‘রোটাসগড় গিরিগাত্র' কী?

৬.০১. কীসের ভেদে মানুষের ইতিহাস চর্চার প্রেক্ষাপট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে?
উত্তর : স্থানকালপাত্রভেদে মানুষের ইতিহাস চর্চার প্রেক্ষাপট বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে ।
৬:০২. কখন বিভিন্ন মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে ব্যাপকভাবে ইতিহাস রচনার যাত্রা শুরু হয়েছিল?
উত্তর : রেনেসাঁ পরবর্তীকালে আধুনিক যুগের সূচনালগ্নে বিভিন্ন মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে ব্যাপকভাবে ইতিহাস রচনার যাত্রা শুরু হয়েছিল ।
৬.০৩. কার্ল মার্কস কোন ধারার ভিত্তিতে ইতিহাস রচনার জন্য চেষ্টা করেন?
উত্তর : কার্ল মার্কস পুঁজিবাদী ধ্যানধারণার ভিত্তিতে ইতিহাস রচনার চেষ্টা করেন ।
৬.০৪. প্রাচীন চীনে কী কারণে ইতিহাস চর্চার প্রেরণা তৈরি হয়?
উত্তর : প্রাচীন চীনে পূর্ব পুরুষদের পূজা বা ঐতিহ্য অনুসন্ধান থেকে ইতিহাস চর্চার প্রেরণা তৈরি হয় ।
৬.০৫. তথ্য কী?
উত্তর : ইতিহাস রচনা করার জন্য কোনো ঐতিহাসিক যে সহায়ক নিয়ামক পেয়ে থাকেন তাকে তথ্য বলে । ৬.০৬. তথ্যকে ইতিহাসের কী বলে গণ্য করা হয়?
উত্তর : তথ্যকে ইতিহাসের কাঁচামাল হিসেবে গণ্য করা হয় ।
৬.০৭. কী ছাড়া কোনো ঐতিহাসিকের পক্ষে সঠিক ইতিহাস রচনা করা অসম্ভব?
উত্তর : কার্যত তথ্য ছাড়া কোনো ঐতিহাসিকের পক্ষে সঠিক ইতিহাস রচনা করা অসম্ভব ।
৬.০৮. ইতিহাসের তথ্য বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : ইতিহাসের তথ্য বলতে ঐতিহাসিক যে উপাদান ও উপকরণের সাহায্যে ইতিহাস রচনা করেন তাকে বুঝায় ।
৬.০৯. ইতিহাস কীসের ভিত্তিতে এগিয়ে যায়?
উত্তর : ইতিহাস তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এগিয়ে যায় ।
৬.১০. উৎস বলতে কী বুঝ ?
উত্তর : সাধারণত উৎস বলতে বুঝায় উৎপত্তিস্থল, সূচনাস্থল, যেখানে বা যাতে ইতিহাসের তথ্য বা উপাদান নিহিত আছে।
৬.১১. ইতিহাসের উৎস কী?
উত্তর : ঐতিহাসিক যেখান থেকে বা যে বস্তু থেকে ইতিহাস রচনার উপকরণ পেয়ে থাকেন তাকে ইতিহাসের উৎস বলে ।
. ৬.১২. ‘রোটাসগড় গিরিগাত্র' কী?
উত্তর : ‘রোটাসগড় গিরিগাত্র' হলো প্রাচীন বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম শাসক শশাঙ্ক সম্পর্কে জানার উৎস। ৬.১৩. ইতিহাসের উৎসগুলোকে কয় ভাগে বিভক্ত করা যায় ও কী কী?
অথবা, ইতিহাসের উৎস কত প্রকার?
উত্তর : ইতিহাসের উৎসগুলোকে দুই ভাগে বিভক্ত করা যায় । যথা : i. অলিখিত ও ii. লিখিত ।
৬.১৪. ইতিহাসের অলিখিত উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর : ইতিহাসের অলিখিত উপাদানগুলো হলো জীবাশ্ম, হাড়গোড়, অস্ত্রশস্ত্র, আসবাবপত্র, শিলালিপি, রূপকথা, নকশা, মানচিত্র প্রভৃতি ।
৬.১৫. ইতিহাসের লিখিত উপাদানগুলো কী কী?
উত্তর : ইতিহাসের লিখিত উপাদানের অন্তর্ভুক্ত হলো প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, চুক্তিপত্র, বিদেশিদের বর্ণনা, গ্রন্থ, জার্নাল, ম্যাগাজিন, খবরের কাগজ প্রভৃতি ।
৬.১৬. ইতিহাসের প্রাথমিক উৎস বলতে কী বুঝ ?
