে। আপনি পূর্বেই জেনেছেন শুরু থেকে নৃবিজ্ঞান
ছিল পাশ্চাত্য সমাজের একটি জ্ঞানকান্ড, যেই জ্ঞানকান্ডের বিষয়বস্তু ছিল অপাশ্চাত্যের মানুষজন:’তাদের
সমাজ ও সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা, তাদের আচার-আচরণ, মূল্যবোধ ও বিশ্বাস।
আপনারা এও জেনেছেন: পাশ্চাত্য সমাজের মানুষজন যখন ভিন্ন সমাজ ও সংস্কৃতির মানুষজনের
মুখোমুখি হন, তারা বহুলাংশেই সেই সমাজগুলোকে তাঁদের নিজেদের সমাজের মাপকাঠি অনুসারে
বিচার-বিশ্লেষণ করেন। বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ এতে নানান ধরনের ধারণাগত বিভ্রান্তিতৈরী হয়।
পরিবার এবং গৃহস্থালী সংজ্ঞায়নে কি ধরনের তাত্তি¡ক সমস্যা সৃষ্ট হয় সেটা এই পাঠের প্রথম অংশে
আলোচিত হবে। বর্তমান সময়ে নৃবৈজ্ঞানিক জ্ঞানকান্ড এসব বিষয়ের মুখোমুখি হওয়া জরুরী মনে
করছে।
পাশ্চাত্য অণু পরিবার
পাশ্চাত্য সমাজে “পরিবার” বলতে বোঝায়: একজন স্বামী ও তার স্ত্রী, এবং তাদের সন্তান।
সমাজবিজ্ঞানী এবং নৃবিজ্ঞানীরা এর নামকরণ করেছেন অনু পরিবার। ক্রিয়াবাদী দৃষ্টিতে এই অনু
পরিবারের আছে কিছু আকর বৈশিষ্ট্য, যথা: পরিবারের সদস্যরা একত্রে বসবাস করেন, পারিবারিক
আয় পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এই অনু পরিবারের প্রধান কার্য হচ্ছে: সন্তান লালন-পালন।
নৃবিজ্ঞানী মার্ডক-এর নিæোল্লেখিত সংজ্ঞায় বিষয়টা স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে:
“পরিবার হচ্ছে একটি সামাজিক দল যার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একত্রে বসবাস, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং
পুনরুৎপাদন। পরিবারে থাকে দুই লিঙ্গের প্রাপ্ত-বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের অন্তত দুইজনের মধ্যে থাকে
সামাজিক ভাবে গ্রহণযোগ্য যৌনসম্পর্ক। পরিবারে আরো থাকে, এই প্রাপ্তবয়স্ক, একত্রে বসবাসকারী
পাঠ - ২
পরিবার সংজ্ঞায়নে নৃবিজ্ঞানীরা
জোর দেন বিয়ে, স্বামী-স্ত্রীর
একত্রে বসবাস, এবং সন্তান
লালন-পালনের উপর। গৃহস্থালী
সংজ্ঞায়িত হয় “আবাসস্থলের
একক” হিসেবে।
যৌন সম্পর্কে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের অন্তত একটি সন্তান। সন্তানটি তাদের নিজেদের হতে পারে অথবা
হতে পারে পালিত।”৩
পরিবার-সম্পর্কিত এই ধারণা পাশ্চাত্য সমাজে খুবই শক্তিশালী। ধরে নেয়া হয় এধরনের পরিবার
স্বাভাবিক; এ ধরনের পরিবার শুধুমাত্র কাম্য নয়, বাস্তবেও প্রতিফলিত। সমস্যা হ’ল, পাশ্চাত্য
নৃবিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন পরিবারের এই মডেল বিশ্বব্যাপী এবং তাঁরা পরিবারের এই সংজ্ঞা ধরে
অপাশ্চাত্য সমাজগুলোতে গবেষণা চালান। কেবল মাত্র পরিবার নয়, অপাশ্চাত্য সমাজের অপরাপর
সামাজিক প্রতিষ্ঠানাদির ব্যাপারে পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক এই দৃষ্টিভঙ্গি জ্ঞান আহরণের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত
করতে পারে, এ ধারণা ৭০-এর দশকে নৃবিজ্ঞানী মহলে জোরালোভাবে উচ্চারিত হয়। জাতিকেন্দ্রীক
(বঃযহড়পবহঃৎরপ) এথনোগ্রাফি রচনা, তার সমস্যা, সেটাকে বর্জন করার প্রয়োজনীয়তা Ñ এসব নিয়ে
প্রচুর পরিমাণে লেখালেখি হয়, তর্ক-বিতর্ক হয়। বর্তমানে অবশ্য সমস্যাটাকে শুধুমাত্র জ্ঞাতি-
কেন্দ্রিকতার সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। দেখা হচ্ছে পাশ্চাত্য আধিপত্যের জ্ঞানগত দিক হিসেবে
