উত্তর ভূমিকা : ঘটনার আকস্মিকতা বা দৈব ঘটনা তত্ত্ব ইতিহাসের কার্যকারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ মতানুসারে ইতিহাসের বিষয় ও ঘটনাসমূহ হঠাৎ করে বা অলৌকিকভাবে ঘটে থাকে। ইতিহাস মূলত দৈব প্রক্রিয়া ও অচিন্তনীয় কর্মের বহিঃপ্রকাশ। এখানে যথাযথ দৃশ্যমান ও লৌকিক কর্মের কারণ ও ফলাফল দৃশ্যমান হয় না। লৌকিক মতবাদ অনুসারে সব ঐতিহাসিক ঘটনা দৈব প্রক্রিয়ার প্রভাবে আকস্মিকভাবে ঘটে থাকে। বিশেষ করে প্রতিটি ঘটনার পিছনে যে কারণ বিদ্যমান অথবা কারণকে প্রভাবিত করার জন্য অন্য যে কারণ আছে তার ওপর দৈব প্রভাব আকস্মিকভাবে কাজ করে থাকে ।
দৈব ঘটনা তত্ত্ব : ইতিহাসের আকস্মিকতা তথ্য মোতাবেক কিছু ঘটনা দৈবক্রমে ঘটে থাকে। এ ঘটনার বিশেষ ধরনের যুগপৎ ফলাফল দৃশ্যমান যা ইতিহাসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক দর্শনের আকস্মিকতা তত্ত্বকে এত বেশি গুরুত্বের সাথে বিচার করেছেন যে তারা মনে করেন, ইতিহাস শুধুমাত্র আকস্মিক ঘটনার সমষ্টি। এক্ষেত্রে ঘটনাগুলোর কারণ হিসেবে একমাত্র প্রেক্ষিতের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এ রীতি অনুযায়ী ঐতিহাসিক সাধারণত যেসব বিশেষ কারণের কথা ভাবেন ঠিক তার ওপর গুরুত্ব প্রদান না করে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিচারবিশ্লেষণ করেন। এদিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে আকস্মিকতা তত্ত্ব এক ধরনের সাধারণীকরণ নির্ভর তত্ত্ব। এখানে ঘটনাপ্রবাহ দৈবক্রমে একই সাথে ঘটে থাকে এবং ঘটনার কারণ হিসেবে একমাত্র অনুমতি পূর্ব প্রেক্ষিতের ওপর জোর দেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে একটিয়াম যুদ্ধের ফলাফল ঐতিহাসিক বর্ণিত কারণের প্রতি গুরুত্বারোপ না করে ক্লিওপেট্রার প্রতি এন্টনিওর মোহাচ্ছন্নতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুরূপভাবে ১৯২৩ সালে জিনোজিয়েভ, কামেনেভ এবং স্ট্যালিনের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ট্রটস্কির পরাজয়কে হেমন্তকালে হাঁস শিকার ও তার ফলে অসুস্থতার সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঐতিহাসিকের পক্ষে বিপ্লব বা যুদ্ধ সম্পর্কে আগাম বলা সম্ভব। কিন্তু হেমন্তকালের বন্য হাঁস শিকারে গিয়ে ট্রটস্কির অসুস্থ হয়ে পড়ার ফল কী হতে পারে তা মূল্যায়ন করা মোটেই সম্ভব নয় । নিমিত্তবাদের সাথে এর কোনো সংযোগ নেই। ক্লিওপেট্রার জন্য এন্টোনিওর মোহাচ্ছন্নতা বা ট্রটস্কির ঠাণ্ডাজনিত জ্বর অতি সাধারণভাবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আছে। এর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করার প্রকৃত কোনো অর্থ হয় না। রমনীয় সৌন্দর্য ও রমনীর মোহাচ্ছন্নতা প্রাত্যহিক জীবনের সাধারণ ঘটনা মনে করা হয়। তবু বিশ্লেষণ খাতিরে অনেকের নিকট ঘটনার আকস্মিক ব্যাপারগুলোই বেশি প্রাধান্য বিস্তার করে। যেসব ব্যক্তি দৈবক্রম বা আকস্মিকতাকে ইতিহাস বিশ্লেষণে বেশি গুরুত্ব দেয় তারা অনেকটা পরীক্ষায় খারাপ ফল পাওয়া ছাত্রের মতো। যারা ফেল করে বা তৃতীয় বিভাগে পাস করে তাদের নিকট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করা অনেকটা দৈবাধীন ব্যাপার
