উত্তর ভূমিকা : সর্বপ্রথম যিনি বিজ্ঞানভিত্তিক ও মানবীয় গুণাবলির সমন্বয়ে ইতিহাস চর্চার সূচনা করেন, তিনি হলেন ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস । তিনি ইতিহাসকর্মে সফলভাবে 'Historia' শব্দটির সার্থক ব্যবহার করেন । সর্বপ্রথম তিনিই একটি ব্যাপক ও নিয়মানুগ গ্রন্থ রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন। যখন কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখেন বা আবিষ্কার করতে সক্ষম হন তখন ঐ ব্যক্তিকে তার অবদানের জন্য তাকে ঐ বিষয়ের জনক বলা হয় । এক্ষেত্রে হেরোডোটাসও ব্যতিক্রম ছিলেন না।
● হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলার কারণ : নিম্নে হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক বলার কারণগুলো আলোচনা
করা হলো :
১. ইতিহাসের সর্বপ্রথম অবতারণা : হেরোডোটাস ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত ভ্রমণপ্রিয় ছিলেন। তার জীবদ্দশায় পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেন। তার এ ভ্রমণলব্ধ অভিজ্ঞতাকে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করেন। তার সংকলিত গ্রন্থের নাম ‘ইতিবৃত্ত’। গ্রিক-পারসিক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘ইতিবৃত্ত' গ্রন্থ রচনা করেন। তিনি সর্বপ্রথম 'Historia' শব্দটি ব্যবহার করেন। 'Historia' শব্দটির অর্থ হচ্ছে সত্যনুসন্ধান বা গবেষণা। মানুষের অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা বোঝানোর জন্য 'Historia' শব্দটির যথার্থ ও সার্থকভাবে ব্যবহার করার জন্যই তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ।
২. লিখিত ইতিহাস সূচনাকারী : একজন আদর্শ ঐতিহাসিকের কর্তব্য হলো তথ্যের যাচাইবাছাই করে প্রামাণ্য রূপে ইতিহাস রচনা করা। তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে প্রাপ্ত তথ্যের বস্তুনিষ্ঠ যাচাইবাছাই করে ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ইতিহাস রচনার সূচনা করেন। এ কারণে তাকে তথ্যনির্ভর ঐতিহাসিকও বলা হয়। সুতরাং এ দিক থেকে বিশ্লেষণ করলে তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ৷
৩. সর্বজনীন ও নিরপেক্ষতার জন্য : ইতিহাসকর্ম সর্বজনীন ও নিরপেক্ষ না হলে তা গ্রহণযোগ্যতা হারায় । তিনি নিজে গ্রিক জাতি হয়েও গ্রিক-পারসিক যুদ্ধে পারসিকদের বীরত্বগাথা তুলে ধরে নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হন। তিনিই প্রথম সর্বজনীন ও নিরপেক্ষ ইতিহাস লেখা শুরু করেন । এদিক থেকেও তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ।
৪. সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে সচেতনতা : হেরোডোটাস শুধু নিয়মতান্ত্রিকভাবে নয় বরং ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতার ওপরও গুরুত্ব দেন। অতএব সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে সচেতনতা তাকে ইতিহাসের জনকের মর্যাদা দানে ভূমিকা রেখেছে ।
৫. ইতিহাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা : ইতিহাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। হেরোডোটাস তার ইতিহাসকর্ম অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ধারাবাহিকভাবে বিষয়বস্তু লিপিবদ্ধ করেন। বিখ্যাত ঐতিহাসিক J.B. Bury ‘ইতিবৃত্তকে’ তিনটি অংশে বিভক্ত করেন এবং প্রতিটি অংশকে তিনটি করে মোট নয়টি অংশে বিভক্ত করেন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, হেরোডোটাস ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ইতিহাস রচনা করেন। এ দিক থেকে মূল্যায়ন করলেও তাকে ইতিহাসের জনক বলা যায় ৷
৬. ঘটনার কার্যকারণ হিসেবে : কারণ ব্যতীত কোনো ঘটনা সংঘটিত হয় না। প্রতিটি ঘটনা সংঘটনের পশ্চাতে কোনো না কোনো কারণ অবশ্যই থাকে। তার মতে, প্রতিটি ঘটনা সংঘটনের পশ্চাতে কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অতএব কার্যকারণের দিক থেকে হেরোডোটাসকে মূল্যায়ন করলেও তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় ৷