(অন্যান্য দিকগুলো হ’ল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক এবং সাংস্কৃতিক)।
পরিবারের প্রসঙ্গে আবার ফিরে আসা যাক। পাশ্চাত্যের নৃবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন
যে পরিবারের এই মডেল পৃথিবীর সকল সমাজের জন্য কার্যকরী। খ্যাতিমান নৃবিজ্ঞানী ব্রনিস্লো
ম্যালিনোস্কি পাশ্চাত্য ধারণা নিয়ে এগোন, যদিও তিনি অস্ট্রেলীয় আদিবাসীদের নিয়ে লিখেছিলেন।
ম্যালিনোস্কি লেখেন, পরিবার বিশ্বের সকল সমাজে উপস্থিত। কিন্তু ম্যালিনোস্কির পূর্বানুমান (অর্থাৎ,
তিনি আগে থেকেই ধরে নিচ্ছেন, অনুমান করছেন) খেয়াল করবেন; সেটি হচ্ছে যে, পরিবার মাত্রই
পাশ্চাত্য পরিবার: স্বামী, স্ত্রী, এবং তাদের সন্তান। পরিবার কেন বিশ্বজনীন? এক্ষেত্রে ম্যালিনোস্কির যুক্তি
ছিল, সন্তান লালন-পালনের চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা যেহেতু বিশ্বজনীন, এবং যেহেতু সে চাহিদা
মেটাতে পারে শুধুমাত্র পরিবার নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠান Ñ এ কারণেই বিশ্বের সকল সমাজে পরিবার
উপস্থিত। ম্যালিনোস্কি আরো বলেন, একই ধরনের সামাজিক একক থাকা সত্তে¡ও পরিবার অন্য সব
একক থেকে স্বতন্ত্র। পরিবারের প্রথম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে: পরিবারের সদস্যদের একে অপরের প্রতি বিশেষ
ধরনের অনুভূতি (ভালবাসা, ¯েœহ) থাকে। এর কারণ, একমাত্র পরিবারের সদস্যরা রক্ত (বাবা-মা এবং
তাদের ঔরসজাত সন্তান) এবং বিবাহ (স্বামী এবং স্ত্রী) Ñ এই দুই সূত্রে সম্পর্কিত। জ্ঞাতি সম্পর্কের এই
ঘনত্ব আর অন্য কোন একত্রে বসবাসকারী একক বা জ্ঞাতি দলে দেখা যায় না। পরিবারের দ্বিতীয়
বৈশিষ্ট্য হ’ল, পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট স্থানে একত্রে বসবাস করেন, এবং তৃতীয়ত, পরিবার সন্তান
লালনপালনের কার্য সম্পাদন করে। ম্যালিনোস্কির দৃষ্টিতে পরিবারের চতুর্থবৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটি একটি
সীমানা-নির্দিষ্ট সামাজিক একক। উদাহরণস্বরূপ, একজন বিবাহিত পুরুষ কিংবা নারীর যৌনক্রিয়া
বিয়ের সম্পর্কের ভিতরে সীমাবদ্ধ থাকে, একজন পুরুষের আয় বণ্টিত হয় পরিবারের ভিতরে।
ম্যালিনোস্কি যেভাবে সর্বজনীন পরিবারের সংজ্ঞা দাঁড় করিয়েছিলেন, নৃবিজ্ঞানী র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন সেটা
অনুসরণ করেননি। তিনি বলেছেন “মৌলিক পরিবার”-এর কথা। র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন মৌলিক পরিবারকে
সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে: “একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী, এবং তাদের একটি অথবা একাধিক সন্তান।
তাঁরা সকলে একত্রে বসবাস করতেও পারেন, নাও পারেন”।৪
যদিও র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন ধরে নেননি
পরিবার মাত্রই একটি একত্রে বসবাসকারী একক কিন্তু তা সত্তে¡ও তার পরিবারের ধারণা পাশ্চাত্য অণু
পরিবারকে ধারণ করে (একজন পুরুষ এবং তার স্ত্রী)। বর্তমানের নৃবিজ্ঞানীরা সে কারণে তার
পরিবারের ধারণাকে অপর্যাপ্ত মনে করেন।

৩ খধফরংষধা ঐড়ষু, অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরপধষ চবৎংঢ়বপঃরাবং ড়হ করহংযরঢ়, খড়হফড়হ: চষঁঃড় চৎবংং, ১৯৯৬, ঢ়.
