ক্রুসেডের কারণগুলো লেখ । ক্রুসেডের ফলাফল উল্লেখ কর ।

এ ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ ছিল আফ্রো-এশিয়ান মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের আজন্ম ঘৃণা, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্বকলহের বহিঃপ্রকাশ । কেউ কেউ বলেন, মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের নিকট ধর্মীয়ভাবে পবিত্র স্থান জেরুজালেমকে মুসলমানদের নিকট হতে উদ্ধারের নামে ক্রুস পরিহিত অভূতপূর্ব ধর্মীয় উন্মত্ততা ও যুদ্ধের নেশায় বিভোর ইউরোপের উদীয়মান খ্রিস্টান জগতের অসংখ্য ব্যক্তি ১০৯৫-১২৯২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এতদঞ্চলে তাদের উপস্থিতিতে যে যুদ্ধাবস্থা প্রবহমান রাখে এবং মাঝে মাঝে এর জালামুখ থেকে যে যুদ্ধলাভা নির্গত হয়, মধ্যযুগের ইতিহাসে তাকে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ বলে । ক্রুসেডের সময়কাল : ১১০০-১৩০০ শতক পর্যন্ত ক্রুসেড সংঘটিত হয়। এ সময়কালে সর্বমোট ৮টি কুসেড সংঘটিত হয় এবং প্রত্যেকটি কয়েক বছর স্থায়ী হয় । ক্রুসেডকে তিন পর্যায়ে ভাগ করা যায় । যথা :
প্রথম পর্যায় : ১০৯৫-১১৪৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত
দ্বিতীয় পর্যায় : ১১৪৪-১১৯৩
তৃতীয় পর্যায় : ১১৯৩-১২৯২
ক্রুসেডের কারণ : ক্রুসেডের নানা কারণ থাকলেও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উন্মাদনা ক্রুসেড সংঘটনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে । মুসলমানদের হাত থেকে তিন ধর্মের পবিত্র স্থান জেরুজালেম রক্ষাকল্পে খ্রিস্টানরা মুসলমানদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ক্রুসেড শুরু হয়। তাছাড়া খ্রিস্টান পোপের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির নেশা ক্রুসেডকে ত্বরান্বিত করে। তিনি খ্রিস্টান জনগণকে পাপমুক্তি ও স্বর্গলাভের আশায় প্ররোচিত করে তাদের ধর্মযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিলে ক্রুসেড অনিবার্য হয়ে ওঠে। সর্বোপরি ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দে হাজার হাজার খ্রিস্টান পুরুষ জেরুজালেমের পথে রওয়ানা হলে ক্রুসেডের সূচনা হয় । ক্রুসেডের ফলাফল : ক্রুসেডে মুসলমানগণ জয়ী হলেও তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অপরদিকে, খ্রিস্টান জনগণ অজস্র জানমাল ত্যাগ করেও জেরুজালেম উদ্ধারে ব্যর্থ হয় এবং মুসলমানদের হাতে পরাজিত হয়ে দেশে ফিরে যায়। এ যুদ্ধে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায় এবং অজস্র অর্থ ব্যয় হয়। তাছাড়া এ যুদ্ধের ফলে অনেক জনপদ ধ্বংস হয়ে যায় এবং অনেক নগরী শ্মশানে পরিণত হয় । তাই ক্রুসেড ছিল ধ্বংসলীলা আর ভয়াবহতার প্রতীক। তবে ক্রুসেডের ফলে খ্রিস্টানরা মুসলমানদের উন্নত কৃষ্টি কালচারের সাথে পরিচিত হয়ে তা ইউরোপে বয়ে নিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপে রেনেসাঁ সংঘটিত হয়। উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, জেরুজালেমকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টানদের সাথে মুসলমানদের যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাই ইতিহাসে ক্রুসেড নামে পরিচিত। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণেই মূলত ক্রুসেড সংঘটিত হয় এবং মানবতার জন্য অভিশাপ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ক্রুসেডের ফলে মুসলমান ও খ্রিস্টানদের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে এবং মুসলমানরা বিজয়ী হিসেবে সুনাম ধরে রাখে ।

