Decade, Century এবং Millennium কী?

উত্তর ভূমিকা : ইতিহাসের কাল গণনার ক্ষেত্রে খ্রিস্টপূর্বাব্দ বা খ্রিস্টাব্দের ন্যায় Decade (দশক), Century (শতক), Millennium (সহস্রাব্দ) সমভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস যেহেতু মানুষের কর্মকে মূল আলোচনায় আনে সেক্ষেত্রে মানব কর্মের সুনির্দিষ্টতা নির্ণয়ের জন্য Decade, Century, Millennium অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর প্রত্যেকটিই একটি নির্দিষ্ট সময়কালকে নির্দেশ করে । যার কারণে ইতিহাস পাঠ আরও পদ্ধতিগত ও কাঠামোগত রূপ লাভ করে ।
● Decade (দশক) : ইংরেজি Decade এর বাংলা রূপ হলো দশক বা দশ বছর (A period of ten years)। অর্থাৎ ১০টি বছর সমন্বয়ে ১টি Decade গঠিত হয়। Decade বা দশক বলতে দশ বছরের সময়কালকে বুঝানো হলেও মূলত এর দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট শতকের কোনো নির্দিষ্ট দশককে বুঝানো হয় । যেমন—সপ্তম শতকের প্রথম দশক । অর্থাৎ সপ্তম শতকের প্রথম দশক বলতে ৬০০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী প্রথম ১০ বছর সময়কালকে বুঝানো হয়। আরও স্পষ্টভাবে বলা যায়, ৬০১ থেকে ৬১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কালকে সপ্তম শতকের প্রথম দশক বুঝানো হয় ।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অনেকেই অনেক সময় ত্রিশের দশক (২১–৩০) এভাবে ষাটের দশক (৫১–৬০) ইত্যাদি বলে থাকে । এভাবে দশক গণনা করা সঠিক নয় । প্রকৃতপক্ষে এভাবে দশক গণনা করাকে প্রচলিত ভুল বলে অভিহিত করা যায় ।
↑ Century (শতক) : ইংরেজি Century শব্দটির বাংলা রূপ হলো শতক বা শতাব্দী। এটি যিশু খ্রিস্টের জন্মের পূর্ববর্তী বা পরবর্তী যেকোনো শতক হতে পারে। ১০টি Decade এর সমন্বয়ে ১টি Century গঠিত হয়। সাধারণত আমরা ১ হতে ১০০ বছর সময়কালকে এক শতক বা শতাব্দী বলে গণ্য করে থাকি। উদাহরণ স্বরূপ যদি বলা হয়, খ্রিস্টপূর্ব পনেরো শতকে ভারতবর্ষে আর্য সভ্যতার সূচনা হয় । তাহলে স্বভাবতই বুঝা যায়, যিশু খ্রিস্টের জন্মগ্রহণ করার এক হাজার পাঁচশত বছর পূর্বে এ সভ্যতা গড়ে ওঠে। অর্থাৎ আর্য সভ্যতার বয়স খ্রিস্টের বয়সের চেয়ে এক হাজার পাঁচশত বছর বেশি। এখানে উল্লেখ্য যে, শতক লেখার সময় যেমন অষ্টম শতক লেখার সময় ৮ এর পূর্ববর্তী সংখ্যা অর্থাৎ ৭ দ্বারা শুরু করতে হয়। তাহলে অষ্টম শতকের সময়কাল দাঁড়ায় ৭০১-৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, অষ্টম শতক ৮০০ দ্বারা শুরু করা প্রচলিত ভুল । এ ভুল অবশ্যই পরিহার করা উচিত 1
● Millennium (সহস্রাব্দ) : Millennium এর অভিধানিক অর্থ এক হাজার বছর বা এক সহস্রাব্দ। ১০টি Century সমন্বয়ে ১টি Millennium বা সহস্রাব্দ গঠিত হয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস রচনা করার ক্ষেত্রে সহস্রাব্দের ব্যবহার অধিক পরিমাণে লক্ষ করা যায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস রচনা করার ক্ষেত্রে উৎস হিসেবে কোনো লিখিত প্ৰমাণ না থাকা কারণে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর নিদর্শনের আলোকে অনেক সময় সহস্রাব্দের ভিত্তিতে ইতিহাস রচনার আশ্রয় গ্রহণ করতে হয় । ইতিহাসবিষয়ক আলোচনায় সহস্রাব্দের কয়েকটি ব্যবহার হলো খ্রিস্টপূর্ব প্রায় আড়াই সহস্রাব্দে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে ওঠে এবং প্রায় দশ সহস্রাব্দ বছর পূর্বে চতুর্থ বরফ যুগের অবসান ঘটে এবং প্রায় সাত সহস্রাব্দ বছর পূর্বে লিখন পদ্ধতি উদ্ভাবিত হয় । ইতিহাসের এরূপ আলোচনায় সহস্রাব্দের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাসবিষয়ক আলোচনায় ঘটনার কালপঞ্জি ব্যবহার ইতিহাসকে কাঠামোবদ্ধ রূপ প্রদান করে । আর কাঠামোবদ্ধ ইতিহাসের ক্ষেত্রে দশক, শতক ও সহস্রাব্দের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের কালপঞ্জি নির্ধারণ দশক, শতক ও সহস্রাব্দের সঠিক ব্যবহার ঐতিহাসিক জ্ঞানের সঠিকতা নির্ণয়ে প্রয়োজন ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]