৫৪ এ উদ্ধৃত।
৪ খধফরংষধা ঐড়ষু, অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরপধষ চবৎংঢ়বপঃরাবং ড়হ করহংযরঢ়, খড়হফড়হ: চষঁঃড় চৎবংং, ১৯৯৬, ঢ়.
৫৫ এ উদ্ধৃত।
ম্যালিনোস্কি লেখেন, পরিবার
বিশ্বের সকল সমাজে উপস্থিত।
কিন্তু ম্যালিনোস্কির পূর্বানুমান
(অর্থাৎ, তিনি আগে থেকেই
ধরে নিচ্ছেন, অনুমান করছেন)
খেয়াল করবেন; সেটি হচ্ছে যে,
পরিবার মাত্রই পাশ্চাত্য পরিবার:
স্বামী, স্ত্রী, এবং তাদের সন্ত
ান।
বাস্তবে এমন বহু পরিবার আছে
যেখানে একই সাথে বসবাস
করেন দাদা/দাদী বা
নানা/নানী, বাবা-মা’র ভাই-
বোন, সন্তানদের স্ত্রী কিংবা
স্বামী। এমনকি, এমনও হতে
পারে যে একইসাথে বসবাস
করছেন এমন মানুষজন যাঁরা
জ্ঞাতি নন।
জাতি-কেন্দ্রিকতার প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছিল ১৯৭০ এর দশকের বিশ্বব্যাপী রাজনীতির পরিসরে:
ভিয়েতনাম যুদ্ধ, মার্কিনী আগ্রাসন, ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, কিছু নৃবিজ্ঞানীদের মার্কিন
সরকারের সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন। বৃহত্তর এই প্রেক্ষিতে, নৃবিজ্ঞানে কিছু বদল ঘটল। নিজ
(পাশ্চাত্য) সমাজ হয়ে উঠল নৃবিজ্ঞানীর গবেষণার ক্ষেত্র। যা স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয়া হয়েছিল, তা
নিয়ে প্রশ্ন শুরু হ’ল। পরিবার প্রসঙ্গে নৃবিজ্ঞানীদের কাজ থেকে ধরা পড়ল দুটি জিনিস। একটি হচ্ছে,
পাশ্চাত্য সমাজে অণু পরিবার স্বাভাবিক, এ ধারণা শক্তিশালী হলেও বাস্তবে এমন বহু পরিবার আছে
যেখানে একই সাথে বসবাস করেন দাদা/দাদী বা নানা/নানী, বাবা-মা’র ভাই-বোন, সন্তানদের স্ত্রী
কিংবা স্বামী। এমনকি, এমনও হতে পারে যে একইসাথে বসবাস করছেন এমন মানুষজন যাঁরা জ্ঞাতি
নন। যেমন ধরুন, বন্ধু, ভাড়াটিয়া। দ্বিতীয়ত, স্বাভাবিকতার ধারণা শ্রেণী আধিপত্যের সাথে যুক্ত।
উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে অণু পরিবার শুধুমাত্র আদর্শ নয়, বাস্তবও বটে। প্রথাগত নৃবিজ্ঞানে
পরিবারের সাথে শ্রেণীর যুক্ততা এবং শ্রেণী আধিপত্যের প্রসঙ্গগুলোকে আড়াল করা হয়েছিল।
অ-ইউরোপীয় সমাজের পরিবার
‘পাশ্চাত্য সমাজ’ একটি প্রত্যয়। প্রত্যয় বলা হচ্ছে এই কারণে যে, এটি মৌলিক কিছু অর্থনৈতিক এবং
সাংস্কৃতিক গঠনকে বুঝতে সাহায্য করে। এই গঠন বিগত চার শতকের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় বিকশিত
হয়েছে। এই গঠন সমরূপ নয়। জাতিভিত্তিক (উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজ, জার্মান), ধর্মীয় (উদাহরণ
স্বরূপ, ক্যাথলিক, প্রটেস্টান্ট), ভাষাগত (উদাহরণস্বরূপ, ফরাসী, ডেনিশ) এবং সাংস্কৃতিক
(উদাহরণস্বরূপ, উত্তর বা দক্ষিণ ইউরোপ) ভিন্নতা রয়েছে । বিভিন্ন অঞ্চলের আছে নির্দিষ্ট ইতিহাস;
অঞ্চলের ভিতরে, এবং অপর অঞ্চলের সাথে, রয়েছে দ্ব›দ্ব-সংঘাতের সম্পর্ক। ভিন্নতা এবং নানান