৭. গদ্যরীতির প্রবর্তক : হেরোডোটাসের পূর্বে পদ্যরীতিতে ইতিহাস লেখার প্রচলন ছিল। কিন্তু তিনি পদ্যরীতির পরিবর্তে প্রথম গদ্যরীতিতে ইতিহাস লেখার সূচনা করেন। তিনি মানুষের অতীত কর্মকাণ্ডকে Resgestae বলে আখ্যায়িত করে সেগুলোকে গদ্যরীতিতে ‘ইতিবৃত্তে' লিপিবদ্ধ করেন। সুতরাং এদিক থেকেও তাকে ইতিহাসের জনক বলা যায় ।
৮. প্রকৃতির প্রভাব : হেরোডোটাসের সার্থক উপলব্ধি হচ্ছে মানবজীবন, সভ্যতা ও সংস্কৃতি প্রকৃতির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুর তারতম্যের জন্য একেক অঞ্চলে একেক ধরনের ইতিহাস, সংস্কৃতি লক্ষ করা যায় । তিনি মিসর ভ্রমণ করে মিশরকে নীলনদের দান বলে আখ্যায়িত করেন। সুতরাং ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলির মূল্যায়ন করার জন্য তাকে ইতিহাসের জনক বলা হয় । -
৯. ঐতিহাসিকের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে মত প্রদান : হেরোডোটাস একজন সফল ঐতিহাসিক ছিলেন। তিনি নিজ দায়িত্ব কর্তব্যে' সচেতন থেকে একজন ঐতিহাসিকের কর্তব্য কর্ম সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করেন। তার মতে, ঐতিহাসিকের কর্তব্য কর্ম হলো মানুষের অতীত কর্মকাণ্ড বিনির্মাণ করা । তিনি আরও বলেন, একজন ঐতিহাসিককে ঘটনার গভীরে প্রবেশ করে সঠিক তথ্য বের করে আনতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্লেষণ করলেও তাকে ইতিহাসের জনক বলে অভিহিত করা যায় ।
১০. লিখন পদ্ধতির ক্ষেত্রে : ইতিহাস লিখন পদ্ধতির দিক থেকে হেরোডোটাস সফলতার পরিচয় দেন। তিনি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তথ্যসংগ্রহ ও তথ্যের বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘ইতিবৃত্ত' গ্রন্থটি রচনা করেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্ৰমণ করেও তথ্যসংগ্রহ করেন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচানর পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, হেরোডোটাস ইতিহাস শাস্ত্রে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হন। তিনিই সর্বপ্রথম সার্থকভাবে মানুষের অতীত কর্মকাণ্ডকে ঐতিহ্য বলে আখ্যায়িত করে 'Historia' শব্দটি ব্যবহার করেন। 'Historia' শব্দটি সার্থক ব্যবহারের ফলে ইতিহাস একটি স্বতন্ত্র কাঠামো লাভ করে। এছাড়াও সময়ানুবর্তিতা, ঐতিহাসিকের কর্তব্য নির্ধারণ, গদ্যরীতি প্রবর্তক হিসেবে মূল্যায়ন করে তাকে ইতিহাসের জনক বললে অত্যুক্তি হবে না ।
হেরোডোটাসের ইতিহাস চর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর ।
উত্তর ভূমিকা : ইতিহাসে যার নাম সবার আগে উচ্চারিত হয়, তিনি হলেন ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস। তিনি সর্বপ্রথম তার গবেষণাকর্মে সফলভাবে 'Historia' শব্দটির সার্থক ব্যবহার করেন। তিনি মানবীয় গুণাবলির সমন্বয়ে একটি ব্যাপক ও নিয়মানুগ ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন। যার নাম The Histories' বা 'ইতিবৃত্ত'। এই গ্রন্থে গ্রিক-পরিসিক যুদ্ধের ধারাবাহিক বিবরণ থাকায় এই গ্রন্থটি গ্রিক-পারসিক যুদ্ধের ইতিহাস নামেও খ্যাত। তার দীর্ঘ জীবনের ইতিহাসকর্মে সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায় ।
হেরোডোটাসের ইতিহাস চর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্য : নিম্নে হেরোডোটাসের ইতিহাস চর্চার প্রধান বৈশিষ্টাবলি বর্ণনা করা হলো : ১. ইতিহাসের গুরুত্ব উপলব্ধি : সর্বপ্রথম যিনি ইতিহাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তিনি হলেন ইতিহাসের পথিকৃৎ হেরোডোটাস । তিনি যথার্থভাবে ইতিহাসের গুরুত্ব অনুভব করে বলেন, “যাতে উত্তরসূরীরা গ্রিক-পারসিক যুদ্ধের কথা ভুলে না যায় সে জন্য তা লিপিবদ্ধ করেন।” তিনি তার প্রজন্মকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাও বলেন । ২. ব্যাপক গবেষণা : হেরোডোটাস ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে গবেষণা ও ব্যাপক তথ্যানুসন্ধান করেন। তার গবেষণা ও অনুসন্ধানের ফলে তিনি গ্রিক-পারসিক যুদ্ধের সঠিক বিবরণ তুলে ধরতে সক্ষম হন ৷
