সামাজিক কাঠামোর সংজ্ঞা ও প্রকৃতির বিশদ আলোচনা করুন।


সামাজিক কাঠামো এবং সামাজিকীকরণ
সমাজবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় প্রত্যয় সামাজিক কাঠামো হল উক্ত বিজ্ঞানে ব্যবহৃত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা
যার সংজ্ঞা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক রয়েছে প্রচুর। তবে একথা ঠিক যে, সামাজিক কাঠামোসমাজে বিদ্যমান
মানুষের জটিল সম্পর্কের জালকে বিশ্লেষণ করে। দ্য তোকভিল কর্তৃক এ প্রত্যয়টি প্রথম ব্যবহৃত
হলেও সমাজবিজ্ঞানে এটিকে জনপ্রিয় করে তোলেন হাবার্ট স্পেনসর। পরবর্তীতে ডুর্খীম, মর্গান,
মার্কস্ এবং অন্যান্যরা এ সম্পর্কে তাদের নিজ নিজ ধারণা প্রদান করেন। কার্ল মার্কস্ সমাজ
কাঠামোকে বিশ্লেষণ করলেও সামাজিক কাঠামোর সরাসরি কোন সংজ্ঞা তিনি দেননি। এক্ষেত্রে সুস্পষ্ট
সংজ্ঞা যিনি দিয়েছেন তিনি হল বিখ্যাত বৃটিশ নৃবিজ্ঞানী র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন। ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে সব
সম্পর্ককেই তিনি সামাজিক কাঠামোর অঙ্গ বলে বর্ণনা করেন। সাম্প্রতিক সমাজবিজ্ঞানে গোষ্ঠী,
প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থান ও ভ‚মিকার সমন¦য়ে গঠিত সামাজিক কাঠামোর ধারণাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
সত্তরের দশকে বিশেষ প্রভাব সৃষ্টিকারী মার্কসীয় ধারণা সমাজবিজ্ঞানের অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ
ভিন্ন হওয়ায় সামাজিক কাঠামোর আলোচনায় মার্কসীয় ও অমার্কসীয় ধারণার মধ্যে বিভাজন করা হয়।
মার্কসের মতে ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ায় বিবর্তিত সামাজিক সম্পর্কের জালই সামাজিক কাঠামোযার ভিত্তি
ও উপরিকাঠামো নামে দু'টি অংশ বিদ্যমান এবং এ ভিত্তি হচ্ছে সমাজের অর্থনৈতিক কাঠামো যা
আইনগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতার উপরিকাঠামোকে নিয়ন্ত্রণ করে। মার্কস্ সামাজিক
কাঠামোকে বিবর্তনশীল বলে মনে করেন যেখানে উৎপাদনশক্তি ও উৎপাদনসম্পর্কের পারস্পরিক
ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সমনি¦ত রূপ হল উৎপাদন পদ্ধতি ুমঢণ মত রেমঢলর্ডধমভ। এই উৎপাদন পদ্ধতির
পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটে সামাজিক কাঠামোর যার এক দিকে উৎপাদনসম্পর্ক ও
উৎপাদনশক্তির দ্বন্দ¡, অন্যদিকে উৎপাদনের উপায়ের মালিক এবং উৎপাদক শ্রেণীর দ্বন্দ¡। আর এই
দ্বন্দ¡ চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ধনতান্ত্রিক সমাজে সর্বহারা শ্রেণীর বিপ্লব এবং সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
সামাজিক কাঠামোর আলোচনায় আরেকটি দিক হল অমার্কসীয় ধারণা যা ব্যাপ্তি ও ভিন্নতার দিক থেকে
অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ পরিসর। মার্কসীয় ধারণার পাশাপাশি বিবর্তনবাদী, কাঠামোবাদী এবং
ক্রিয়াবাদী দৃষ্টিকোণ থেকেও সামাজিক কাঠামো বিশ্লেষণ করা হয়েছে।বিবর্তনবাদে সমাজ কাঠামোকে
দেখা হয়েছে বিশ্ব ইতিহাসের পর্যায়ে যেখানে সামাজিক কাঠামোর সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি নির্ধারিত হয়
জৈবিক ঐতিহ্য, প্রযুক্তির বিকাশ, পরিবেশ ও প্রয়োজনীয়তা নামক চারটি উপাদানের দ্বারা।
কাঠামোবাদে সমাজ কাঠামোকে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বাস্তবতাহীন বলে মনে করা হয়। চিন্তার ছক বা মডেলের
মাধ্যমে সামাজিক কাঠামোর বিশ্লেষণ করা যায়। ক্রিয়াবাদী তত্তে¡ মনে করা হয়, সামাজিক
কাঠামোএকটি সমগ্র যার অংশগুলি সমগ্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য অবদান রাখে। তাছাড়া পিটার বøাউএর বিনিময় তত্তে¡ সামাজিক কাঠামোহল উপলব্ধিগত সমাজ জীবনের ছক, লক্ষ্যণীয় নিয়ম এবং
সনাক্তকৃত বিন্যাস।
সামাজিকীকরণ সামাজিক কাঠামোর সাথে সম্পৃক্ত। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা
একই সাথে সমাজের শ্রেয়োবোধ ও মূল্যবোধকে আত্তীকরণ এবং সামাজিক ভ‚মিকা পালনের মধ্য
দিয়ে সমাজের সদস্য হতে শিক্ষা লাভ করি। এই সামাজিকীকরণের রয়েছে বিভিন্ন তত্ত¡ ও বাহন।


সামাজিক কাঠামোর সংজ্ঞা ও প্রকৃতি
উবভরহরঃরড়হং ধহফ ঘধঃঁৎব ড়ভ ঝড়পরধষ ঝঃৎঁপঃঁৎব
উদ্দেশ্য
এই পাঠটি পড়ে আপনি জানতে পারবেন:
● সামাজিক কাঠামোর ধারণা ও সংজ্ঞা
● সামাজিক কাঠামোর প্রকৃতি
● সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ধারণা
ভ‚মিকা
সামাজিক কাঠামো সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। এর মাধ্যমে সমাজে মানুষের
সাথে মানুষের যে জটিল সম্পর্কজাল ও সমাজের বিভিন্ন অংশের যে বিন্যাস তা অনুধাবন করা
যায়। সামাজিক কাঠামো কি এ নিয়ে তর্ক প্রচুর। ফলে সামাজিক কাঠামোকে বোঝার চেষ্টা
করা হয়েছে বিভিন্ন তাত্তি¡ক দৃষ্টিকোণ থেকে। প্রত্যয়টির সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ভাবে।
সামাজিক কাঠামো প্রত্যয়টি প্রথম ব্যবহার করেন ১৮৩৫ সালে দ্য তকভিল (১৮০৫-১৮৫৯)।
তাঁর পরে এটি ব্যবহার করেন সমাজবিজ্ঞানী হাবার্ট স্পেনসর (১৮২০Ñ১৯০৩)। প্রত্যয়টির
ব্যবহার কার্ল মার্কস্ -এর লেখায়ও পাওয়া যায়।
সামাজিক কাঠামোর সংজ্ঞা
সামাজিক কাঠামো নিয়ে মার্কস্ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করলেও এর সরাসরি কোন সংজ্ঞা তাঁর
লেখায় পাওয়া যায় না। সামাজিক কাঠামোর স্পষ্ট সংজ্ঞা দেন বৃটিশ নৃবিজ্ঞানী র‌্যাডক্লিফ ব্রাউন
(১৮৮১-১৯৫৫)। তাঁর মতে সমাজের অংশগুলো এমন ভাবে বিন্যস্ত যে তা একটি সমগ্র তৈরি
করে এবং এই সমগ্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য কাজ করে। সমাজের অংশগুলোর মধ্যে