ধরনের জটিলতা সত্তে¡ও পাশ্চাত্য সমাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিক দিয়ে একীভূত: আলোকময়তা, পুঁজিবাদ,
যৌক্তিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য এবং ধর্ম-নিরপেক্ষতা। বর্তমান বিশ্বে ক্ষমতার যে
সম্পর্ক বিরাজমান, তার প্রেক্ষিতে পাশ্চাত্য ও অ-পাশ্চাত্য সমাজের দ্বিবিভাজন অর্থবহ। নৃবিজ্ঞানী
তালাল আসাদ এবং আরো অনেকে, এই যুক্তি দাঁড় করান। অ-পাশ্চাত্য সমাজের যে বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা
(জাতিভিত্তিক, ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি) পুঁজিবাদ ও পাশ্চাত্য আধিপত্যের বিস্তার তাকে একই
সাথে ধ্বংস করেছে এবং পুনরায় গঠিত করেছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ধ্বংস এবং পুনর্গঠনের
এই প্রক্রিয়া অ-পাশ্চাত্য সমাজের সংস্কৃতিগুলোকে সমরূপ করে তুলছে, আবার একইসাথে নতুন নতুন
ভিন্নতা ও বিভাজন সৃষ্টি করছে।
পরিবার প্রসঙ্গে ফিরে আসা যাক। নীচে ঘানার মাতৃসূত্রীয় আশান্টি জাতির একটি কেস স্টাডি উপস্থাপন
করা হল। আশান্টি পরিবার মাতৃসূত্রীয়। বিয়ের পর স্বামী এবং স্ত্রী সংসার গড়েন না; তারা বিয়ের পূর্বে
যেভাবে নিজ-নিজ মাতৃসূত্রীয় পরিবারে থাকতেন, বিয়ের পরও সেভাবে থাকেন। স্বামী এবং স্ত্রীর এই
পৃথক বসবাস স্বল্পকালীন কিছু নয় বরং আজীবনের। খুব স্পষ্টতই আশান্টি সমাজের পরিবার গঠন প্রথা
পাশ্চাত্য সমাজের পরিবারের মডেল থেকে খুব ভিন্ন। উপরন্তু, এটি পাশ্চাত্য নৃবিজ্ঞানীদের তৈরি করা
পরিবারের বিশ্বজনীন সংজ্ঞা এবং আকর বৈশিষ্ট্যকে চ্যালেঞ্জ করে।
কেস স্টাডি : মাতৃসূত্রীয় আশান্টি জাতি৫


খধফরংষধা ঐড়ষু, অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মরপধষ চবৎংঢ়বপঃরাবং ড়হ করহংযরঢ়, খড়হফড়হ: চষঁঃড় চৎবংং, ১৯৯৬,
ঢ়. ৫৪ এ উদ্ধৃত।
ভিন্নতা এবং নানান ধরনের
জটিলতা সত্তে¡ও পাশ্চাত্য
সমাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ দিক দিয়ে
একীভূত: আলোকময়তা
(বহষরমযঃবহসবহঃ),
পুঁজিবাদ, যৌক্তিকতা, বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি, খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য এবং
ধর্ম-নিরপেক্ষতা।
আশান্টি সমাজের গৃহস্থালী সদস্য সাধারণত হন: একজন নারী, তার ভাই, তার পুত্র এবং কন্যা, এবং তার কন্যার
সন্তানেরা। এই নারীর স্বামী বসবাস করেন তার নিজ গৃহস্থালীতে। স্বামীর গৃহস্থালীর অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন: তার
বোন, হয়ত তাদেরই আরেক ভাই, তার বোনের সন্তানেরা এবং তার কন্যার সন্তানসকল। স্বামী ও স্ত্রীর গৃহস্থালী
কাছাকাছি অবস্থিত, এতে সহবাস এবং অন্যান্য সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে। সাধারণত প্রায় ৮০ শতাংশ
বিয়ে একই গ্রামে ঘটে থাকে। স্বামী তার স্ত্রীর গৃহস্থালীতে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন, এবং সেখানে রাত্রি যাপন
