ইতিহাসকে আত্মোপলব্ধির চাবিকাঠি বলা হয় কেন?

উত্তর ভূমিকা : নিজেকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ ইতিহাসের পাতা থেকেই আমরা আমাদের জাতীয় তথ্যাবলি সম্পর্কে অবগত হতে পারি। অতীতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি, সমাজসংস্কারক, জাতীয় বীর, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিদ্রোহ প্রভৃতি তাৎপর্যপূর্ণ দিক সম্পর্কে ইতিহাস আমাদেরকে আত্মোপলব্ধিতে অনুপ্রাণিত করে থাকে ।
ইতিহাসকে আত্মোপলব্ধির চাবিকাঠি বলার কারণ : ইতিহাসের আত্মোপলব্ধি সম্পর্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের উক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, "If you look longer back, you can look further ahead.” চার্চিলের এ বক্তব্য দ্বারা প্রমাণিত হয় যে ইতিহাস আত্মোপলব্ধির অন্যতম চাবিকাঠি। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে তার অতীত অভিজ্ঞতা বা
স্মৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সেটা তার আত্মপরিচয় বা আত্মসচেতনতার ভিত্তি। তাই অতীত কর্ম পর্যালোচনা ব্যতীত আত্মোপলব্ধি সম্ভব নয়। ইতিহাস অতীতের গৌরবদীপ্ত প্রপঞ্চকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে আমাদেরকে নব চেতনায় উদ্দীপিত করে। ইতিহাস আমাদেরকে অতীত ব্যর্থতা, সফলতা, অনুকূলতা, প্রতিকূলতা প্রভৃতি সম্পর্কে জানায় ৷ ফলে অতীতের আলোকে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারি ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জ্ঞানের অন্যান্য শাখার মতো ইতিহাসও আমাদেরকে মানবসমাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রদান করে। আর এজন্য ঐতিহাসিকগণ আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য বলেছেন। সঠিক আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে আমরা যদি ঐতিহাসিক জ্ঞানকে কাজে লাগাতে না পারি তবে আমাদের ব্যর্থতা অনিবার্য । ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তথ্য সঠিক আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করব।

ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর ।


উত্তর ভূমিকা : মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম । ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে এবং ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে । ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজ দেশ সম্পর্কে মঙ্গল অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব ।
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা : নিম্নে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলো :
১. ইতিহাস জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে : অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে । একই সাথে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করার মাধ্যমে মানুষকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলে ।
২. ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি করে : ইতিহাসের জ্ঞান মানুষকে সচতেন করে তোলে। বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থানপতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে ।
৩. বর্তমানকে উপলব্ধিতে সাহায্য করে : ইতিহাস অতীতের ঘটনা হলেও তা মৃত নয়; বরং জীবিত । ইতিহাস জীবিত অতীত হিসেবে বর্তমানের মধ্যে বেঁচে থাকে । তাই বর্তমানকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে হলে অতীতকে অবশ্যই জানতে হবে । ৪. দৃষ্টান্তের সাহায্যে শিক্ষা দেয় ইতিহাস : ইতিহাসের ব্যবহারিক গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে । ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে শিক্ষণীয় দর্শন বলা হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সত্যনিষ্ঠ ইতিহাস পাঠ করে যে জ্ঞানলাভ হয়, তা বাস্তব জীবনে চলার জন্য উৎকৃষ্টতম শিক্ষা। ইতিহাস পাঠ করলে বিচারবিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, যা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে জ্ঞানার্জনের প্রতি মানুষের আগ্রহ জন্মে । এজন্য মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]