বিরাজমান সম্পর্ককে তিনি কাঠামো বলে অভিহিত করেন। স্মরণ রাখা প্রয়োজন র‌্যাডক্লিফব্রাউন তাঁর সংজ্ঞা দিয়েছেন ক্রিয়াবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
নৃবিজ্ঞানের পরিপ্রেক্ষিত থেকে এর উপাদানগুলোকে চিহ্নিত করেছেন রেমন্ড ফার্থ জধুসড়হফ
ঋরৎঃয। সামাজিক কাঠামোর প্রধান উপাদান হচ্ছে গোত্র, জাত, বয়স-গোষ্ঠী ধমব-ংবঃ, গোপন
সমাজ, জ্ঞাতি-গোষ্ঠীর মত দীর্ঘস্থায়ী গোষ্ঠীগুলো।
সমকালীন সংজ্ঞা
সামাজিক বিজ্ঞানের অভিধান অ উরপঃরড়হধৎু ড়ভ ঝড়পরধষ ঝপরবহপবং-এ সামাজিক কাঠামোর
সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে, “যে অর্থে স্পেনসর এবং অনেক সাম্প্রতিক সমাজবিজ্ঞানীরা
প্রত্যয়টি ব্যবহার করেছেন, সে অর্থে সামাজিক কাঠামো বলতে বোঝায় বিশেষ এবং পরস্পর
নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর (অবস্থান এবং কর্মকান্ডের বা কর্মকদের বিন্যাস যা প্রতিষ্ঠানগুলোতে
থাকে) কম-বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিন্যাস। এর সবগুলো বিশেষ চাহিদা এবং সক্ষমতাসম্পন্ন
মানবগোষ্ঠী হিসাবে প্রাকৃতিকভাবে বিকাশ লাভ করেছে-পরস্পরের সাথে মিথস্ক্রিয়া করেছে
এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করেছে।”

"ওহ ঃযব ংবহংব রহ যিরপয ঝঢ়বহপবৎ ধহফ সধহু সড়ৎব ৎবপবহঃ ংড়পরড়ষড়মরংঃং যধাব ঁংবফ ঃযব পড়হপবঢ়ঃ, ংড়পরধষ ংঃৎঁপঃঁৎব ৎবভবৎং ঃড় ধ সড়ৎব ড়ৎ ষবংং ফরংঃরহপঃরাব ধৎৎধহমবসবহঃ (ড়ভ যিরপয ঃযবৎব সধু নব সড়ৎব ঃযধহ ড়হব ঃুঢ়ব) ড়ভ ংঢ়পরধষরংবফ ধহফ সঁঃঁধষষু ফবঢ়বহফবহঃ রহংঃরঃঁঃরড়হং (ধহফ ঃযব রহংঃরঃঁঃরড়হধষ ড়ৎমধহরুধঃরড়হং ড়ভ ঢ়ড়ংরঃরড়হং ধহফ/ ড়ৎ ড়ভ ধপঃড়ৎং যিরপয ঃযবু রসঢ়ষু) ধষষ বাড়ষাবফ রহ ঃযব হধঃঁৎধষ পড়ঁৎংব ড়ভ বাবহঃং ধং মৎড়ঁঢ়ং ড়ভ যঁসধহ নবরহমং, রিঃয মরাবহ হববফং ধহফ পধঢ়ধপরঃরবং যধাব রহঃবৎধপঃবফ রিঃয বধপয ড়ঃযবৎ (রহ াধৎরড়ঁং সড়ফবং ড়ভ রহঃবৎধপঃরড়হং) ধহফ ংড়ঁমযঃ ঃড় পড়ঢ়ব রিঃয ঃযবরৎ বহারৎড়হসবহঃ."
এই সংজ্ঞা থেকে আমরা বুঝতে পারিÑ
❏ সামাজিক কাঠামো মানব গোষ্ঠীর পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে।
❏ মানব গোষ্ঠীর পারস্পরিক সম্পর্ক ভিন্ন হয় তার কারণ তাদের চাহিদা ও সক্ষমতা ভিন্ন
থাকে এবং তারা পরস্পরের সাথে এবং পরিবেশের সাথে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মিথস্ক্রিয়া করে।
❏ সামাজিক কাঠামোর ধারণার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অবস্থান ংঃধঃঁং এবং ভ‚মিকা ৎড়ষব।
জেমস ডবিøউ. ভি. জ্যানডেন ঔধসবং ড.ঠ. তধহফবহ -এর ভাষায় সামাজিক কাঠামো বলতে
বোঝায় সমাজ ব্যবস্থার অংশগুলোর মধ্যে যে পুন: সংঘটনশীল ও ছক-বাঁধা সম্পর্ক বিরাজ
করে তাকে।
"ঝড়পরধষ ঝঃৎঁপঃঁৎব ৎবভবৎং ঃড় ঃযব ৎবপঁৎৎবহঃ ধহফ ঢ়ধঃঃবৎহবফ ৎবষধঃরড়হংযরঢ়ং ঃযধঃ বীরংঃং ধসড়হম ঃযব পড়সঢ়ড়হবহঃং ড়ভ ধ ংড়পরধষ ংুংঃবস."