উত্তর : ইতিহাসের প্রাথমিক উৎস বলতে বুঝায় কোনো যুগের মুদ্রা, রাস্তাঘাট, দালানকোঠা, সরকারি নির্দেশপত্র, আইনকানুন বা শাসনতন্ত্র সংবলিত মূলগ্রন্থ, চুক্তিপত্র, কোনো ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীর সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা, ছবি, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র ইত্যাদি ।
৬.১৭. ইতিহাসের দ্বৈতয়িক উৎস কী?
উত্তর : ইতিহাসের দ্বৈতয়িক উৎস হলো প্রত্যক্ষদর্শী নন এমন কোনো লোকের দ্বারা কোনো ঘটনার বর্ণনা অর্থাৎ একজনের তৈরি বিবরণে অন্যজনের বর্ণনা ।
৬.১৮. ইতিহাস লিখনের প্রাথমিক উৎসকে কী বলা হয়?
উত্তর : ইতিহাস লিখনের প্রাথমিক উৎসকে মৌলিক বা প্রত্যক্ষ উপাদান বলা হয় ।
৬.১৯. ইতিহাস লিখনের দ্বৈতয়িক উৎসকে কী বলা হয়?
উত্তর : ইতিহাস লিখনের দ্বৈতয়িক উৎসকে গৌণ বা পরোক্ষ উপাদান বলা হয়।
৬.২০. প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান কী?
উত্তর : যেসব বস্তু বা উপাদান থেকে আমরা বিশেষ সময়, স্থান বা ব্যক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহাসিক তথ্য পাই সে বস্তু বা উপাদানই হলো প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান ।
৬.২১. প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন কোনটি?
উত্তর : প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন হলো জীবাশ্ম ।
৬.২২. জীবাশ্ম কী?
উত্তর : হাজার হাজার বছর মাটির নিচে পড়ে থাকা মানুষ, অন্য কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদের অংশবিশেষকে জীবাশ্ম বলা হয় ।
৬.২৩. শিলালিপি কী?
উত্তর : শিলালিপি হলো সাধারণত কোনো স্থাপনার গায়ে নির্মাণের স্মারক হিসেবে পাথরের ওপর খোদাই করা লিপি। ৬.২৪. তাম্রশাসন কী?
উত্তর : তামার পাতে খোদাই করা লিপিগুলোকে তাম্রশাসন বলা হয় ।
৬.২৫. তাম্রশাসনে কী তথ্য পাওয়া যায়?
উত্তর : তাম্রশাসনে সাধারণত রাজাজ্ঞা, ভূমিদান পত্র বা জমি আদান-প্রদানের তথ্য পাওয়া যায় ।
৬.২৬. মুদ্রা কী?
উত্তর : মুদ্রা বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ধরনের ধাতব খণ্ডকে বুঝায়, যা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয় ।
৬.২৭. মানবসভ্যতায় মুদ্রার ব্যবহার কখন শুরু হয়?
উত্তর : মানবসভ্যতায় মুদ্রার ব্যবহার এশিয়া মাইনরে খ্রিস্টপূর্ব ছয় শতকের দিকে শুরু হয় ।
৬.২৮. ভারতবর্ষে কখন মুদ্রার প্রচলন হয়?
উত্তর : ভারতবর্ষে বৈদিক যুগে নিষ্ক নামক মুদ্রার প্রচলন হয়।
৬.২৯. বাংলাদেশের কোথায় ছাপাঙ্কিত মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থান থেকে ছাপাঙ্কিত মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে ।
৬.৩০. মুদ্রা ইতিহাসের কী তথ্য প্রদান করে ?
উত্তর : মুদ্রা শাসকদের ধারাবাহিক অবস্থান, সময়কাল, রাজার নাম, রাজার উপাধি, রাজার মর্যাদা, রাজ্যসীমা,
9
অর্থনীতি, শিল্পকলা, লিপির প্রকৃতি, ধর্মবিশ্বাস, সামাজিক প্রেক্ষাপট প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ।
৬.৩১. সুলতানি আমলে বাংলায় কতটি টাঁকশাল নগরীর কথা জানা যায়?
উত্তর : সুলতানি আমলে বাংলায় ২২টি টাকশাল নগরীর কথা জানা যায় ।
৬.৩২. হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম হলো বেদ ।
৬.৩৩. বেদ কারা রচনা করেন?
উত্তর : বেদ আর্য ঋষিগণ রচনা করেন ।
৬.৩৪. বেদ থেকে কী জানা যায়?
উত্তর : বেদ হতে আর্যদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক সম্পর্কে জানা যায় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]