করেন। সহবাসের সম্পর্ক বাদে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঘটে আর্থিক বিনিময়। স্ত্রী নিয়মিত তার স্বামীর জন্য রান্না করে।
আশান্টি গ্রামের চিরাচরিত দৃশ্য হচ্ছে: প্রতি সন্ধ্যায় পুটলি হাতে ছোট ছোট মেয়েদের দেখা যায়। গ্রামের কন্যারা
নিজ নিজ পিতার জন্য মায়ের হাতে রান্না করা খাবার নিয়ে যায়। স্বামীর দায়িত্ব হচ্ছে স্ত্রী ও তাদের সন্তানদের
খাওয়া-পরা সরবরাহ করা। যদি তিনি এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে তার স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি জানাতে
পারেন। পক্ষান্তরে, স্ত্রী যদি স্বামীর জন্য খাবার রান্না না করেন অথবা তার সাথে সহবাসে রাজী না হন তাহলে স্বামীও
তালাক চাইতে পারেন। এর থেকে বোঝা যায় যে বিয়ের সম্পর্ক স্বামী এবং স্ত্রী, দুজনকেই দেয় কিছু আর্থিক
অধিকার এবং দায়িত্ব। কিন্তু বিয়ের চাইতেও শক্তিশালী অর্থনৈতিক একক হচ্ছে মাতৃসূত্রীয় গৃহস্থালী। একজন পুরুষ
কখনোই চাষবাসের জন্য তাঁর ছেলেদের থেকে শ্রম দাবি করতে পারেন না। ঋণগ্রস্তহয়ে পড়লে, ঋণ পরিশোধের
জন্য পিতা হিসেবে তিনি তাদের সাহায্য চাইতে পারেন না। যদি কখনও এ ধরনের সাহায্য তাঁর প্রয়োজন হয়
তাহলে তিনি একমাত্র তার ভগ্নীপুত্রের শরণাপন্ন হতে পারেন যাঁদের সাথে তিনি একত্রে বসবাস করেন।
এ অব্দি আলোচনা থেকে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি স্বতন্ত্র জ্ঞানকান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবার পর প্রাথমিক
পর্যায়ের নৃবিজ্ঞান, জ্ঞাতিত্বের বহির্গৃহী (বীঃৎধ-ফড়সবংঃরপ) দিকের উপর বেশি গুরুত্বারোপ করেছিল।
অর্থাৎ, “আদিম” সমাজের বৃহত্তর পরিসরে জ্ঞাতিত্ব কি কার্য সম্পাদন করে থাকে, এর গুরুত্ব এবং অর্থ
কি, এ সকল বিষয় নৃবিজ্ঞানীদের মনোযোগের জায়গা ছিল। বংশধারা এবং মৈত্রীবন্ধন তত্ত¡ এই
সময়কালের সৃষ্টি। পরবর্তী পর্যায়ে, ১৯৬০ এবং ১৯৭০-এর দশকে, পরিবার এবং গৃহস্থালী Ñ এসব
বিষয়ে নৃবিজ্ঞানীরা নজর দেন। পরিবারকে সংজ্ঞায়িত করা হয় রক্ত ও বিবাহ-সূত্রে সৃষ্ট জ্ঞাতি দল
হিসেবে। পাশ্চাত্য নৃবিজ্ঞানীরা ধরে নেন মূল পরিবার হচ্ছে স্বামী ও স্ত্রী দ্বারা গঠিত পরিবার। সামাজিক
সংগঠনের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে বিবাহিত দম্পতি এবং তাদের নিজ (বা পালিত) সন্তান। কিন্তু ধীরেধীরে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, পাশ্চাত্য নৃবিজ্ঞানীরা তাঁদের নিজ সমাজের ভাবনা-চিন্তা থেকে
মুক্ত নন। শুধু তাই নয়, তাঁরা নিজ সমাজের ধ্যান-ধারণা (পরিবার গঠিত হয় বিয়ের মাধ্যমে, স্বামী ও
স্ত্রীর একত্রে বসবাস স্বাভাবিক ও কাম্য) অন্যান্য সমাজে রপ্তানি করেন। এই উপলব্ধি থেকে সৃষ্ট
নৃবিজ্ঞানের জ্ঞানজাগতিক সংকটের মীমাংসার চেষ্টা চলে। কিছু নৃবিজ্ঞানী প্রস্তাব করেন যে, পরিবার
এবং গৃহস্থালী, সর্বকাল ও সর্বস্থানের জন্য সত্য, এটি ধরে নেয়া ঠিক হবে না। পাশ্চাত্য সমাজে পরিবার
