আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের স্ক্র্যাম্বলের কারণসমূহ লিখ ৷

আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের স্ক্র্যাম্বলের ইউরোপীয় প্রেক্ষাপট লিখ ৷
কোন অবস্থার জন্য আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের স্ক্র্যাম্বল সংঘটিত হয়? লিখ ৷ অথবা, আফ্রিকায় স্ক্র্যাম্বলের ইউরোপীয় পটভূমি লিখ ৷
উত্তরা ভূমিকা : ইউরোপের ইতিহাসে ক্র্যাম্বল একটি পরিচিত শব্দ এবং উনিশ শতকের পৃথিবীর একটি আলোচিত বিষয়। Scramble ইংরেজি শব্দ যার অর্থ তাড়াহুড়া করা বা হুড়াহুড়ি করা। অর্থাৎ উনিশ শতকের শেষ দশকে ইউরোপীয় দেশসমূহ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের লক্ষ্যে একযোগে আফ্রিকা মহাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইউরোপীয়দের এ প্রতিযোগিতাকেই Scramble (স্ক্র্যাম্বল) নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অবশ্য ইউরোপীয়রা এর নাম দিয়েছিল Players of Rough Game. এ ক্র্যাম্বলের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল ইউরোপে কিন্তু এটা প্রয়োগ করা হয় আফ্রিকায়। ১৮৮০ এর দশকে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ Scramble for Africa এর মাধ্যমে আফ্রিকায় প্রবেশ করে এবং পরবর্তী ত্রিশ দশকের মধ্যে সমগ্র আফ্রিকা দখল করে নেয়। তাই এটা আফ্রিকানদের জন্য শোষণ ও বঞ্চনার ইতিহাস।
আফ্রিকায় ইউরোপীয় স্ক্র্যাম্বলের কারণ : উনিশ শতকে আফ্রিকায় যে স্ক্র্যাম্বলের ঘটনা ঘটে তার পিছনে ইউরোপের শিল্পবিপ্লব মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। তবে এর পশ্চাতে আরও কতিপয় কারণ বিদ্যমান ছিল যা ছিল ইউরোপীয় কারণ । নিম্নে এ কারণগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. পর্যটকদের প্রভাব : কলম্বাসের জলপথ আবিষ্কারের পর ভারতবর্ষসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে ইউরোপীয় পর্যটকগণ আগমন করে এবং আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখে। আফ্রিকার বিপুল ঐশ্বর্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে যায় এবং ইউরোপের উন্নয়নের পথ খুঁজে পায়। তারা ইউরোপে ফিরে সরকারকে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে উৎসাহ প্রদান করেন। এসব পর্যটকদের মধ্যে উলেখযোগ্য ছিলেন ডিব্রাজা, লিভিং স্টোন, বার্থে ও স্টানলেট। তারা সরকারকে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের বিভিন্ন উপকারিতা তুলে ধরে তা প্রচার করতে থাকেন। তারা যুক্তি দেখান যে, “আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন, বাজার প্রতিষ্ঠা, ব্যবসায় পরিচালনা হতে কেবল ব্যবসায়ী শ্রেণিই লাভবান হবে না বরং সমাজের সকলের লাভ হবে। এর ফলে পুঁজিবাদ বিকশিত হবে এবং সরকার অধিক কর পাবে যাতে দেশের সামগ্রিক আর্থসামাজিক কাঠামোর উন্নয়ন ঘটবে।”
২. ইউরোপীয় মিশনারিদের প্রভাব : আফ্রিকাকে বলা হতো পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ। কারণ তারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এবং তারা ছিল সভ্যজাতি থেকে অনেক দূরে। আফ্রিকানদের সভ্যজাতিতে পরিণত করা এবং শিক্ষার আলো দান করার জন্য ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের আফ্রিকায় প্রবেশ করতে দেখা যায়। তাদের যুক্তি ছিল, তারা যেহেতু সভ্যজাতি, তাই অসভ্যদের জ্ঞান দান করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। একথা স্পষ্ট হয়ে উঠে এল. বি. স্টোন নামক এক খ্রিস্টান মিশনারির মন্তব্যে। তিনি বলেছেন যে, “আমাদের উদ্দেশ্য আফ্রিকায় একটি পথ সৃষ্টি করা যার মাধ্যমে ধর্ম ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠার একটি পথ খুঁজে পায় আফ্রিকাবাসী।” তবে তাদের এ যুক্তি ছিল মিথ্যায় ভরা। কারণ এ যুক্তির মধ্যেই লুকিয়ে ছিল উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার সুপ্তবীজ যা পরবর্তীতে মহীরূহে পরিণত হয়। এ খ্রিস্টান মিশনারিদের মধ্যে প্রধান ছিল বারতান ও এল. বি. স্টোন।
উৎপাদিত হতে থাকে। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের পর ইউরোপের অন্যান্য দেশেও শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়। এর ফলে ৩. নতুন বাজার তৈরি : অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর শিল্পকারখানায় প্রচুর দ্রব্যসামগ্রী শিল্পকারখানায় উদ্বৃত্ত উৎপাদন সামগ্রী বিক্রয়ের জন্য বাজারের প্রয়োজন দেখা দেয়। কারণ ইতোমধ্যে ইউরোপসহ ভারতবর্ষের বাজারও ইউরোপীয় দ্রব্যসামগ্রিতে সয়লাব হয়ে গেছে। একমাত্র বাকি ছিল আফ্রিকা মহাদেশ। তাই
ইউরোপীয় শক্তিবর্গ তাদের নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য একযোগে আফ্রিকায় প্রবেশ করে স্ক্র্যাম্বলের সৃষ্টি করে।
৪. পুঁজির বিনিয়োগ : ইউরোপের শিল্পবিপ্লব পুঁজিবাদী শ্রেণির উত্থান ঘটায় এবং এর ফলে শিল্পকারখানার তাই পুঁজিবাদী শ্রেণি তাদের অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য নতুন দেশ খুঁজতে থাকে। কারণ পুঁজির ধর্মই হচ্ছে বিস্তার করা।
মালিকদের হাতে প্রচুর অর্থ আসে। বিপুল পরিমাণের অর্থ সমাগম ঘটলে তা বিনিয়োগ করার মত স্থান ইউরোপে ছিল
অতএব পুঁজির বিস্তার ও বিনিয়োগ করার জন্যই আফ্রিকাকে বেছে নিয়ে সেখানে ক্র্যাম্বলের সৃষ্টি করা হয়।
৫. কাঁচামালের প্রয়োজনীয়তা : শিল্পকারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রীর জন্য যে জিনিস বেশি প্রয়োজন তা হলো
কাঁচামাল। শিল্পকারখানার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ইউরোপে ছিল না। এসব কাঁচামালের মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপা, হীরা তামা, পিতল, রাবার, কয়লা, গ্যাস, তেল, ইস্পাত প্রভৃতি। এসব কাঁচামাল আফ্রিকায় প্রচুর পাওয়া যেত। এ কাঁচামাল হস্তগত করার জন্য ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় একসাথে প্রবেশের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। এ প্রতিযোগিতাই স্ক্র্যাম্বলের জন্ম দেয়।
৬. উন্নত যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা : ইউরোপের সাথে আফ্রিকার যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত ছিল না। কারণ আফ্রিকা ছিল মরুভূমি ও জঙ্গলাকীর্ণ। ফলে স্থলপথে বাণিজ্য করা ছিল ব্যয়বহুল। তবে আফ্রিকায় কয়েকটি নদী ছিল যা দিয়ে ইউরোপীয়রা আফ্রিকার সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতো। এসব নদীর মধ্যে প্রধান নদী ছিল কঙ্গো ও নাইজার নদী। শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী পর্যায়ে কয়েকটি রেলপথ স্থাপিত হয়। তৎকালীন যুগে রেলপথ ছিল সবচেয়ে উন্নত। কারণ রেলপথ দিয়ে সহজেই একস্থান হতে অন্যস্থানে কাঁচামালসহ উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী বহন করা যেত। এ সময় সেনেগাল থেকে নাইজার সেন্টলুই থেকে ডাফার পর্যন্ত রেলপথ স্থাপিত হলে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের সহজ রাস্তা খুঁজে পায়।
৭. জঙ্গি বা উগ্র জাতীয়তাবাদ : উনিশ শতকে ইউরোপের ইতিহাস ছিল উগ্র জাতীয়তাবাদের ইতিহাস। কার ইউরোপীয় সভ্যতা ছিল সবচেয়ে উন্নত। তাই ইউরোপীয় শক্তিবর্গ তখন নিজেদেরকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে চিহ্নি করত। ইউরোপের পাঁচটি দেশ সর্বদা নিজেদেরকে প্রত্যেকের চেয়ে সেরা ভাবত। এ পাঁচটি দেশ হচ্ছে ব্রিটেন, জার্মানি ফ্রান্স, রাশিয়া ও ইতালি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডিজরেলী নিজ জাতিকে জাতীয় গৌরবে উৎসাহিত করে তুলে অন্য জাতিকে পদানত করার চেষ্টা চালান। অন্যদিকে, জার্মানির বিসমার্ক পূর্ব ইউরোপে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে না পেরে আফ্রিকায় সাম্রাজ্য বিস্তারের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সবাই আফ্রিকার দিকে তাদের সাম্রাজ্যবাদী দৃষ্টি মনোনিবেশ করে ।
৮. ফ্রান্সের উপনিবেশ নীতি : ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফ্রান্স। ১৮৭০ সালে ফ্রান্সের সাথে জার্মানির অস্ট্রিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং এ যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়ে অপমানজনক চুক্তি স্বাক্ষরে বাধ্য হয়। এতে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জুলিস ফেরী তাঁর শক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে তিনি একটি ঔপনিবেশিক নীতি গ্রহণ করেন । প্রধানত দুটি কারণে ঔপনিবেশিক নীতি গ্রহণ করেন । যথা : ক. ব্যবসায় বাণিজ্যের উন্নতির দ্বারা রাষ্ট্রের উন্নতি ও খ. জাতীয় গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।
