রোগকে গালমন্দ করা কি উচিত? এ বিষয়ে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কী কী বাণী আছে?

রোগ সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে রোগ গুনাহের কাফ্ফারা ও নেকির কারণ। আর এ জন্যই তিনি সুস্থ থাকার জন্য এভাবে দু'য়া করতেন, “হে রহমানুর রাহীম। রোগের নিয়ামতগুলোকে সুস্থতার নিয়ামত দ্বারা বদলিয়ে দিন।”
কারণ রোগ এক প্রকার নিয়ামত, আর সুস্থতাও আরেক নিয়ামত। কাজেই কোনো মুসলমানের পক্ষে রোগকে গালমন্দ করা উচিত নয়। এ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশার একটি ঘটনা লক্ষ্য করুন। হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,
একদা নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সায়ের অথবা উম্মে মুসাইয়্যেব রাদিয়াল্লাহু আনহার নিকট তাশরীফ নিয়ে গেলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কী হয়েছে যার কারণে তুমি কাঁপছো?” “What happned to you for which you are shivering?" তিনি উত্তর দিলেন, “জ্বরে আক্রান্ত হয়েছি । আল্লাহ্ এ জ্বরের কোনো কল্যাণ না করুন।” তখন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “জ্বরকে গালি দিওনা। কারণ এটা আদম সন্তানের গুনাহসমূহ এমনভাবে দূর করে দেয় যেমনভাবে কামারের হাঁপর লোহার মরিচা ও ময়লা পরিষ্কার করে ফেলে ।” (সহীহ মুসলিম) ২৮ অপরদিকে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, “রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে জ্বরের বিষয়ে আলোচনা হলে এক ব্যক্তি জ্বরকে গালি দেয়।” নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলেন, “জ্বরকে গালি দিওনা। কেননা তা পাপসমূহকে দূর করে, যেমন আগুন লোহার ময়লা দূর করে।” (ইবনে মাজাহ)
যা হোক, এখানে আমি আরো একটি হাদীস বর্ণনা করছি, যা আগের পর্বেও আলোচনা করেছি। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় এক ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে জনৈক ব্যক্তি বললেন, “কতোই না সুন্দর মৃত্যু হলো, কোনো রোগে না ভুগেই মৃত্যুকে আলিঙ্গন করলো!" লোকটির একথা শুনে নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : “তোমার জন্য আসোস্ । তুমি জানো না, আল্লাহ্ যদি তাকে রোগে আক্রান্ত করতেন তাহলে ঐ রোগের কারণে তার গুনাহ দূর হয়ে যেতো।” (মুয়াত্তা ইমাম মালিক) কাজেই কোনো সময় আমরা যেনো রোগকে গালি না দিই। কারণ রোগকে গালি দেয়া মানে পরোক্ষভাবে আল্লাহকে গালি দেয়া। কেননা, রোগ তো আল্লাহ্ পক্ষ থেকে আসে। তবে হ্যাঁ, কিছু রোগ আছে যা মানুষের নিজেদের কারণে হয়। নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানাহার বিষয়ক যেসব উপদেশ দিয়েছেন তা মেনে চললে আমরা অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবো। যেসব খাবার তিনি খেতে নিষেধ করেছেন তা যদি আমরা মেনে না চলি তখন অসুখ-বিসুখ হতেই পারে। এর জন্য আমরা আল্লাহকে দায়ী করতে পারিনা। মোটকথা আল্লাহ্ যদি রোগের মাধ্যমে আমাদেরকে কষ্টে ফেলেন সেটা আমাদের কল্যাণের জন্যই, শাস্তি প্রদানের জন্য নয়।

FOR MORE CLICK HERE
NTRCA COLLEGE LEVEL HISTORY/ইতিহাস গাইড/ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ইতিহাস
১০ তম বিসিএস -৪৪তম বিসিএস এর প্রশ্ন ও সমাধান 10th BCS to 44th Bcs MCQ Question Solution
বিসিএস ব্যাংক প্রাইমারি পরীক্ষার-এর প্রশ্ন ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO বই লেখক : মোঃ মিজানুর রহমান
মাতৃস্বাস্থ্য/Motherhood
ওষুধ নির্দেশিকা
সহীহ বুখারী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৫৬৩ টি হাদিস)
সহীহ মুসলিম শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৭৪৫৩ টি হাদিস)
সুনানে তিরমিজি শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৩৯৫৬ টি হাদিস)
সুনানে নাসায়ী শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫৭৫৮ টি হাদিস)
সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৪৩৪১ টি হাদিস)
সুনানে আবু দাউদ শরীফ হাদিস আরবি বাংলা (৫২৭৪ টি হাদিস)

Copyright © Quality Can Do Soft.
Designed and developed by Sohel Rana, Assistant Professor, Kumudini Government College, Tangail. Email: [email protected]