• ইতিহাসের দৈব ঘটনা তত্ত্ব : দৈব ঘটনা তত্ত্বের মতে ইতিহাস মূলত দৈব প্ৰক্ৰিয়া বা অচিন্তনীয় কর্মের বহিঃপ্রকাশ। তবে আপাতদৃষ্টিতে যে পরিবর্তনকে হঠাৎ পরিবর্তন বলে মনে করি তা যথাযথভাবে অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে এ পরিবর্তন মোটেও হঠাৎ সংঘটিত হয়নি । অতি স্বাভাবিক ও যথারীতি ধীর প্রক্রিয়াগত কারণেই এ পরিবর্তন হয়েছে। ধরে নেওয়া যাক ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে পলাশিতে সামান্য যুদ্ধেই সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন এবং ফলে এদেশের কর্তৃত্ব কার্যত ইংরেজদের হাতে চলে যায়। আপাতদৃষ্টিতে এ পরাজয় আকস্মিক মনে হলেও সত্যিকার অর্থে সিরাউদ্দৌলার পরাজয় মোটেই আকস্মিক বা দৈবতাত্ত্বিক ছিল না। আরও বলতে পারি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন পলাশির প্রান্তরে যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ব্রিটিশরা নবাবের নিকটাত্মীয়দেরকে তাদের পক্ষে টেনে মানসিকভাবে নবাবকে পরাজিত করেন। সে মানসিক যুদ্ধে জগৎশেঠ, উমিচাঁদ, ইয়ার লতিফ, রবার্ট ক্লাইভ, মিরজাফর প্রমুখ কুচক্রীরা নবাবের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে। এভাবে যথাযথ গবেষণা করলে বুঝা যাবে পলাশির প্রান্তরে সম্মুখ যুদ্ধে অনেক পূর্বেই সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র চলতে থাকে এবং ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন সে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে মাত্র ।
হেরোডোটাস, মন্টেস্কু, ভলতেয়ার প্রমুখ দার্শনিকগণ ইতিহাসের আলোচনায় অলৌকিকতার বা ঘটনার সমালোচনা করেছেন। তারা বলেন যারা ইতিহাসের আলোচনায় ঘটনার দৈবক্রমকে গুরুত্ব দেয় তারা নীচ শ্রেণির বুদ্ধিজীবী। তারা ইতিহাসের কার্যকারণকে অস্বীকার করেন। যেহেতু ইতিহাসের কার্যকারণকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই তাই ইতিহাসের আলোচনায় ঘটনার দৈবক্রমও গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্নই আসে না
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, ইতিহাসের যেকোনো ঘটনার পিছনেই একটি বা কয়েকটি উপলক্ষগত কারণ বিদ্যমান থাকে। যা অনেক সময় দৈবক্রমেও ঘটতে পারে। দৈবক্রমে ঘটা কারণসমূহের ব্যাখ্যা যে শুধুই অলৌকিক হবে এমন কোনো কথা নেই। আবার অতিপ্রাকৃত বলে কিছু জিনিসে মানুষের বিশ্বাস মানুষকে এ দৈবক্রমের প্রতিও আগ্রহী করে তুলেছে। তাই বলা যায়, ইতিহাসের ঘটনার ব্যাখ্যায় দৈবক্রম বা নিমিত্তবাদ যেটিই হোক তার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ইতিহাসে যথার্থভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে এটাই আমাদের একমাত্র কাম্য ।
প্রশ্ন ৮.০৫ | দৈব ঘটনা তত্ত্ব কী? ইতিহাসে কার্যকারণ ব্যাখ্যায় এর প্রভাব মূল্যায়ন কর ৷
উত্তর ভূমিকা : ইতিহাসকে মানবজীবনের ঘটনা বা ঘটনাসমূহের সমষ্টি বলা হয়। ইতিহাসের এ ঘটনা তত্ত্বকে অনেক ঐতিহাসিক, দার্শনিক দৈবক্রমের ওপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মূলত ইতিহাস দৈবপ্রক্রিয়া ও অচিন্তনীয় কর্মের বহিঃপ্রকাশ । এখানে যথাযথ দৃশ্যমান ও লৌকিক কর্মের কারণ ও ফলাফল দৃশ্যমান হয় না। দৈব ঘটনা তত্ত্বানুসারে ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ নির্ধারিত হয়েছে শুধু আকস্মিক ঘটনাসমূহ দিয়ে এবং ইতিহাস শুধু আকস্মিক কিছু কারণের ফলমাত্র ।
দৈব ঘটনা তত্ত্ব : ইতিহাসের আকস্মিকতা তথ্য মোতাবেক কিছু ঘটনা দৈবক্রমে ঘটে থাকে। এ ঘটনার বিশেষ ধরনের যুগপৎ ফলাফল দৃশ্যমান যা ইতিহাসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কোনো কোনো ঐতিহাসিক দর্শনের আকস্মিকতা তত্ত্বকে এত বেশি গুরুত্বের সাথে বিচার করেছেন যে তারা মনে করেন ইতিহাস শুধুমাত্র আকস্মিক ঘটনার সমষ্টি। এক্ষেত্রে ঘটনাগুলোর কারণ হিসেবে একমাত্র প্রেক্ষিতের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। এ রীতি অনুযায়ী ঐতিহাসিক সাধারণত যেসব বিশেষ কারণের কথা ভাবেন ঠিক তার ওপর গুরুত্ব প্রদান না করে একটি ঘটনাকে কেন্দ্রে রেখে বিচারবিশ্লেষণ করেন । এদিক থেকে বিবেচনা করতে গেলে আকস্মিকতা তত্ত্ব এক ধরনের সাধারণীকরণ নির্ভর তত্ত্ব। এখানে ঘটনাপ্রবাহ দৈবক্রমে একই সাথে ঘটে থাকে এবং ঘটনার কারণ হিসেবে একমাত্র অনুমতি পূর্ব প্রেক্ষিতের ওপর জোর দেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে একটিয়াম যুদ্ধের ফলাফল ঐতিহাসিক বর্ণিত কারণের প্রতি গুরুত্বারোপ না করে ক্লিওপেট্রার প্রতি এন্টনিওর মোহাচ্ছন্নতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অনুরূপভাবে ১৯২৩ সালে জিনোজিয়েভ, কামেনেভ এবং স্ট্যালিনের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ট্রটস্কির পরাজয়কে হেমন্তকালে হাঁস শিকার ও তার ফলে অসুস্থতার সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঐতিহাসিকের পক্ষে বিপ্লব বা যুদ্ধ সম্পর্কে আগাম বলা সম্ভব। কিন্তু হেমন্তকালের বন্য হাঁস শিকারে গিয়ে ট্রটস্কির অসুস্থ হয়ে পড়ার ফল কী হতে পারে তা মূল্যায়ন করা মোটেই সম্ভব নয়। নিমিত্তবাদের সাথে এর কোনো সংযোগ নেই। ক্লিওপেট্রার জন্য এন্টনিওর মোহাচ্ছন্নতা বা ট্রটস্কির ঠাণ্ডাজনিত জ্বর অতি সাধারণভাবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট আছে। এর ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করার প্রকৃত কোনো অর্থ হয় না। রমণীয় সৌন্দর্য ও রমণীর মোহাচ্ছন্নতা প্রাত্যহিক জীবনের সাধারণ ঘটনা মনে করা হয়। তবু বিশ্লেষণের খাতিরে অনেকের নিকট ঘটনার আকস্মিক ব্যাপারগুলোই বেশি প্রাধান্য বিস্তার করে। যেসব ব্যক্তি দৈবক্রম বা আকস্মিকতাকে ইতিহাস বিশ্লেষণে বেশি গুরুত্ব দেয় তারা অনেকটা পরীক্ষায় খারাপ ফল পাওয়া ছাত্রের মতো। যারা ফেল করে বা তৃতীয় বিভাগে পাস করে তাদের নিকট পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভ করা অনেকটা দৈবাধীন ব্যাপার ।
" ইতিহাসের কার্যকারণ ব্যাখ্যায় দৈব ঘটনা তত্ত্বের প্রভাব : কোনো ঘটনার আকস্মিকতা ইতিহাস প্রক্রিয়াকে ঠিক কতটুকু প্রভাবিত করে তা একটু খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যদি ক্লিওপেট্রার সৌন্দর্যে এন্টনিওর মুগ্ধতা, লেলিনের অকাল মৃত্যু বা ট্রটস্কির পরাজয়কে ইতিহাসের আকস্মিক কোনো কারণ বলে চিহ্নিত করি তবে এটাও বলতে হবে এ ঘটনাসমূহ ঠিক যে কারণেই ঘটুক না কেন, তা ইতিহাসের গতিধারাকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত করেছিল একথা সত্য। ইতিহাসের এরূপ গতিধারার পরিবর্তন দৈব ঘটনা তত্ত্ব মতে, কার্যকারণ তত্ত্বের দ্বারা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয় ।
.