সামাজিক কাঠামোর এই ধারণাটিই এখন পরিব্যাপ্ত। মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী হ্যারী এম
জনসনের মতে সামাজিক কাঠামোর চারটি স্তর রয়েছে।
❐ মূল্যবোধ: মূল্যবোধ তুলে ধরে সমাজের কাক্সিক্ষত আদর্শ। গণতান্ত্রিক আদর্শ মূল্যবোধের
একটি উদাহরণ।
❐ প্রাতিষ্ঠানিক ছক: জ্ঞাতি-দায়িত্ব, সম্পত্তি (অধিকার এবং দায়-দায়িত্ব), কর্তৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক
ছকের উদাহরণ।
❐ গোষ্ঠী ঃ পরিবার, বিদ্যালয়, রাজনৈতিক দল প্রভৃতি গোষ্ঠীর উদাহরণ।
❐ অবস্থান এবং ভ‚মিকা ঃ অবস্থানের উদাহরণ হচ্ছে মা-বাবা, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী প্রভৃতি।
সাম্প্রতিক সমাজবিজ্ঞানে এই শ্রেণীকরণ গৃহীত না হলেও, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থান ও
ভ‚মিকার সমন¦য়ে গঠিত সামাজিক কাঠামোর রূপটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত।
সামাজিক কাঠামোর প্রকৃতি
সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি হচ্ছে সামাজিক মিথস্ক্রিয়া। কম-বেশি স্থায়ী সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার
ফলে সামাজিক গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়Ñ যেমন, প্রতিবেশীবর্গ, খেলার সঙ্গী, ফুটবল টীম। সৃষ্টি হয়
প্রতিষ্ঠানেরÑ পরিবার, বিদ্যালয়, ধর্ম, রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র প্রভৃতির। গোষ্ঠী অথবা
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থাকে ব্যক্তির বিভিন্ন অবস্থান ংঃধঃঁং এবং ভ‚মিকা ৎড়ষব।
অবস্থান ঝঃধঃঁং
ইট দিয়ে যেমন বাড়ি তৈরি করা হয় তেমনি অবস্থান দিয়ে সামাজিক কাঠামো গড়ে ওঠে।
অবস্থান দু'রকমের - অর্পিত অংপৎরনবফ ও অর্জিত অপযরবাবফ। অর্পিত অবস্থান জৈবিকভাবে বা
জন্মসূত্রে ব্যক্তির উপর আরোপিত হয় এবং ব্যক্তির পক্ষে তা বদল করা সম্ভব নয়। নারী, পুরুষ,
তরুণ, বৃদ্ধ, ব্রাহ্মণ, হরিজন প্রভৃতি আরোপিত অবস্থানের উদাহরণ। অর্জিত অবস্থান হচ্ছে যা

কোন ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা এবং দক্ষতার মাধ্যমে অর্জন করে। এর উদাহরণ হচ্ছে কলেজের
অধ্যক্ষ, হাইকোর্টের বিচারপতি প্রভৃতি।
ভ‚মিকা জড়ষব
অবস্থানের সাথে সামাজিকভাবে চিহ্নিত যে সমস্ত অধিকার এবং দায়িত্ব যুক্ত থাকে তাকে
ভ‚মিকা বলা হয়। সমাজে ব্যক্তির প্রায় সব কাজই ভ‚মিকার পরিসরে ঘটে থাকে। একই ব্যক্তির
অজস্র অবস্থান ও ভ‚মিকা থাকে।
সামাজিক প্রতিষ্ঠান ঝড়পরধষ ওহংঃরঃঁঃরড়হ
সমাজে মানুষের অধিকাংশ কাজ পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এগুলোকে আমরা প্রতিষ্ঠান বলে থাকি।
মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী নীল স্মেলসারের মতে “কিছু সামাজিক প্রয়োজন পূরণের জন্য তৈরি
ভ‚মিকা ও অবস্থানের গুচ্ছ হচ্ছে প্রতিষ্ঠান।”
"অহ রহংঃরঃঁঃরড়হ রং ধ পষঁংঃবৎ ড়ভ ৎড়ষবং ধহফ ংঃধঃঁংবং ফবংরমহবফ ঃড় সববঃ ধ পবৎঃধরহ ংড়পরধষ হববফ."
সারাংশ
সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হিসাবে সামাজিক কাঠামো মানুষের সাথে
মানুষের জটিল সম্পর্কের জাল ও সমাজের বিভিন্ন অংশের বিন্যাসকে নির্দেশ করে।
নৃবিজ্ঞানী র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন ক্রিয়াবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের অংশগুলোর মধ্যে
বিরাজমান সম্পর্ককে সামাজিক কাঠামো অভিহিত করেছেন। সমাজ ব্যবস্থার অংশগুলোর
মধ্যে পুন:সংঘটনশীল ও ছক-বাঁধা সম্পর্ককে জেমস ডবিøউ ভি. জ্যানডেন সামাজিক
কাঠামো বলে চিহ্নিত করেছেন।
সামাজিক কাঠামোর ভিত্তি সামাজিক মিথস্ক্রিয়া যা সামাজিক গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি
করে যেখানে থাকে ব্যক্তির বিভিন্ন অবস্থান ও ভ‚মিকা। সাম্প্রতিক সমাজবিজ্ঞানে গোষ্ঠী,
প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থান ও ভ‚মিকার সমন¦য়ে গঠিত সামাজিক কাঠামোর ধারণাটি
ব্যাপকভাবে প্রচলিত।

পাঠোত্তর মূল্যায়ন
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন
সঠিক উত্তরের পাশে টিক (√) চিহ্ন দিন
১. ‘সামাজিক কাঠামো' প্রত্যয়টি সর্বপ্রথম কে ব্যবহার করেন?
ক. কার্ল মার্কস্ খ. হাবার্ট স্পেনসর
গ. দ্য তকভিল ঘ. র‌্যাডক্লিফ-ব্রাউন
২. মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী হ্যারী এম. জনসনের মতে সামাজিক কাঠামোর স্তর কয়টি?
ক. ২টি খ. ৪টি
গ. ৬টি ঘ. ৮টি
৩. অবস্থানের সাথে সামাজিকভাবে যে সমস্ত অধিকার এবং দায়িত্ব যুক্ত থাকে, তাকে কি
বলে?
ক. মূল্যবোধ খ. অবস্থান
গ. ভ‚মিকা ঘ. কোনটিই নয়
৪. “কিছু সামাজিক প্রয়োজন পূরণের জন্য তৈরি ভ‚মিকা ও অবস্থানের গুচ্ছ হচ্ছে
প্রতিষ্ঠান।”Ñ এটি কার উক্তি?
ক. নীল স্মেলসার খ. হাবার্ট স্পেনসর
গ. রবার্ট মার্টন ঘ. ট্যালকট পার্সনস্
৫. “সামাজিক কাঠামো বলতে বোঝায় বিশেষ এবং পরস্পর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর কম
বেশি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বিন্যাস”Ñ এটি কাদের মতামত?
ক. র‌্যাডক্লিফ ব্রাউন ও রেমন্ড ফার্থ
খ. হাবার্ট স্পেনসর ও সাম্প্রতিক সমাজবিজ্ঞানীদের
গ. কার্ল মার্কস্ ও ম্যাক্স ভেবার
ঘ. উপরের সবগুলো
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১. সামাজিক কাঠামোর মৌল উপাদানগুলো কি কি ?
২. সমকালীন সংজ্ঞানুযায়ী সামাজিক কাঠামো কি ?
রচনামূলক প্রশ্ন
১. সামাজিক কাঠামো কি? সমাজবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হিসাবে সামাজিক কাঠামোর
প্রকৃতি ও ভ‚মিকা আলোচনা করুন।
২. সামাজিক কাঠামোর সংজ্ঞা ও প্রকৃতির বিশদ আলোচনা করুন।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]