ক্রুসেডের কারণগুলো লেখ ।

উত্তর ভূমিকা : মধ্যযুগীয় ইউরোপের ইতিহাসে ক্রুসেড ছিল একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা। ক্রুসেড নিছকই ধর্মযুদ্ধ বা ধর্মের কারণে সংঘটিত হয়নি। এর পিছনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক কারণ বিদ্যমান ছিল। ইউরোপীয় খ্রিস্টানগণ তাদের ধর্মীয় নেতার আদেশে বুকে ক্রুশ চিহ্ন নিয়ে এবং ক্রুশকেই যুদ্ধের পতাকা হিসেবে ব্যবহার করেছিল বলে একে ক্রুসেড বলা হয় ।
• ক্রুসেডের কারণসমূহ : এশিয়ার মুসলিম এবং ইউরোপের খ্রিস্টানদের মধ্যে বিরাজিত সুদীর্ঘকালের ঘৃণা, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব কলহের বহিঃপ্রকাশ হলো ক্রুসেড । ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের কারণ নিম্নরূপ :
১. জেরুজালেমের পবিত্রতা রক্ষা : হযরত ওমর (রা.) এর সময়ে ইসলামের যে বিজয় সূচিত হয়েছিল এরই ধারাবাহিকতায় খ্রিস্টানদের হাত থেকে সর্বপ্রথম প্যালেস্টাইন অধিকার করেন আমর ইবনে আল আস (রা.)। যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান হিসেবে খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থান জেরুজালেম মুসলমানদের হস্তগত হলে খ্রিস্টান জগতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একই স্থান রাসুল (সা.) এর মিরাজ গমনের স্থান হওয়ায় মুসলমানদেরও পবিত্র স্থান। একইভাবে মুসা (আ.) ও দাউদ (আ.) এর স্মৃতিবিজড়িত স্থান হওয়ায় ইহুদিদের পবিত্র স্থান। ধর্মস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে মুসলমানগণ ও খ্রিস্টানগণ মুখোমুখি হন। ফাতেমি খলিফা আল হাকিম ১০০৯ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টানদের জেরুজালেমের পবিত্র সমাধি ও গির্জা ধ্বংস করে দেন। যার ফলে খ্রিস্টানরা এর প্রতিদানের চিন্তা করতে থাকে ।
২. তীর্থযাত্রায় বাধা প্রদান : জেরুজালেম ছিল খ্রিস্টানদের তীর্থস্থান। সপ্তম শতাব্দীতেই জেরুজালেম নগরী মুসলমানদের অধিকারে আসে। প্রথমদিকের মুসলিম খলিফারা ধর্মসহিষ্ণু ছিলেন বলে খ্রিস্টানদেরকে তীর্থযাত্রায় বাধা প্রদান করেননি কিন্তু একাদশ শতাব্দীতে সেলজুকগণ ক্ষমতায় এসে তাদের তীর্থযাত্রায় বাধা প্রদান ও নির্যাতনের নীতি গ্রহণ করে। ফলে ইউরোপের খ্রিস্টানদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। পোপরা খ্রিস্টানদের সংঘটিত করে ধর্মযুদ্ধের আহ্বান জানান ।
৩. অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক অস্থিরতা : দশম শতাব্দী থেকে মুসলমানদের সাথে খ্রিস্টানদের অর্থনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল । মুসলমানগণ ভূমধ্যসাগরীয় বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। এ অবস্থা ইউরোপের জন্য অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে দেখা দেয়। মুসলমানদের সিসিলি জয়ের কারণে ইতালির বণিকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছিল। এছাড়া স্পেন, ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপসমূহ, মিসর, উত্তর আফ্রিকার অঞ্চলসমূহ, সিরিয়া ও এশিয়ায় বিভিন্ন স্থান মুসলমানদের অধিকারে আসলে ইউরোপের খ্রিস্টানরা বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। ফলে সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পোপগণ ধর্মযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যায় ।