যে কার্য সম্পাদন করে থাকে, হয়ত অপাশ্চাত্যের কোন সমাজে অন্য কোন জ্ঞাতিদল সেই কার্য পালন
করে থাকে। তাঁরা সাংস্কৃতিক নির্দিষ্টতার উপর জোর দেন। অপর কিছু নৃবিজ্ঞানী এ ধরনের নৃবৈজ্ঞানিক
তত্ত¡কে পাশ্চাত্য সমাজের বুদ্ধিবৃত্তিক বিস্তারের তৎপরতা হিসেবে দেখেন। তাঁরা বলেন, এই তত্ত¡গুলো
সূ²ভাবে পাশ্চাত্য সমাজের প্রতিষ্ঠান এবং মূল্যবোধকে স্বাভাবিকত্বের মানদন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এই কারণে, তাঁরা মনে করেন ভবিষ্যতের নৃবিজ্ঞান গড়ে ওঠা উচিত পাশ্চাত্য আধিপত্য এবং
অপাশ্চাত্য অধস্তনতার সম্পর্ককে ঘিরে।
গৃহস্থালী ও তার বিকাশ চক্র
নৃবিজ্ঞানী মেয়ার ফোর্টস গৃহস্থালীর পরিবর্তে গৃহী দল (ফড়সবংঃরপ মৎড়ঁঢ়) শব্দ দুটি ব্যবহার করেন।
ফোর্টসের মতে গৃহী দল এবং পরিবার, এ দুটো ভিন্ন আবার আন্তঃসম্পর্কিত। ফোর্টস বলেন,
নৃবিজ্ঞানীরা কোন একটি বিশেষ মুহূর্তে মাঠ-গবেষণা করেন। তাঁরা গবেষণা ক্ষেত্রে বিচিত্র ধরনের
পরিবার দেখতে পান। অনেক সময় এই বৈচিত্র্য দেখে তাঁরা হকচকিয়ে যান। তাঁরা বুঝতে ব্যর্থ হন যে,
আসলে এত ধরনের পরিবার বা বসবাসের ধরন একই পরিবারের ভিন্ন-ভিন্ন মুহূর্তের রূপ। পরিবার
অনড়, অটল নয়। বরং পরিবর্তনীয়। গৃহী দল বাড়ে, পরিবর্তিত হয়, বিলুপ্ত হয়ে যায়। গৃহী দলের এই
পরিবর্তনশীল রূপ কোন একটি নির্দিষ্ট মৌলিক পরিবারের বিকাশ-চক্রের একটি বিশেষ মুহূর্ত মাত্র।
ফোর্টসের মতে, প্রতিটি গৃহী দলের বিকাশ চক্রের তিনটি পর্যায় লক্ষণীয়। প্রথম ধাপ হচ্ছে (ক)
স¤প্রসারণ। একজন পুরুষের সাথে একজন নারীর বিয়ের মাধ্যমে গৃহী দলের স¤প্রসারণের সূত্রপাত
ঘটে। এই ধাপ জৈবিক ভাবে নির্ধারিত। স্ত্রীর (অথবা স্ত্রীকুলের) মাসিক বন্ধ না হওয়া পর্যন্তসন্তান
জন্মদানের মাধ্যমে গৃহী দলের সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। কাঠামোগত দিক দিয়ে, এই পর্যায়ে সকল
সন্তান বাবা-মায়ের ওপর নানাভাবে Ñ যেমন অর্থনৈতিকভাবে তেমনি অনুভূতির দিক দিয়ে, আবার
আইনী-বিচারশাস্ত্রীয় অর্থে Ñ নির্ভরশীল। (খ) গৃহীদলের বিকাশ চক্রের দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে বিভাজন ।
এই পর্যায়টি পূর্বের ধাপের বিপরীত: এ পর্যায়ে গৃহী দল ছোট হয়ে যায়। এই ধাপের সূত্রপাত ঘটে যখন
সর্বজ্যেষ্ঠ সন্তানের বিয়ে হয় এবং শেষ হয় সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের বিয়ের সাথে। (গ) গৃহী দলের বিকাশ
চক্রের তৃতীয় ধাপ হচ্ছে পুনঃস্থাপন। অর্থাৎ, জনক-জননীর মৃত্যু ঘটে এবং তাদের সন্তানেরা তাদের
স্থলাভিষিক্ত হন। যে সকল সমাজে সর্বকনিষ্ঠ সন্তান উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়ি পেয়ে থাকে, সেখানে এরই
মাধ্যমে তৃতীয় ধাপের শুরু।
বর্তমানে নৃবিজ্ঞানীরা প্রায় একমত যে, কে কোন গৃহস্থালীর সদস্য তা নির্ভর করে তিনটি প্রশ্নের উত্তরের
