আধুনিক যুগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

উত্তর ভূমিকা : মানব সভ্যতার ইতিহাসে আধুনিক যুগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পনেরো শতকে রেনেসাঁর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে আধুনিক যুগের শুভ সূচনা হয়। পূর্বের সব যুগ ও সমাজব্যবস্থার সম্মিলিত অর্জনের চেয়েও এ যুগের বিভিন্ন পর্বে অনেক আকর্ষণীয়, রোমাঞ্চকর ঘটনাবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সাধিত হয় ।
* আধুনিক যুগ : নিম্নে আধুনিক যুগ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হলো :
১. আধুনিক যুগের পরিচয় : মধ্যযুগের সামন্ত অর্থনৈতিক সমাজ, রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র এবং রক্ষণশীল ধর্মীয় চিন্তাচেতনার অবসান ঘটিয়ে যে সময় থেকে শিল্প বাণিজ্যিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও অগ্রসর চিন্তাচেতনা এবং উন্নত শিক্ষা সংস্কৃতি জীবন ব্যবস্থা মানুষ গড়ে তুলতে থাকে ইতিহাসে তাকেই আধুনিক যুগ বলে। ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে অটোমান তুর্কিদের হাতে কনস্টান্টিনোপলের পতনের পর থেকেই আধুনিক যুগের সূচনা ঘটে।
মধ্যযুগের অবক্ষয়ের পর্বে (পঞ্চদশ থেকে সপ্তদশ শতক) আধুনিক সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপাদানগুলো সৃষ্টি হতে থাকে । ফলে সামন্ত অর্থব্যবস্থা ক্রমে দুর্বল হতে থাকে । মানুষ অপেক্ষাকৃত উন্নত স্বাধীন জীবন, রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে আগ্রহী হয়। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতকের রেনেসাঁ, ভৌগোলিক আবিষ্কার, ধর্মসংস্কার আন্দোলন, সপ্তদশ শতকের ইংল্যান্ডের বিপ্লব, অষ্টাদশ শতকের শিল্পবিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব, উনবিংশ শতকের বিপ্লববাদ, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি ঘটনা ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের চিন্তা জগৎ ও সমাজের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে ।
.
২. আধুনিক যুগের পর্ব : আধুনিক যুগকে মোটামুটি তিনটি পর্বে ভাগ করা যায়। নিম্নে এ পর্বসমূহ আলোচনা করা হলো : প্রথম পর্ব : আধুনিক যুগের প্রথম পর্ব শুরু হয় পঞ্চদশ শতকের রেনেসাঁর সময় থেকে এবং তা ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ফরাসি বিপ্লব পূর্ব সময় পর্যন্ত ছিল। এ পর্বে সামন্তবাদী অর্থনীতির অবসান ঘটে এবং পুজিবাদের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় । দ্বিতীয় পর্ব : ১৭৮৯ সালের ফরাসি বিপ্লব থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত সংহত হয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিস্তার ঘটে এবং চিন্তাজগতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়। বিকাশ লাভ করে সমাজতন্ত্রবাদের ।
তৃতীয় পর্ব : পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রবাদের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আধুনিক যুগে তৃতীয় পর্ব শুরু হয়। এ পর্বে ইউরোপে উগ্র জাতীয়তাবাদ থেকে ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের উত্থান ঘটে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়ানক ধংসযজ্ঞ ঘটে। এ পর্বে বিশ্বশান্তির স্বপ্ন নিয়ে জাতিসংঘ গঠিত হয়। তবে অস্ত্র প্রতিযোগিতা এবং যুদ্ধের হুমকি হ্রাস পায়নি। এ পর্বে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটে ব্যাপকভাবে। বিংশ শতকের আশির দশকে সমাজতন্ত্রবাদের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বিশ্বে মুক্ত বাজার অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত হয়। বিশ্বজুড়ে আধুনিক যুগের এ পর্বে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমান সময়কালকে ঐতিহাসিকগণ উত্তরাধুনিকতার যুগ বলে অভিহিত করেন ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানব সভ্যতার ইতিহাসে আধুনিক যুগের উত্থান ও বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আধুনিক যুগে পুঁজিবাদ প্রভূত সম্পদ উৎপাদনের বিভিন্ন উপায়ের উদ্ভব ঘটিয়েছে। বিংশ শতকে শিল্প প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও জ্ঞানচর্চার বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : মানব সভ্যতার ইতিহাসে আধুনিক যুগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পনেরো শতকে রেনেসাঁর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে এ নবযুগের শুভ সূচনা ঘটে। এ যুগে পৃথিবীর ইতিহাসে এতটাই পরিবর্তন সাধিত হয়েছে যা পূর্বেকার সব যুগ ও সমাজব্যবস্থায় সম্মিলিত অর্জনের চেয়েও অনেক বেশি আকর্ষণীয়, রোমাঞ্চকর ও গুরুত্বপূর্ণ। ভৌগোলিক ও নব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ঘটনা আধুনিক যুগে মানুষের চিন্তা জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে ।
● আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো :
১. ব্যক্তিত্বের বিকাশ : মধ্যযুগের ব্যক্তি বা ব্যক্তিত্বের কোনো অস্তিত্ব ছিল না বললেই চলে। ধর্মের সর্বময় কর্তৃত্বাধীনে ব্যক্তির ধর্ম, ব্যক্তিগত জীবন এমনকি তার চিন্তাধারা সম্পূর্ণভাবে অধিকৃত ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগ শুরুই হয় মধ্যযুগীয় ধ্যানধারণার প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এ বিদ্রোহের ফলে মধ্যযুগের বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ব্যক্তি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে জেগে ওঠে এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশে প্রয়াস পায় ।
২. জাতিরাষ্ট্র : মধ্যযুগের শেষার্ধে রাজতন্ত্র এবং সামন্ততন্ত্র একে অপরের বিরোধী শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে থাকে । এ বিরোধে দ্বিপক্ষেরই শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। একই সাথে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে এ সংকটের প্রতি ঘৃণা ও তা সমাধানে এগিয়ে আসার একটি ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস লক্ষ করা যায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণির এগিয়ে আসাকে জাতীয়তাবাদের বিকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অনেকে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি কল্যাণকামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনে সর্বাধিক অবদান রাখে। যা পরবর্তীতে জাতিরাষ্ট্র গঠনের চেষ্টায় রূপান্তরিত হয় ।
৩. রেনেসাঁ : আধুনিক যুগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো রেনেসাঁর আবির্ভাব। এসময়ে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাহিত্য, দর্শন, শিল্পকলা প্রভৃতি সম্পর্কে জানার এক অদম্য উৎসাহ দেখা যায় । এ উৎসাহ মানুষকে যা কিছু ভালো ও কল্যাণকর তা গ্রহণে উৎসাহিত করে । ফলে ইতালি থেকে এ নবজাগরণের আন্দোলন ইউরোপ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা মানুষ স্বকীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়। মানবতার জয়গান সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করতে থাকে ।
৪. ভৌগোলিক আবিষ্কার : রেনেসাঁ যুগের শুরু থেকেই নাবিকের কম্পাস, সমুদ্রের মানচিত্র, তালিকা ইত্যাদি আবিষ্কৃত হয় । রেনেসাঁর ফলে যে ব্যাপক জ্ঞানস্পৃহা ও অনুসন্ধিৎসু জেগে ওঠে তা ভৌগোলিক জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক হয়েছিল। পৃথিবী যে বৃত্তাকার এ সত্য এবং অক্ষরেখা সম্পর্কে জ্ঞান রেনেসাঁ যুগেই জন্ম নেয়। এসব ভৌগোলিক জ্ঞানবৃদ্ধি ও দিক নির্ণয় যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে সমুদ্রযাত্রা পূর্বাপেক্ষা অনেকটা সহজ করে। সঙ্গে সঙ্গে নতুন দেশ ও নতুন নতুন সমুদ্রপথ আবিষ্কারের এক অদম্য উৎসাহ দেখা দেয় ৷
এছাড়াও আধুনিক যুগের আরও যেসব বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে তার অন্যতম হলো উগ্র জাতীয়তাবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লব, আন্তর্জাতিকতাবাদ, শিল্পবিপ্লব, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র প্রভৃতি। এসব বৈশিষ্ট্য আধুনিক যুগকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আধুনিক যুগের যাত্রা একেক সময়ে শুরু হয়। যার ফলে আধুনিকতার ব্যাপ্তি ও গভীরতা এক নতুন উচ্চতায় ওঠে। তবে যেখানেই, যে সময়েই শুরু হয় না কেন আধুনিক যুগ নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য । আধুনিকতা মানবতার জয়গানে বিশ্বের সব মানুষকেই স্বীয় মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে ।

উত্তর আধুনিক যুগ সম্পর্কে কী জান?