৪. সামন্তবাদ : প্রচলিত সামন্তপ্রথা ও সামন্তপ্রভুদের আগ্রাসী ও স্বার্থবাদী মনোভাবও ক্রুসেডের অন্যতম কারণ। সামন্তপ্রভুগণ ক্রুসেডে অংশ নিয়ে নতুন নতুন ভূখণ্ড দখল করে। লর্ডদের শোষণ থেকে বাঁচতে পারবে এ আশায় ভূমিদাসগণ ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করে । সামন্তপ্রভুগণ নতুন ভূমির জন্য আগ্রহী হওয়ায় পোপদের ক্রুসেডের আহ্বান সহজ হয় ।
৫. রাজনৈতিক কারণ : পি. কে. হিট্টির মতে, “ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই অবশ্য ধর্মীয় আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়নি; বরং এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ নেতাই রাজ্য দখল ও রাজ্য শাসনের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতো।" এছাড়া এগারো শতকে মুসলমান শাসকদের দুর্বলতায় খ্রিস্টান শাসকগণ জেরুজালেম দখল ও তাদের সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটনার উদ্দেশ্যে পোপদের প্ররোচনায় ক্রুসেডারদের উৎসাহিত করেন।
প্রত্যক্ষ কারণ : ১০৭৬ খ্রিস্টাব্দে সেলজুক তুর্কিরা জেরুজালেম অধিকার করে এবং খ্রিস্টানদের পবিত্র গির্জার পাশে মসজিদ তৈরি করে। এতে খ্রিস্টানরা আতঙ্কিত হয়ে যায় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় দ্বিতীয় আরবান এক সভা ডেকে সেই সভা থেকে ধর্মযুদ্ধের আহ্বান জানান। এ সভা ১০৯৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ফ্রান্সের ক্লারমন্ট শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এভাবেই শুরু হয় ক্রুসেড। রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ প্রায় ২০০ বছর চলতে থাকে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ক্রুসেড নিছকই ধর্মযুদ্ধ ছিল না। এটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণেও সংঘটিত হয়েছিল। এ ক্রুসেডের ফলেই মুসলমানদের শক্তি সম্পর্কে ইউরোপীয়রা ধারণা লাভ করে। ক্রুসেডের পথ ধরেই পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালিতে রেনেসাঁ বা নবজাগরণ সংঘটিত হয় ।

ক্রুসেডের ফলাফল উল্লেখ কর ।

উত্তর ভূমিকা : পবিত্র ভূমি জেরুজালেমের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা নিয়ে পাশ্চাত্যের খ্রিস্টান ও প্রাচ্যের মুসলমানদের মধ্যে ১১০০-১৩০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ২০০ বছরব্যাপী যে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় তাই ইতিহাসে ক্রুসেড নামে পরিচিত। তবে এ ক্রুসেড নিছকই ধর্মযুদ্ধ ছিল না। মধ্যযুগের ইউরোপের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক আলোড়ন সৃষ্টিতে ক্রুসেডের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল । এর ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী।
• ক্রুসেডের ফলাফল : ক্রুসেডের প্রত্যক্ষ ফলাফলের চেয়ে পরোক্ষ ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী। নিম্নে ক্রুসেডের ফলাফলসমূহ আলোচনা করা হলো :