ওপর: আপনি কি সেখানে ঘুমান? আপনি কি সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন? আপনার আয় কি সেই
গৃহস্থালীতে দেয়া হয়? কিন্তু বাসস্থান, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়া
গৃহস্থালীর আরো কার্য থাকতে পারে। যেমন, সত্তা বা পরিচিতি-গঠন। কিংবা, গৃহস্থালী হতে পারে
জীবনের বিভিন্ন কাল উদ্যাপনের স্থান বা পরিসর। যথা শিশুকাল, বয়সন্ধিকাল ইত্যাদি। অথবা,
সম্পত্তিতে কার কতখানি অধিকার আছে সেটার হিসেব-নিকেশের জায়গা হতে পারে গৃহস্থালী। কিংবা,
সেটা হতে পারে মৃত পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখা (“এইখানে তোর দাদীর কবর...”) বা তাঁদের প্রতি
সম্মান প্রদর্শনের স্থান। কিন্তু তার মানে কি এই যে, যে স্থানে এধরনের কার্য সম্পাদিত হয়ে থাকে তা
মাত্রই গৃহস্থালী? উদাহরণ স্বরূপ, বাংলাদেশী হিসেবে (শিক্ষিত) সত্তা বা পরিচিতি গঠনের একটি
কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্কুল। তার মানে কি স্কুলও গৃহস্থালী? নৃবিজ্ঞানীরা বলবেন, না। ওপরে উল্লেখিত
তিনটির যে কোন একটি কার্যাবলী সম্পাদন গৃহস্থালী এবং তার সদস্যদের চিহ্নিত করার রাস্তা বাতলে
দেয়।
নিচে উপস্থাপিত জাপানের কেস স্টাডিটি গৃহস্থালীর বিশ্বজনীন সংজ্ঞা দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা যে ভ্রান্ত,
সেটিকে স্পষ্ট করে। পড়ে দেখুন:
কেস স্টাডি : পরিবার ও গৃহস্থালী সংক্রান্তজাপানী সাংস্কৃতিক প্রত্যয়৬
মজার ব্যাপার হল, জাপানে পরিবার এবং গৃহস্থালী একেবারে ভিন্ন। শুধু তাই নয়, জাপানে বেশ কিছূ সাংস্কৃতিক
প্রত্যয় আছে যা কিনা মানুষজনকে নানান দলে অন্তর্ভুক্ত করে। জাপানি জ্ঞাতি দল, বা বসবাসকারী এককের ধারণা
পাশ্চাত্য সমাজের পরিবার এবং গৃহস্থালীর ধারণা বা অনুশীলন হতে একেবারে ভিন্ন। “শতাই” (ংযড়ঃধর) হচ্ছে তারা
যারা একসাথে জীবনযাপনের খরচপাতি করে থাকে। এমনও হতে পারে, তাদের মধ্যে কোন জ্ঞাতি সম্পর্ক নেই।
“কাজোকু” (শধুড়শঁ) হচ্ছে এমন একটি দল যাদের মধ্যে ঐক্য আছে। তারা একত্রে বসবাস নাও করতে পারে।
যেমন ধরুন প্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র যে বাবা-মা’র সাথে থাকে না কিন্তু সে কাজোকুর অন্তর্ভুক্ত। “ইয়ে” (রব) বলতে বোঝায়
বাড়ি (দালান-কোঠা অর্থে) এবং এর একাধিক মৃত, এবং বর্তমান, প্রজন্ম। প্রতি প্রজন্মে থাকবে শুধুমাত্র একটি
বিবাহিত দম্পতি। “দোজকু” (ফড়ুড়শঁ) হচ্ছে আরো বড়সড় জ্ঞাতি দল। এর অন্তর্ভূক্ত ইয়ে এবং ইয়ে’র দুই একটি

৬ জড়মবৎ ঝধহলবশ, "ঐড়ঁংবযড়ষফ," রহ অষধহ ইধৎহধৎফ ধহফ ঔড়হধঃযধহ ঝঢ়বহপবৎ (বফং)
ঊহপুপষড়ঢ়বফরধ ড়ভ ঝড়পরধষ ধহফ ঈঁষঃঁৎধষ অহঃযৎড়ঢ়ড়ষড়মু, খড়হফড়হ: জড়ঁঃষবফমব, ১৯৯৬, ঢ়ঢ়. ২৮৫-
২৮৭
বর্তমানে নৃবিজ্ঞানীরা প্রায়
একমত যে, কে কোন গৃহস্থালীর
সদস্য তা নির্ভর করে তিনটি
প্রশ্নের উত্তরের ওপর: আপনি কি
সেখানে ঘুমান? আপনি কি
সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন?
