রোগে ধৈর্যধারণ করা কি জান্নাত লাভের অসীলা হতে পারে? এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?

: আমাদের সমাজে অনেক লোক আছে যারা রোগকে এক ধরনের অভিশাপ মনে করে থাকে। অথচ এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা যদি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্বাস্থ্যবিষয়ক পবিত্ৰ হাদীস নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে আমাদের এ ধারণা যে সঠিক নয় তা প্রমাণিত হবে। বস্তুত নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষায় রোগ জান্নাত লাভের অসীলাস্বরূপ। তাই রোগে ধৈর্যধারণ করা জান্নাত লাভের প্রধান শর্ত। কাজেই যারা রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট পাওয়া সত্ত্বেও ধৈর্যধারণ করেন তারাই জান্নাত লাভের আশা করতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে আমি আরো একটি হাদীস আলোচনায় আনবো যা থেকে আমরা জানতে পারবো, শুধুমাত্র রোগে ধৈর্যধারণের জন্য আল্লাহ্ তাঁকে জান্নাত দান করেছেন। আতা ইবনে আবী রাবাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মর্মে বর্ণনা করেন, একদা আমাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “আমি কি আপনাকে একজন জান্নাতি মহিলা দেখিয়ে দেবো না?” আমি বললাম, “কেনো দেখাবেন না? অবশ্যই দেখান ।” তিনি বললেন, “ঐ কালো মহিলাকে দেখুন।” এই মহিলা একদা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ! যখন আমার মৃগীরোগের চাপ শুরু হয় তখন আমার সতর খুলে যায় অর্থাৎ পরনের কাপড় খুলে যায়। তাই আল্লাহ্র দরবারে আমার সুস্থতার জন্য দু'য়া করুন।” জবাবে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তুমি পারলে ধৈর্যধারণ করো, তাহলে তুমি জান্নাত পাবে। আর যদি চাও তবে আমি তোমার রোগমুক্তির জন্য আল্লাহ্র নিকট দু'য়া করি।” উক্ত মহিলা বলল, “হে আল্লাহ্র রসূল! আমি ধৈর্যধারণ করবো।” অতঃপর সে বলল, “তবে আপনি আল্লাহ্র নিকট এই দু'য়া করুন যেনো আমার সতর খুলে না যায়।” নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন তার জন্য দুয়া করলেন। (সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম) ১১ এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি, কেউ যদি মৃগী রোগ, ক্যান্সার অথবা তদ্রূপ কোনো জটিল রোগে ভোগে ধৈর্যধারণ করে, তাহলে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতা'য়ালা তাকে ধৈর্যধারণের বিনিময়ে জান্নাত দান করবেন। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, “আমি ঐ মু'মিনের প্রতি আশ্চর্য হই; যে মু'মিন হয়েও রোগের কারণে অধৈর্য হয়। যদি সে জানতো যে রোগের মধ্যে তার কী উপকার রয়েছে, তাহলে সে অবশ্যই আল্লাহ্ তা'য়ালার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত রোগাক্রান্ত থাকতে চাইতো।” (মুসনাদে আল-বায্যার)
হযরত আবুদ দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু একদা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন, “হে আল্লাহ্র নবী! যদি আমার স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং আমি সুস্থ থাকি, তখন আমি আল্লাহ্র শোকর আদায় করি। এই অবস্থাটি আমার নিকট সেই অবস্থার চেয়ে অধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় যে আমি অসুস্থতা দ্বারা পরীক্ষায় পতিত হই এবং ধৈর্য্য ধারণ করি।” আমার এই কথা শুনে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “আল্লাহ্র রসূলও তোমার সাথে স্বাস্থ্য ও সুস্থতা পছন্দ করেন।” (মু'জামুল আওসাত ও মু'জামুস্ সগীর) ১৩

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]