৩. ইতিহাস বর্ণনার নতুন রীতি : হেরোডোটাস ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে ইতিহাস বর্ণনার নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করেন । তার সময়ের আগে পদ্যরীতিতে (কবিতার ছন্দে) ইতিহাস লেখা হতো। তিনি সার্থকভাবে তার রচনায় গদ্যরীতির প্রবর্তন করেন। তার ‘ইতিবৃত্তে' তিনটি ভাগ ও নয়টি উপভাগ রয়েছে, যা পরস্পর তিনটি ঘটনাকে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। এটাই তার প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে ।
৪. মানবীয় গুণাবলি : হেরোডোটাস সম্পূর্ণ মানবীয় গুণাবলির সমন্বয়ে ইতিহাস চর্চা শুরু করেন। তিনি ‘ইতিবৃত্তের’ মুখবন্ধে উল্লেখ করেন, ইতিহাস হচ্ছে মানুষের অতীতের কার্যাবলির বিবরণ ।
৫. সত্য প্রতিষ্ঠা করা : হেরোডোটাসের ইতিহাসকর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সত্য প্রতিষ্ঠা বা সত্যানুসন্ধান। তিনি দেশ বিদেশে ভ্রমণ ও গবেষণার মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করেন। তিনি তথ্যের যাচাইবাছাই করে প্রতিবেদন তৈরি করে ইতিহাস কর্মে ব্যবহার করেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি সত্যানুসন্ধানে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালান ।
৬. বিজ্ঞানসম্মত গ্রন্থ : হেরোডোটাস সর্বপ্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক ইতিহাস চর্চার সূত্রপাত করেন। তিনি তথ্যসংগ্রহের পর তথ্যের যাচাইবাছাই করেন । তারপর তা ব্যবহার উপযোগী করে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেন ।
৭. নিরপেক্ষতা বজায় রাখা : হেরোডোটাসের ‘ইতিবৃত্ত' একটি নিরপেক্ষ ইতিহাস গ্রন্থ। এখানে তিনি শুধু গ্রিকদের বীরত্ব গাথাই তুলে ধরেননি বরং পারসিকদের সততা ও বীরত্বের কথাও তুলে ধরেন। যা তার নিরপেক্ষতার পরিচয় বহন করে । ৮. সভ্যতা নির্ভরশীলতা : হেরোডোটাসের ইতিহাস অনেকটাই সভ্যতাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। তার ইতিহাস কৰ্মে গ্রিক-পারসিক যুদ্ধের বর্ণনা, হেলেনিক ও প্রাচ্যের সভ্যতার দ্বন্দ্বের বিবরণ, ভূমধ্যসাগর ও পশ্চিম এশিয়ার জাতিসমূহের বিবরণ পাওয়া যায়। এজন্য তার কর্মকে সভ্যতা নির্ভরশীল ইতিহাসকর্ম বলা হয়েছে।
৯. ইতিহাস জ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি : হেরোডোটাস সর্বপ্রথম ইতিহাস জ্ঞানের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সক্ষম হন। তার মতে, পরবর্তী প্রজন্ম যাতে গ্রিকদের বীরত্বের কথা ভুলে না যায় সেজন্য তিনি ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেন। ফলে পরবর্তীতে গ্রিকরা ঐক্যবদ্ধতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে অবহিত হয়ে উৎসাহিত হতে পারে। সেজন্য তিনি ইতিহাস রচনায় মনোনিবেশ করেন । ১০. ভৌগোলিক ইতিহাস চর্চা : হেরোডোটাস ভ্রমণপ্রিয় ছিলেন। তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে তথ্যসংগ্রহ করেন। তিনি মিসর ভ্রমণ করতে গিয়ে মিশরকে নীলনদের দান বলে অভিহিত করেন। তিনি মিসরের ইতিহাস অপেক্ষা নীলনদকেই বেশি গুরুত্ব দেন। সে কারণে তার ইতিহাসকর্মে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যই বেশি লক্ষ করা যায় ।
১১. দৈববাণীতে বিশ্বাসী : হেরোডোটাস যে সমাজের লোক ছিলেন, সে সমাজ বিভিন্ন দেবদেবীতে বিশ্বাসী ছিলেন। এমনকি তিনি বিশ্বাস করতেন যে, অলিম্পিয়াস পর্বতের দেবতাদের সন্তুষ্টি করার জন্য গ্রিকবাসী অলিম্পিক খেলার প্রচলন করেন। দেবতা এথেনার নামানুসারে তাদের বিখ্যাত শহরের নামকরণ করা হয় এথেন্স। তিনি নিজে এ সমাজের লোক হয়ে দৈববাণীকে উপেক্ষা করা সম্ভব ছিল না।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, হেরোডোটাসের ইতিহাস কর্মে চমৎকার বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। তার ইতিহাস চর্চায় সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ইতিহাস চর্চা করতে গিয়ে নানাভাবে সমালোচিত হন। কিন্তু তিনি সে সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে যতটুকু নিরপেক্ষতার পরিচয় দেন তা তাকে ঐতিহাসিকের মর্যাগ দান করেছে এবং তিনি ইতিহাসের জনক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন ।
FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত