অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সুস্থদের করণীয় কি?

রোগীর জন্য সুস্থদের করণীয় হচ্ছে, তাকে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়া এবং ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র, পরামর্শ ও উপদেশ অনুযায়ী ঔষধপত্র ও পথ্যাদি সরবরাহ করা। নিয়মিতভাবে তার কুশলাদির খবর রাখা এবং তিনি যে শীঘ্রই আরোগ্য লাভ করবেন, এ বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করা ও তার মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। সর্বোপরি আল্লাহ্র কাছে কায়মনোবাক্যে তার রোগমুক্তির জন্য দু'য়া করা ৷ আমাদের দেশ তথা মুসলিম বিশ্বে একটি প্রণিধানযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সকল রোগীই তার রোগমুক্তির জন্য সুস্থদের দু'য়া কামনা করে থাকে। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রীগণ যখন চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান তখন তারা দেশবাসীর দু'য়া কামনা করেন। সত্যিই এটা সুন্দর নিয়ম। তাই আমরা যখন কোনো রোগী দেখতে যাবো, তখন তার রোগমুক্তির দু'য়া করবো। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি রীতি ছিলো, যখনই তিনি পীড়িত ব্যক্তিকে দেখতে যেতেন তখন তার জন্য এভাবে দু'য়া করতেন, “আল্লাহুম্মা রব্বান নাস, আহিবিল বা'সা ইশফি ওয়া আনতাশ শাফী, লা শিফাআ ইল্লা শিফাকা শিফাআন লা যুগাদিরু সাকামা।"
“হে আল্লাহ্! আপনি অসুস্থতা দূর করে দিন। আরোগ্য দান করুন। আর মানব জাতির প্রতিপালক! আপনিই আরোগ্যদানকারী। আপনার নিরাময় ছাড়া আর কোনো নিরাময় নেই। আপনি এমন নিরাময় দান করুন যাতে অসুস্থতার কোনো চিহ্ন না থাকে।” (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম)
জামে আত-তিরমিযী শরীফে যে হাদীসটি উদ্ধৃত আছে তা বর্ণনা করেছেন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু
। উভয় হাদীসের ভাষা একই। রোগীকে দেখতে যাওয়া ও তার অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়া নেকীর কাজ। এটা সুন্নাত। রোগীকে দেখতে গিয়ে তার অবস্থা জেনে, “তিনি শীঘ্রই আরোগ্য লাভ করবেন, বা শীঘ্রই সুস্থ হবেন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন" ইত্যাদি আশাব্যঞ্জক কথাবার্তা বলতে হবে। এতে রোগীর মনে সুস্থ হবার আশা জাগবে । ফলে সে দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। আর এ ধরনের আশাব্যাঞ্জক কথাবার্তা বলাও সুন্নাহ। এ বিষয়ে আরো আলোচনা পরে করবো, ইনশাআল্লাহ্ ।
· আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কোনো ব্যাধিগ্রস্ত বা বিপদগ্রস্ত লোককে দেখে বলে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জিনি তোমাকে এ ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছেন, তা থেকে আমাকে নিরাপদে রেখেছেন এবং তাঁর বহু সংখ্যক সৃষ্টির ওপর আমাকে মর্যাদা দান করেছেন, সে কখনো উক্ত ব্যাধিতে আক্রান্ত হবেনা (অর্থাৎ সে তার 'জীবনকাল পর্যন্ত উক্ত ব্যাধি/বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে)।” (আত-তিরমিযী)
উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসের ভাষাও একই । (আত-তিরমিযী)
আবূ জাফর মুহাম্মদ ইবনে আলী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন যে, “কেউ যখন কোন বিপদগ্রস্ত লোক দেখবে তখন সে মনে মনে তা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। তবে বিপদগ্রস্ত লোকটি যেনো তা শুনতে না পায়।" (আত-তিরমিযী)

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]