অস্ট্রালোপিথেকাস মানব সম্পর্কে যা জান লেখ ৷

উত্তর ভূমিকা : পৃথিবীর আদি মানবগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আবিষ্কৃত হয়। এ মহাদেশ থেকে আবিষ্কৃত মানবগোষ্ঠীর মধ্যে অস্ট্রালোপিথেকাস অন্যতম। অস্ট্রালোপিথেকাসদের গোত্রভুক্ত জীবনযাপন পদ্ধতি, হাতিয়ার তৈরি ও ব্যবহার কৌশল প্রভৃতি নৃতাত্ত্বিকদের তাদের প্রতি উৎসাহী করে তোলে ।
> অস্ট্রালোপিথেকাস মানব : অস্ট্রালোপিথেকাস মানব সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. অস্ট্রালোপিথেকাস মানব পরিচিতি : মানবজাতির পূর্বপুরুষের নাম অস্ট্রালোপিথেকাস । মানুষের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাসে অস্ট্রালোপিথেকাস একটি বিশেষ নাম। দক্ষিণ আফ্রিকাতে অস্ট্রালোপিথেকাস নামক এক প্রকার প্রাইমেটদের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। এদের চোয়াল, পা প্রভৃতি ছিল প্রায় মানুষের মতো এবং মাথা ছিল মানুষের মাথার প্রায় অর্ধেক। ২. অস্ট্রালোপিথেকাস মানবের বৈশিষ্ট্য : অস্ট্রালোপিথেকাস মানবের মধ্যে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান ছিল । যথা : ক. অস্ট্রালোপিথেকাসরা গোত্রভুক্তভাবে জীবনযাপন করতো। দক্ষিণ আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে ১৯২৪ সালে বিজ্ঞানীরা খননকার্যের অস্ট্রালোপিথেকাসের মাথার খুলি আবিষ্কার করেন। ১৯৫৯ সালে তাঞ্জানিয়ায় অনুরূপ মানবজাতির অনেকগুলো মাথার খুলি আবিষ্কৃত হলে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে, অস্ট্রালোপিথেকসরা গোত্রভুক্তভাবে জীবনযাপন করতো ।

খ. অস্ট্রালোপিথেকাসরা জীবনযাপনকে সহজ করার জন্য নানান ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতো।
গ. এরা ক্রমবিবর্তিত হয়ে আফ্রিকার খাড়া মানুষ নামে পরিচিতি লাভ করে ।
ঘ. তারা গাঁইতি ও হাতকুড়াল জাতীয় হাতিয়ার ব্যবহার করতো।
ঙ. . তারা তাদের ব্যবহার্য সব হাতিয়ারই পাথর দ্বারা তৈরি করতো ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অস্ট্রালোপিথেকাসরা মানুষের পূর্ববর্তী প্রাণী তথা পূর্বপুরুষ। তারা প্রায়, মানুষের মতোই ছিল এবং গোত্রভুক্ত জীবনযাপন করতো। আর এজন্যই অস্ট্রালোপিথেকাসদের জীবনযাপন প্রণালি বর্তমান মানবসমাজের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পণ্ডিতদের মতে, অস্ট্রালোপিথেকাসরা মানুষের পূর্ববর্তী প্রাণী তথা পূর্বপুরুষ ।

খাড়া মানব সম্পর্কে যা জান লেখ ৷

উত্তর ভূমিকা : পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। প্রাচীন মানবগোষ্ঠীর মধ্যে খাড়া মানবের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তারা বর্তমান পরিপূর্ণ ও পুর্ণাঙ্গ, মানুষের অনেক বৈশিষ্ট্যই আয়ত্ত করতে পেরেছিল । যুগের বিবর্তনের সাথে সাথে খাড়া মানবের বড় একটি অংশ সভ্যতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয় ।
• খাড়া মানব : খাড়া মানব সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. খাড়া মানবের পরিচিতি : দক্ষিণ আফ্রিকাতে অস্ট্রালোপিথেকাস নামক এক প্রকার প্রাইমেটদের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এদের চোয়াল, পা প্রভৃতি ছিল প্রায় মানুষের মতো এবং মাথা ছিল মানুষের মাথার প্রায় অর্ধেক। পুরাতাত্ত্বিকগণের মতে, এ অস্ট্রালোপিথেকাসরা ক্রম পরিবর্তিত হয়ে আফ্রিকার খাড়া মানব নামে পরিচিতি লাভ করে। পুরাতাত্ত্বিকগণ আরও মনে করেন, এ অস্ট্রালোপেথিকাসরাই অর্থাৎ খাড়া মানবরাই আমাদের পূর্বপুরুষ।
২. খাড়া মানবের শারীরিক গঠন : শারীরিকভাবে খাড়া মানব অন্যান্য মানব সম্প্রদায় থেকে কিছুটা ভিন্ন ছিল। খাড়া মানুষদের মগজ ছিল বেশ বড় এবং তারা হাতকুড়াল জাতীয় হাতিয়ার ব্যবহার করতো। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে খাড়া মানবগোষ্ঠী দুপায়ে হাঁটতে শুরু করে । তাদের হাত ও পা অনেকটা বর্তমান মানুষের মতোই ছিল ।
৩. খাড়া মানবের বৈশিষ্ট্য : খাড়া মানবের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ বিদ্যমান ছিল ।
ক. খাড়া মানবের মস্তিষ্ক ছিল অস্ট্রালোপিথেকাস মানবের প্রায় অর্ধেক ।
খ. তারা মানুষের মতো খাড়াভাবে চলাফেরা করতো বলে এদের খাড়া মানব বলা হয় ।
গ. খাড়া মানব নিজেদের প্রয়োজনে যেমন— শিকার, আত্মরক্ষা প্রভৃতি কারণে হাতিয়ারের ব্যবহার শুরু করে ।
ঘ. তারা তাদের আশপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার শুরু করে ।
ঙ. খাড়া মানব জলে প্রান্তরে এমনকি গুহার গহ্বরে বিচরণ করতো ।
চ. তারা ক্রমে জীবজন্তুর মাংসকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে শুরু করে ।
ছ. খাড়া মানবরাই প্রথম আদিম শিকারি জীবনের সূত্রপাত ঘটায় ।
জ. সর্বোপরি খাড়া মানবরা পুরোপলীয় যুগের স্রষ্টা হিসেবে নিজেদের আবির্ভূত করতে সক্ষম হয় । উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাসে 'অস্ট্রালোপিথেকাস ও খাড়া মানব বিশেষভাবে বিবেচ্য। খাড়া মানবেরা তাদের কতিপয় বৈশিষ্ট্যের কারণে পুরোপলীয় যুগের স্রষ্টা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে । তার সাথে বর্তমান মানুষের পূর্বপুরুষ হিসেবে খাড়া মানবেরা ইতিহাসের পাতায় নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে সমর্থ হয় ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]