৯. তাৎক্ষণিক কারণ : আফ্রিকার ব্যাপারে ইউরোপীয় শক্তিবর্গের ঔপনিবেশিক রাজ্য স্থাপনের নীতি গ্রহণের ফলে ইউরোপে এক অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় ইউরোপীয়রা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত করে। এ দ্বন্দ্বে শামিল হয় ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল ও বেলজিয়াম। এরা সবাই আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনে আগ্রহী হয়ে পড়ে। ১৮৮০ এর দশক হতে পর্তুগাল আফ্রিকায় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালায়। এদিকে ইংল্যান্ড ১৮৮২ সালে আফ্রিকান দেশ মিশরের সাথে গোপন চুক্তির দ্বারা আফ্রিকায় প্রবেশের চেষ্টা চালায়। অন্যদিকে, ফ্রান্স আফ্রিকান দেশ কঙ্গো ও কঙ্গো নদী দখল করে নেয়। এর প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হিসেবে ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড ও পর্তুগাল ইঙ্গ-পর্তুগাল যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে ইউরোপে শক্তিসাম্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।
১০. নাইট বা সামরিক বাহিনীর প্রভাব : মধ্যযুগে ইউরোপে সামরিক বাহিনীকে বলা হতো নাইট এবং এ বাহিনীর প্রভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। কারণ তখন ছিল সামন্ততান্ত্রিক যুগ এবং এ যুগের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্য বিস্তার সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য নাইটদের ভূমিকাই ছিল প্রধান। কারণ নাইটদের প্রধান দায়িত্ব ছিল যুদ্ধ করা এবং যুদ্ধের মাধ্যমে সাম্রাজ্য বিস্তার করা। কিন্তু উনিশ শতকের প্রারম্ভে ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জোয়ার বইতে থাকে। ফলে সামরিক বাহিনী তথা নাইটগণ অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে। অথচ এ নাইটগণই ছিল সমাজের সামাজিক মর্যাদার দিক হতে দ্বিতীয় তথা জমিদারদের পরের স্থান। উনিশ শতকে যখন ইউরোপীয় শক্তিবর্গ বিভিন্ন দেশে উপনিবেশ স্থাপন করে, তখন আবার নাইটদের প্রভাব লক্ষ করা যায়। কারণ ঔপনিবেশ রক্ষার জন্য নাইটদের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। এতে নাইটরা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে। নাইটরা সরকারকে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের জন্য চাপ দিয়ে প্রভাবিত করতে থাকে।

১১. প্রযুক্তিগত আবিষ্কার : উনিশ শতকে আফ্রিকায় বিভিন্ন উপনিবেশ স্থাপনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় কারণ হচ্ছে প্রযুক্তিগত আবিষ্কার। এ সময় ইউরোপে রেল ইঞ্জিন, বাষ্পচালিত নৌকা, টেলিগ্রাফ, পানপাউডারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয়। এসব আবিষ্কার আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের হিসেবে ব্যবহৃত হয়েOR
১২. ভৌগোলিক আবিষ্কার : ১৫ শতকে কলম্বাসের আটলান্টিক মহাসাগর উন্নতকরণ নীতির দ্বারা জলপথ আবিষ্কার আফ্রিকায় ইউরোপীয় স্ক্র্যাম্বলের অন্যতম কারণ। কেননা এ ভৌগোলিক আবিষ্কারের ফলেই আফ্রিকা সম্পর্কে ইউরোপীয়র জানতে পারে এবং এ জলপথ ধরেই তারা আফ্রিকার উপকূলে পৌঁছায়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে আফ্রিকা ঔপনিবেশবাদের শিকার হয় এবং ঔপনিবেশিক শক্তিবর্গ ছিল ইউরোপের দেশ বিশেষকরে ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, পার্তুগাল, জার্মানি ও ইতালি । তারা আফ্রিকায় নিজ নিজ শাসনব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যমে ঔপনিবেশের সৃষ্টি করে। আফ্রিকায় ইউরোপীয়দের এ উপনিবেশ সৃষ্টির পিছনে শুধু আফ্রিকাই দায়ী ছিল না। এর পশ্চাতে প্রধান কারণ পীয় যার মধ্যে বিপ্ল সাম্রাজ্যবাদী আকাঙ্ক্ষা উলেখযোগ্য। যাহোক, আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে ইউরোপীয়রা প্রায় ৮০ বছর শাসন করেছিল ।

FOR MORE CLICK HERE
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস মাদার্স পাবলিকেশন্স
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস ১ম পর্ব
আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস
আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস
বাংলাদেশের ইতিহাস মধ্যযুগ
ভারতে মুসলমানদের ইতিহাস
মুঘল রাজবংশের ইতিহাস
সমাজবিজ্ঞান পরিচিতি
ভূগোল ও পরিবেশ পরিচিতি
অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষ
পৌরনীতি ও সুশাসন
অর্থনীতি
অনার্স ইসলামিক স্টাডিজ প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত
অনার্স দর্শন পরিচিতি প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]