উত্তর ভূমিকা : বর্তমানে প্রযুক্তির অসাধারণ উন্নতি, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ, পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা মানুষের জীবনকে করেছে আরামপ্রদ। ফলে মানুষের চিন্তাচেতনার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। যাকে বিভিন্ন ঐতিহাসিক একটি স্বতন্ত্র যুগ বা সময়কাল হিসেবে আলাদা করেছেন । যা উত্তর আধুনিক যুগ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
● উত্তর আধুনিক যুগ : উত্তর আধুনিক যুগ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো :
ক. উত্তর আধুনিক যুগের পরিচয় : বিশ্বায়নের প্রভাবে জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসার ও তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে মানবজীবনের প্রভূত উন্নতিকে ঐতিহাসিকগণ উত্তর আধুনিক যুগ বলে চিহ্নিত করেছেন। সাধারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৪৫) পর থেকেই আমরা উত্তর আধুনিক যুগে পদার্পণ করি। অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর আধুনিক যুগের সূচনা হয় এবং এখনো তা বিদ্যমান। উত্তর আধুনিক যুগে মানবতা বা মানুষের অধিকার ইতিহাসে প্রাধান্য পাচ্ছে।
খ. উত্তর আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্য : আধুনিক যুগের সব বৈশিষ্ট্যসমূহই উত্তর আধুনিক যুগে বিদ্যমান আছে। তবে তা নতুন আঙ্গিকে, নতুন মাত্রায় মানবসমাজকে প্রভাবিত করছে। উত্তর আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্যসমূহ হলো : ১. অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ : অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ উত্তর আধুনিক যুগের একটি বৈশিষ্ট্য। দরিদ্র, ক্ষুদ্ৰ দেশসমূহকে অর্থনৈতিক সাহায্যের নামে এসময় সময়কালীন বিশ্বের অন্যতম দুই পরাশক্তি (Super Power) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন অনেক দেশে পরোক্ষভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের ফলে উত্তর আধুনিক যুগে বহু দেশের স্বাধীনতা কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে।
২. বিশ্বশান্তি বনাম অস্ত্র প্রতিযোগিতা : উত্তর আধুনিক যুগে শান্তি প্রচেষ্টার পাশাপাশি অস্ত্র তৈরির কার্যক্রমও চলতে থাকে । একদিকে পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, অপরদিকে ফ্রান্স, ব্রিটেন, চীন, উত্তর কোরিয়া প্রভৃতি দেশ পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়। তাছাড়া উত্তর আধুনিক যুগের সমরসজ্জার বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায় আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র, হাইড্রোজেন বোমা, মহাকাশ যুদ্ধ, জীবাণু অস্ত্র প্রভৃতি। এসব সামরিক অস্ত্র পৃথিবীকে উত্তর আধুনিক যুগে মহাবিপদগ্রস্ত করে তুলছে ।
৩. বিভিন্ন জোট গঠন : উত্তর আধুনিক যুগে পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। ফলে একদেশ অন্যদেশের ওপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে সামরিক জোটের ন্যায় অর্থনৈতিক জোটও গড়ে তোলে। যেমন— UN, EEC, EU, ASEAN, SAARC, OIC, G- 7, G-8, G-77, D-8 প্রভৃতি ।
৪. প্রযুক্তির ব্যবহার : উত্তর আধুনিক যুগে প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বিশ্বের সব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। তথ্য প্রবাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উত্তর আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সুপারসনিক বিমান, ইলেট্রনিক ট্রেন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট, স্মার্টফোন প্রভৃতি বিষয় উত্তর আধুনিক যুগকে গৌরবান্বিত করেছে।
৫. বিশ্বায়ন : আধুনিক যুগের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে যেন একটি সম্মিলিত গ্রামে পরিণত হয়েছে। যাকে বিশ্বায়ন বলা হয়। সমগ্র পৃথিবীকে একটি গ্রাম হিসেবে গণ্য করে বিশ্বপল্লির নেতৃবৃন্দ নানা প্রকার সম্মেলন করে উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আধুনিক যুগের দীর্ঘ ব্যাপ্তিকালে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুরো বৈশ্বিক ব্যবস্থায় যে পরিবর্তনের সূত্রপাত ঘটেছে তাই মূলত উত্তর আধুনিক যুগ। উত্তর আধুনিক যুগের একদিকে যেমন মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তেমনি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ, অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে ঙ্কিত করে তুলেছে ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]