১. ধ্বংস ও রক্তক্ষয় : ক্রুসেডের ফলাফল ছিল ধ্বংস ও রক্তক্ষয়ী। ক্রুসেডের ফলে মুসলমানদের পশ্চিম এশিয়ার বহু ফসলের মাঠ ও নগর ধ্বংস হয়। বহু শক্তিশালী ব্যক্তিগণ নিঃস্ব হয়ে পড়েন । অপরদিকে, বহু শক্তিশালী ব্যক্তিদের ধনসম্পদ ও জীবনের বিনিময়েও খ্রিস্টানগণ জেরুজালেম অধিকারে ব্যর্থ হয় ।
২. বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রভাব : প্রাচ্যের কৃষিপণ্য এবং শিল্পজাত দ্রব্যের চাহিদা ইউরোপের বাজারে ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আর সেই সঙ্গে বেড়েছিল তীর্থযাত্রী ও ধর্মযোদ্ধাদের পরিবহণের প্রয়োজনীয়তা। তাই জলপথে পরিবহণ ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমৃদ্ধি পেতেও সময় লাগেনি। রোমান যুগের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এত সুদিনের মুখ আর দেখেনি । জেনোয়া এবং পিসোয়ার মহাজনদের সংস্থা গড়ে ওঠে।
৩. পোপদের ক্ষমতা খর্ব : পোপদের প্ররোচনায় খ্রিস্টানরা ক্রুসেডে অংশগ্রহণ করে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ অনুধাবন করেছিল ।তাতে তাদের মাঝে পোপ সম্পর্কে অনুভূতি কমতে থাকে এবং পোপদের অবস্থান ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে । ৪. সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদান : সাহিত্য ক্ষেত্রে ক্রুসেডের প্রভাব ছিল আরও পরিব্যাপ্ত। যিশু খ্রিস্টের শেষ ভোজকালীন থালাসংক্রান্ত যেসব কাহিনি আছে তার বেশিরভাগেরই জন্ম সিরিয়ায়। অনুমান করা হয়, ধর্মযোদ্ধারা সিরিয়া থেকে ‘কালিলা ওয়া দিমনা' এবং ‘আরব্য রজনী কাহিনি' শুনেছিলেন এবং স্বদেশে ফেরার পরও তার স্মৃতি ছিল অম্লান। চসারের ‘স্কোয়োরিজ টেল' আসলে আরব্য রজনীরই গল্প। আরবি এবং অন্যান্য ভাষার প্রতি খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের আগ্রহ ধর্মযুদ্ধেরই অবদান ।
৫. কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে অবদান : বুদ্ধিবৃত্তিক বিষয়াদি থেকে কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ক্রুসেডের প্রভাব ছিল। পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তিল, চাল, লেবু, তরমুজ, খরমুজ, খোবানি এবং পেঁয়াজ জাতীয় গাছের চাষের প্রচলন ক্রুসেডেরই দান। গ্রীষ্মপ্রধান আরবদেশ ভারতের সুগন্ধি মসলা, মিষ্টান্নসহ আরও বহু জিনিসের স্বাদ নিতে শুরু করে। এ রুচিই পরে ইতালি এবং ভূমধ্যসাগরের শহরগুলোর বাণিজ্য ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। প্রাচ্যের সবচেয়ে বড় অবদান হলো চিনির ব্যবহার । যার স্বাদ ইউরোপীয়রা প্রাচ্য থেকেই প্রথম বুঝতে পারে ।
৬. স্থাপত্যশিল্পের কৌশল রপ্ত : ইতালি ও নরমাণ্ডির ধর্মযোদ্ধারা দুর্গ তৈরিতে দক্ষ ছিল। তাদের কাছ থেকে এ বিদ্যা আরবরা রপ্ত করেছিল তার প্রমাণ কায়রোর নগর দুর্গ। কায়রোতে ফরাসি স্থাপত্যশিল্পের সবচেয়ে সুন্দর নিদর্শন হলো আল নাসিরের মসজিদের তোরণদ্বার।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ক্রুসেডের ফলাফল ছিল ইউরোপ ও আফ্রিকার জন্য সুদূরপ্রসারী। এটি নিছকই কোনো ধর্মযুদ্ধ ছিল না। এর পিছনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক পটভূমি জড়িত ছিল। এ ক্রুসেডের ফলেই মুসলমানদের শক্তি সম্পর্কে খ্রিস্টানগণ সম্যক ধারণা লাভ করে এবং ক্রুসেডের পথ ধরেই পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে ইতালিতে রেনেসাঁ বা নবজাগরণ ঘটে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]