আপনার আয় কি সেই
গৃহস্থালীতে দেয়া হয়?
শাখা (ধরুন আরেকজন পুত্র ও তার পরিবার) কিন্তু সকল শাখা-প্রশাখা না। “শিন্সকেই” (ংযরহংশবর) তে অন্তর্ভূক্ত
ইয়ে এবং বিবাহিত কন্যাসকল।
এখন প্রশ্ন হল: জাপানি জ্ঞাতি ব্যবস্থায় কোনটাই বা “পরিবার” আর কোনটাই বা “গৃহস্থালী”? পরিবার
এবং গৃহস্থালী থাকতে বাধ্য, সকল সমাজে এগুলো আছে, এভাবে না এগিয়ে হাল আমলের কিছু
নৃবিজ্ঞানীর মনে হবে, জাপানি সাংস্কৃতিক প্রত্যয়ের সাহায্যে জাপানি সামাজিক সংগঠন বুঝতে চেষ্টা
করাটা আরো অর্থবহ। বিষয়টি নিয়ে আপনাকে ভাবতে অনুরোধ করছি।
সারাংশ
পরিবার এবং গৃহস্থালী নৃবিজ্ঞানীদের মনোযোগ পেয়েছে বহু পরে, বিংশ শতকের শেষ অর্ধে। পরিবার
এবং গৃহস্থালী নিয়ে যেসব তত্ত¡ তৈরির কাজ, এবং মাঠগবেষণা ভিত্তিক কাজ শুরু হয় তা পরবর্তী কালে
জাত্যাভিমানাত্মক হওয়ার কারণে সমালোচনার সম্মুখীন হয়। নৃবিজ্ঞানী এবং সমাজবিজ্ঞানীরা ধরে
নিয়েছিলেন পরিবারের কিছু আকর বৈশিষ্ট্য আছে, পরিবার কিছু আকর ভূমিকা পালন করে, যা বিশ্বের
যাবতীয় ভিন্নতাকে (বিশ্বের এক অঞ্চল হতে আরেক অঞ্চলের সামাজিক এবং কৃষ্টিগত ভিন্নতা) ছাপিয়ে
যায়। সমালোচকদের দৃষ্টিতে, যে বিশ্বজনীন সংজ্ঞা দাঁড় করানো হয়েছিল সেগুলো ছিল পার্শ্বিক; এই
সংজ্ঞাগুলোর ভিত্তি ছিল পাশ্চাত্য সমাজের ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা, সেখানকার ঘটনা। পাশ্চাত্য সমাজে
যা স্বাভাবিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত, তার ভিত্তিতে নৃবিজ্ঞানীরা তৈরী করেন পরিবার এবং গৃহস্থালীর
বিশ্বজনীন সংজ্ঞা। হাল আমলের কিছু নৃবিজ্ঞানী মনে করেন যে, এ ধরনের নৃবৈজ্ঞানিক কাজ পাশ্চাত্য
সমাজকে বিশ্বের সাংস্কৃতিক মানদন্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক () চিহ্ন দিন -
১। “মৌলিক পরিবার” -এর কথা কে বলেছেন?
ক. লুইস হেনরী মর্গান খ. ম্যালিনোস্কি
গ. র‌্যাডক্লিফ ব্রাউন ঘ. স্যার এডমন্ড আর লীচ্
২। নিচের কোন নৃবিজ্ঞানী গৃহস্থালীর পরিবর্তেগৃহীদল (ফড়সবংঃরপ মৎড়ঁঢ়) শব্দ দুটি ব্যবহার
করেন?
ক. মেয়ার ফোর্টস খ. ক্লিফোর্ড গিয়ার্টজ
গ. ডেভিড এম শ্নাইডার ঘ. ভিক্টর টার্নার
৩। নিচের কোন দেশে মাতৃসূত্রীয় আশান্টি জাতি বাস কম্ফর?
ক. নাইজেরিয়া খ. লিবীয়া
গ. মোজাম্বিক ঘ. ঘানা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। পরিবার এবং গৃহস্থালীর পার্থক্য কী?
২। গৃহস্থালীর বিকাশ চক্র কী?
রচনামূলক প্রশ্ন
১। পরিবারের প্রভাবশালী সংজ্ঞা পাশ্চাত্য-কেন্দ্রীক। আলোচনা করুন।
২। মেয়ার ফোর্টসের গৃহী দলের ধারণা সাংস্কৃতিক নির্দিষ্টতা বুঝতে সাহায্য করে না। জাপানি সমাজের
উদাহরণের সাহায্যে আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]