আবার যেহেতু ঘটনাগুলো আকস্মিক ব্যাপার, তাই তারা ইতিহাসের যৌক্তিক বিশ্লেষণে বা তাৎপর্য মোতাবেক ঐতিহাসিকের সাজানো কারণগুলোর মধ্যে স্থান পায় না। ঐতিহাসিকের জন্য বৈজ্ঞানিক জগতের মতো প্রকৃত পৃথিবীর আলোকচিত্র তুল্য প্রতিলিপি নয়; বরং এটিকে কাজে লাগানোর মতো একটি প্রক্রিয়া বলা যায়, যার মাধ্যমে ঐতিহাসিক মোটামুটি কার্যকরভাবে একে বুঝতে ও রপ্ত করতে পারে। ঐতিহাসিক অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ছেঁকে ঘটনা সম্পর্কিত সঠিক সিদ্ধান্ত বের করেন অথবা নাগালের মধ্যকার বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের আওতাধীন অতীত অভিজ্ঞতাকে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কাজে লাগান। এটি কার্যকারণ উদ্ঘাটনের নির্দেশক বলেও কাজে আসতে পারে। সত্যিকারভাবে কী ঘটে, কখন ঘটে, কেন ঘটে, তা নিরূপণের জন্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্যাবলি একত্রিত করা হয়। তারপর গবেষণাধীন প্রতিপাদ্যের অনুকূলে ও প্রতিকূলে তথ্যাদির গ্রহণ বর্জন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যৌক্তিক ও বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জ্ঞানের কাঠামো তৈরি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় আত্মবাদী ধারার বাড়াবাড়ির যথেষ্ট বিপদ থাকলেও ঐতিহাসিক সাধারণত এভাবেই কাজ করে থাকেন। সর্বোপরি ইতিহাস গবেষক প্রকৃত অর্থে নির্ভুল ও সত্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করে থাকেন ।
এক্ষেত্রে আকস্মিক ঘটনা বলে যদি কিছু থাকে তাহলে ঘটনার অনেকটা ব্যতিক্রম ঘটায়। অর্থাৎ ইতিহাসবিদের অনুসন্ধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে এটি সাংঘর্ষিক রূপ নেয়। এ সাংঘর্ষিক অবস্থানকে ইতিহাসের সাধারণতত্ত্ব ও কার্যকারণ তথা নিমিত্তবাদী দর্শনের আলোকে ব্যাখ্যা করা যায় না। এক্ষেত্রে ইতিহাসবিদ বার্নার্ড বেরোনসন আকস্মিকতা মতবাদকে অনেক জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন !
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে রলা যায় যে, দৈব ঘটনা তত্ত্ব বর্তমান ইতিহাসের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্বৈত ঘটনা তত্ত্ব বা আকস্মিক তত্ত্ব ইতিহাসে কার্যকারণ নির্ণয়ে ভূমিকা রাখলেও তা সব সময় বস্তুনিষ্ঠ নাও হতে পারে। তবে দৈব ঘটনা তত্ত্ব ইতিহাসের কার্যকারণ তত্ত্বকে খুব একটা আমলে না নিয়ে ঘটনার আকস্মিক প্ৰেক্ষিতকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের দ্বারা বিষয়টি সমর্থিত হওয়ার ইতিহাসেও তা গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত